ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২২

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

আগের মতো এনআইডি যাচাইয়ের জন্য এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না। আপনি চাইলে খুব সহজে নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইট হতে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নিতে পারবেন। তাছাড়া যারা সদ্য ভোটার হওয়ার জন্য ফরম ফিলআপ করেছেন তারা অল্প দিনের মধ্যে অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধনের সময় আপনাকে যে স্লিপ দেওয়া হয় সেই ভোটার স্লিপ দিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট হতে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নিতে পারবেন এবং ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২২




বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা পেতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক। নতুন জেনারেশনের অধিকাংশ লোক জানে না যে, কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র করতে হয় বা জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য কোথায় যেতে হয় ও কী কী প্রয়োজন হয়?




এগুলো আপনার উপকারে আসবে
আবার যাদের এনআইডি হারিয়ে গেছে বা পরিচয়পত্রে ভুল তথ্য রয়েছে তারা বুঝতে পারছে না, পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য বা হারিয়ে যাওয়া পরিচয়পত্র পুনরায় পাওয়ার জন্য বা ভুল তথ্য ঠিক করার জন্য কি কি করতে হবে ও কোথায় যেতে হবে? যারা এই বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝেন না কিংবা জানেন না তাদের জন্যই আমাদের এই বিশেষ আয়োজন।

আজকে পোস্টের শুরুতে আমরা দেখে নিব যারা সদ্য ভোটার হয়েছেন এবং কোন এনআইডি না পেয়ে এখনো পর্যন্ত তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ রয়েছে, তারা কিভাবে অনলাইন হতে সহজে তাদের ভোটার তথ্য জেনে নেওয়ার পাশাপাশি পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করবেন? তাছাড়া যাদের ভোটার স্লিপ হারিয়ে ফেলেছেন তারা কিভাবে ভোটার স্লিপ নাম্বার ফেরত পাবেন সেটি নিয়েও পোষ্টের শেষাংশে আলোচনা করব?

ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়মঃ

আপনি যদি সদ্য ভোটার হয়ে থাকেন এবং ভোটার আইডি কার্ডের জন্য ফরম ফিলআপ সহ ছবি তুলে থাকেন তাহলে আপনি ভোটার স্লিপ নাম্বার দিয়ে নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার ভোটার তথ্য যাচাই সহ জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার বা অনলাইন কপি বের করার জন্য আপনার ভোটার স্লিপের নাম্বারটি ও জন্ম তারিখ জানা থাকতে হবে।
ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়ম
ভোটার স্লিপের নমুনা
ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার জন্য কম্পিউটার অথবা মোবাইলের ব্রাউজারে Service NID লিখে সার্চ করতে হবে। অথবা আপনি চাইলে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের Service NID এই লিংকে ক্লিক করে সরাসরি ভিজিট করতে পারেন।

যারা ব্রাউজারে Service NID লিখে গুগলে সার্চ করবেন তারা গুগল সার্চ রেজল্ট পেজের সবার উপরের নিচের চিত্রেরন্যায় কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন।
ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়ম
আপনার ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখার জন্য উপরের চিত্রের “ভোটার তথ্য” নামে যে অপশন রয়েছে সেটিতে ক্লিক করুন। তবে আপনি যদি সরাসরি না দেখে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট এর মূল পেজ হতে তথ্য যাচাই করতে চান, তাহলে আপনাকে সরাসরি উপরের চিত্রের প্রথম অংশে ক্লিক করতে হবে। 
ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়ম
আপনি সরাসরি গুগল হতে ভোটার তথ্য অপশনে ক্লিক করলে এই অংশের প্রয়োজন হবে না। আর যদি সরাসরি না যান তাহলে এখানে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাটের “অন্যান্য তথ্য হতে ভোটার তথ্য” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়ম
তারপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার সহ যাবতীয় ভোটার তথ্য দেখার জন্য উপরের চিত্রের প্রথম ঘরটিতে আপনার ভোটার স্লিপের নাম্বারটি টাইপ করে দিতে হবে। তারপর দ্বিতীয় ঘরে আপনার জন্ম তারিখ ও তৃতীয় ঘরে ক্যাপচা কোড টাইপ করে “ভোটার তথ্য দেখুন” এ ক্লিক করলে নিচের চিত্রেরন্যায় আপনার এনআইডি নম্বর সহ ভোটার তথ্য শো হবে।
ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়ম
এখানে সবকিছু ঠিক থাকলে উপরের চিত্রের নিচের অংশে আপনার ভোটার আইডির নম্বর সহ যাবতীয় ভোটার তথ্য দেখতে পাবেন। That's all.

ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র না পেলে করণীয় কি?

উপরের নিয়ম ফলো করে সবকিছু করার পর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য শো না হলে এভাবে পুনরায় ট্রাই করবেন। কারণ নির্বাচন কমিশনের ওয়বসাইটের সার্ভারের কোন ধরনের সমস্যা বা অতিরিক্ত ট্রাফিক এর কারনে প্রথমবার আপনার এনআইডির তথ্য শো নাও হতে পারে। এভাবে পুনরায় করার পর ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র না পেলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্য উপায়ে চেষ্টা করতে হবে।

কি কি কারনে ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায় না?

সাধারণত নিচের কয়েকটি প্রধান কারনে ভোটার স্লিপ দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন হতে সংগ্রহ করতে পারবেন না। যেমন-
  • আপনি যদি সদ্য ভোটার হয়ে থাকেন। অর্থাৎ আপনার ভোটার ফরম পুরন ও ছবি তুলার মাত্র ১০/১৫ দিন হয়েছে।
  • আপনার নির্বাচনি এলাকায় হালনাগাদ ভোটার তথ্য প্রকাশ না হলে। সাধারণত কোন এলাকায় নতুন করে ভোট তুলার ৩/৪ মাস পর ভোটার তথ্য হালনাগাদ করা হয়।
  • আপনার ভোটার তথ্য হালনাগাদ হয়েছে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের ডাটাব্যাজে এখনো এন্ট্রি করা হয়নি।
  • আপনি ১৯৯৮ সালে পর জন্মগ্রহন করলে আপনার ভোটার তথ্য অনলাইনে পাবেন না। 
উপরের এই প্রধান কারণগুলোর জন্য আপনি ভোটার স্লিপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অনলাইন হতে সংগ্রহ করতে পারবেন না। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। উপরের সমস্যগুলো হলে আপনার করণী কি বা কিভাবে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি হাতে পাবেন সে উপায়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব।

ভোটার স্লিপ দিয়ে NID না পেলে কি করবেন?

আপনার ভোটার ফরম পুরন ও ছবি তুলার ১/২ মাস হয়ে থাকলে আপনি নির্বান কমিশনের হেল্পলাইনে কল করে খুব সহজে আপনার এনআইডি এর তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এখানে গাবড়ানোর কিছুই নেই। নির্বাচন কমিশন অফিস শুধুমাত্র এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য এই হেল্প ডেস্কটি চালু করেছে। 

নির্বাচন কমিশন অফিসের হেল্পলাইন হতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার পাওয়ার জন্য আপনার মোবাইল হতে 105 নাম্বারটিতে কল করবেন। এই সার্ভিসটি সম্পূর্ণ ফ্রি। আপনার মোবাইল থেকে কোন ধরনের টাকা কেঠে নেওয়া হবে না। হেল্পলাইনের 105 নাম্বারটিতে কল করার পর বিভিন্ন অপশন জিজ্ঞেস করবে। আপনি কোনকিছু না করে সরাসরি মোবাইলের কিবোর্ড হতে 9 প্রেস করবেন। মোবাইলে 9 প্রেস করার কিছুক্ষনের মধ্যে একজন লোক আপনার সাথে সরাসরি কথা বলবে। এ ক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ইনফরমেশন পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছুু তথ্য জিজ্ঞেস করা হবে। সে জন্য কল করার পূর্বে আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি অবশ্যই হাতের কাছে রাখবেন। আপনার কাছে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ি ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য জিজ্ঞেস করা হবে। সব তথ্য যাচাই করার পর আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুত হয়ে থাকলে সাথে সাথে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি দেওয়া হবে। আর ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুব হয়ে না থাকলে কার্ডের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। 

জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার নিয়মঃ

নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে অথবা ভোটার স্লিপ দিয়ে যখন আপনার এনআইডির নাম্বারটি পেয়ে যাবেন তখন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। এনআইডি ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি বের করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করতে হবে। 

জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। তারপর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের ম্যানুবারে “রেজিস্টার” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। রেজিস্টেশন করার জন্য “রেজিস্টার” অপশনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রেরন্যায় একটি ফরম শো হবে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম
এই ফরমে আপনার যাবতীয় তথ্য পুরণ করে রেজিস্টেশনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এখানে অবশ্যই আপনার যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে পুরণ করতে হবে। কোন ধরনের ভূল তথ্য দিলে আপনার রেজিস্টেশন সম্পন্ন হবে না। উপরের চিত্রের যে অপশনগুলোতে লাল রংয়ের স্টার (*) চিহ্ন দেওয়া আছে সেগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে পুরন করতে হবে। সব তথ্য দেওয়ার পর নিচের “রেজিস্টার” বাটনে ক্লিক করলে আপনার এনআইডি কার্ডের রেজিস্টেশন সম্পন্ন হবে।

রেজিস্টেশন সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার জন্য আপনার এনআইডি নম্বর, পাসওয়ার্ড ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম
এখানে উপরের চিত্রেরন্যায় আপনার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ক্যাপচা নম্বরটি বসিয়ে “সামনে” লেখা বাটনটিতে ক্লিক করলে নিচের চিত্রটি শো হবে এবং সেই সাথে আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে কোড পাঠানো হবে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম
এখানে আপনার মোবাইলে পাঠানো কোডটি উপরের খালি ঘরে বসিয়ে দিয়ে লগইন বাটনে ক্লিক করার মাত্র আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের যাবতীয় তথ্য শো হবে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম
এখানে আপনার ছবির বাম পাশে থাকা অপশনগুলো ব্যবহার করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। সবশেষে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইনে কপি ডাউনলোড করার জন্য উপরের চিত্রের তীর চিহ্নিত অংশের “পরিচয় বিবরণী” তে ক্লিক করলে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড হবে।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম
এটাই হচ্ছে  আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি। আপনার আইডি কার্ডের মধ্যে যে সকল তথ্য থাকবে এখানেও ঠিক একই ধরনের তথ্য থাকবে। এই কপিটি সংগ্রহ করে আপনি এনআইডি সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল কাজ করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নঃ

আমাদের মধ্যে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন কিংবা ইতোপূর্বে কখনো ভোটার হননি তাদের মনে ভোটার হওয়া নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন থাকে। অনেকে মনেকরেন ভোটার হওয়ার প্রসেসটা অনেক জঠিল ও সময় স্বাপেক্ষ ব্যাপার। অথচ এ বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিলে আপনি খুব সহজে আপনার স্থানিয় নির্বাচন অফিস থেকে যেকোন সময় সহজে ভোটার হতে পারবেন। তাহলে চলুন জাতীয় পরিচয় সংক্রান্ত কমন কিছু বিষয় জেনে নেই।

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে করণীয় কি?

আমাদের দেশে একজন নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারেন। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার নাগরিক নিজ নিজ জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া জরুরী প্রয়োজনে ঢাকা’র আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সপ্তম তলায় আবেদন করে তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পরিচয়পত্র।

নতুন পরিচয়পত্র করতে কী কী লাগবে?

  • এস.এস.সি সনদ -(বয়স প্রমানের সনদ)
  • জন্ম নিবন্ধন -(বয়স প্রমানের সনদ)
  • পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / টি.আই.এন -(বয়স প্রমানের সনদ)
  • ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ – (ঐ এলাকায় সচরাচর বসবাস করেন এরুপ কোন প্রমান)
  • নাগরিকত্বের সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর আই.ডি কার্ডের কপি(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির মধ্যে যাঁর যা ঘটেনি, তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেমন: যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাঁকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাঁকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। যাঁদের পাসপোর্ট নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে তা দেওয়ার দরকার নেই।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণী কি?

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে আপনার নিকটবর্তী থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। তারপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

০১। প্রশ্নঃ ID Card হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

০২। প্রশ্নঃ হারানো আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়?
উত্তরঃ এখনো হারানো কার্ড পেতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না। তবে ভবিষ্যতে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে।

০৩। প্রশ্নঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে করা যায় কি?
উত্তরঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।

০৪। প্রশ্নঃ হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?
উত্তরঃ প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

০৫। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / স্লিপ হারালে করণীয় কি?
উত্তরঃ স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।

০৬। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / ID Card হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন Document নেই বা NID নম্বর/ ভোটার নম্বর/ স্লিপের নম্বর নেই, সে ক্ষেত্রে কি করণীয়?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে Voter Number সংগ্রহ করে NID Registration Wing/ উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।

০৭। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?
উত্তরঃজাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি সহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে।

০৮। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের মান বর্তমানে তেমন ভালো না এটা কি ভবিষ্যতে উন্নত করার সম্ভাবনা আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। আগামীতে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের জন্য কাযর্ক্রম চলমান আছে যাতে অনেক উন্নত ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ থাকবে এবং মান অনেক উন্নত হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের উপায় কী?

০১। জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্ত সংশোধনের স্বপক্ষে, ক্ষেত্রমত, নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি জমা দিতে হইবে। যথা-
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হইলে এবং তিনি সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত কিংবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় চাকুরীরত হইলে, চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)।
  • অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/ট্রেড লাইসেনস/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি।
  • নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, প্রার্থিত পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি [এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)/ড্রার্ইভিং লাইসেনস, যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য] ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি।
  • ধর্ম পরিবর্তনের কারণে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেনস/জন্ম নিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
০২। বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কোন কারণে কোনো মহিলা তাহার নামের সহিত স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করিতে চাহিলে, তাহাকে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহ বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।

০৩। পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।

০৪। পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউনিসলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।

০৫। ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে, সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।

০৬। রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে, উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে।

০৭। শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।

০৮। টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেনস নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।

০৯। অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।

১০। আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন: (ক) সংসদ সদস্য, (খ) স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, (গ) গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা, এবং (ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান।

জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ

০১। প্রশ্নঃ আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে Registration করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করতে পারেন।

০২। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে Voter Registration করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এসএসসি (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ী ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্মসমূহ পূরণ করতে হবে।

০৩। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ আপনি আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি নিয়ে যে স্থানে ভোটার হয়েছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে প্রাপ্তি রশিদে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করা যাবে।

০৪। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?
উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।

০৫। প্রশ্নঃ কোথা হতে ID Card সংগ্রহ করা যাবে?
উত্তরঃ যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ID Card সংগ্রহ করা যাবে।

০৬। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ । আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে।

০৭। প্রশ্নঃ কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?
উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

০৮। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?
উত্তরঃ ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।

০৯। প্রশ্নঃ বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে।লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।

১০। প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।

১১। প্রশ্নঃ এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
উত্তরঃ না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

১২। প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমানের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, TIN নম্বর (যদি থাকে)।

১৩। প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি ID Card পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?
উত্তরঃ না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই।

১৪। প্রশ্নঃ আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?
উত্তরঃ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

১৫। প্রশ্নঃ ID Card আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?
উত্তরঃ অবিলম্বে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।

১৬। প্রশ্নঃ একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তিস্বীকার রশিদ নিয়ে আসলে সংগ্রহ করা যাবে।

১৭। প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফরমের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ NID Registration Wing/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে অথবা Website : www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউন-লোড করা যাবে।

১৮। প্রশ্নঃ এই সমস্ত ফরমের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না?
উত্তরঃ না।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ

০১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

০২। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

০৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

০৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

০৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration Wing/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

০৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ID Card থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

০৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

০৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

০৯। প্রশ্নঃ আমার ID Card এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি,ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে।

১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে ID Card –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ID Card এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
উত্তরঃ আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

১৭। প্রশ্নঃ ID Card এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।

১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?
উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।

১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।

২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।

সাহায্য জিজ্ঞাসাঃ

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ও ভোটার আইডি চেক করার নিয়ম সংক্রান্তে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা প্রতিউত্তরে আপনার প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
Next Post Previous Post
6 Comments
  • Peonmama Team
    Peonmama Team June 7, 2020 at 10:10 AM

    পোস্টটা দেখে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু অতীব দূঃখের বিষয় হলো আমার আইডি কার্ডের বয়সটা কোনভাবেই সংশোধন করা যাচ্ছে না।কারনটা হলো এক সময় ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর বিরতি দিয়েছিলাম। ২০০৯ সালের দিকে বয়স বাড়িয়ে ১০/০১/১৯৯০ হিসাবে রেজিঃ করি।উল্লেখ্য যখন ভোটার আইডিতে অন্তভূক্ত হই সেইসময় জন্মসনদ/শিক্ষাসনদের কোন কপি লাগে নাই এবং আমার ছিলোনা।বাড়ীতে কর্মীরা এসে ভোটার তথ্য সংগ্রহ করেছিলো। জন্ম নিবন্ধন+পাসপোর্ট করা হয়েছে ২০১৯ সালে। পরিশেষে আমার উপলদ্ধি হলো যে লেখাপড়া ছাড়া কোন মূল্য নাই, জীবনে বড় হতেই হবে। সেই হিসাবে ২০০৯ সালের ৮ম শ্রেনী পাসের সনদ দেখিয়ে উন্মুক্ততে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হই ২০১২ সালে (এই সময় বয়স কমিয়ে জন্ম তারিখ দিই ৩০/১২/১৯৯৬)। উন্মুক্ত হতে এসএসসি পাশ করার পর জেনারেলে চলে যাই। এসএসসি+এইচএসসি = ৯.০২ জিপিএ নিয়ে বর্তমানে ঢাবি অধিভূক্ত সরকারি বাংলা কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছি। উল্লেখ্য আমার জন্মনিবন্ধন+পাসপোর্ট+ শিক্ষাসনদে সকল বয়স ১৯৯৬ করা আছে কিন্তু ভোটার আইডিতে ১৯৯০। নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম তারা বললো কোনভাবেই সংশোধন হবেনা। কেননা, উন্মুক্ত থেকে এসএসসি পাশ করেছি বলে। এখন খুব দূঃচিন্তার মধ্…

    • Rashid
      Rashid June 9, 2020 at 7:27 PM

      আপনি অনেক সংগ্রামি একজন মানুষ। আপনার জীবন বৃত্তান্ত থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

      সমস্যা যেখানে আছে, সমাধান সেখানে আছে। জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও শিক্ষা সনদ দাখিল করলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বাধ্য। আপনি নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র কোনো অথরিটির সাথে কথা বলুন, অবশ্যই কোন না কোন উপায় পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ...

  • my dream
    my dream October 17, 2020 at 9:47 PM

    স্লিপ হারিয়ে গেলে অনলাইনে কিভাবে আইডি নম্বর চেক করবো?

    • Rashid
      Rashid October 17, 2020 at 11:30 PM

      স্লি হারিয়ে গেলে অনলাইনে চেক করতে পারবেন না।

      এ ক্ষেত্রে নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে।

  • Unknown
    Unknown February 7, 2021 at 2:06 PM

    আমি ২০১৪ তে ভোটার হয়েছি আমাকে একটা সময়িক পরিচয় পএ দেওয়া হয়েছে।সেটা তে মেয়াদ নাই।।আমার পরে যারা ভোটার হয়েছে তারা স্আমাট কাড পেয়ে গেছে।আমি কবে নাগাদ স্মাট কাড পাবে?

    • Rashid
      Rashid February 7, 2021 at 9:18 PM

      আপনার স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন।

Add Comment
comment url