ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখে বেশি টাকা আয় করার উপায়!
যারা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে তাদের একটাই প্রশ্ন, কিভাবে বাংলা ব্লগ সাইট থেকে বেশি টাকা আয় করা যায়? বাংলা ব্লগে আর্টিকেল লিখে বেশি টাকা আয় করার উপায় কি? কিভাবে ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখে ব্লগের আয় বৃদ্ধি করা যায়? এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অধিকাংশ বাংলা ব্লগাররা গুগলে সার্চ করে থাকেন। কিন্তু কোন সদুত্তর না পেয়ে একজন বাংলা ব্লগার বুঝতে পারেন না যে, ভবিষ্যতে তার বাংলা ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন?
আপনি যদি এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খোঁজে থাকেন, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। এই পোস্ট পড়ার পর একটি বাংলা ব্লগে আর্টিকেল লিখে মাসে কি পরিমান টাকা আয় করা যায় বা আপনি বাংলা ব্লগিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন, সেটা ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। কারণ বিগত ৫ বছরে আমার ব্লগিং অভীজ্ঞতার আলোকে আজকের পোস্টে বাংলা ব্লগিং এর আয়ের প্রকৃত রহস্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আপনারা বিভিন্ন ব্লগ পড়ে জানতে পারেন যে, ব্লগিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র ব্লগে লেখলেখি করে মানুষ মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। সেই সাথে কিভাবে আয় করতে হয়, সে বিষয়েও অধিকাংশ ব্লগার তাদের ব্লগে বিভিন্ন উপায় বলে দেয়। কিন্তু আপনার ব্লগে আর্টিকেল বাংলা হওয়ার কারনে, তাদের দেখানো কোনো উপায় আপনার ব্লগে এপ্লাই করতে পারেন না বিধায় আপনার বাংলা ব্লগ থেকে আয় করা সম্ভব হয় না।
এগুলো অবশ্যই পড়বেন -
ব্লগিং কি, কিভাবে ব্লগিং করতে হয়, কিভাবে ব্লগ তৈরি করতে হয় এবং কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে আপনার ধারনা না থাকলে, আপনি আমাদের ব্লগের ব্লগিং সংক্রান্ত পোস্টগুলো পড়ে নিতে পারেন। ব্লগিং বিষয়ে আপনার বেসিক ধারণা না থাকলে, আপনি আমাদের ব্লগের পোস্ট পড়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
বাংলা ব্লগ থেকে টাকা আয় করার কি কি উপায় আছে?
আপনি যদি ব্লগিং বিষয়ে একদম নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন, এটা চরম সত্য যে, একটি ইংরেজি ব্লগ দিয়ে ঘরে বসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। একটি ইংরেজি ব্লগ দিয়ে কি পরিমানে আয় করা যায়, সেটা জানার জন্য আমাদের ব্লগের “ব্লগ তৈরি করে আয়” সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ে নিবেন। তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন একজন ব্লগার শুধুমাত্র লেখালেখি করে মাসে কি পরিমানে ডলার ইনকাম করছে।
কিন্তু আপনি যেহেতু বাংলা ভাষায় ব্লগিং করেন সেহেতু বাংলা ব্লগ থেকে বা বাংলা আর্টিকেল লিখে ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়, আপনাকে সেটা জেনে নিতে হবে। শুধু শুধু ইংরেজি ব্লগ থেকে আয়ের উপায় জেনে আপনার ব্লগের আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন না। আপনাকে বাংলা ব্লগ দিয়ে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় খোঁজে বের করে নিতে হবে।
ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার যে সমস্ত উপায় রয়েছে, আজকের পোস্টে প্রথমে আমরা সেই সমস্ত উপায়গুলো দেখে নেব। তারপর কি কি বিষয়ে বাংলা ব্লগিং করলে বেশি আয় করা যায় এবং কিভাবে বাংলা ব্লগের আয়ের পরিমান বাড়ানো যায়, সেটি নিয়েও আলোচনা করব। তাহলে দেখা যায়, বাংলা ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কি কি পথ খোলা রয়েছে?
১। গুগল এডসেন্স
বাংলা ভাষার ব্লগারদের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে গুগল এডসেন্স। ২০১৭ সালের পূর্বে এডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করত না বিধায় তখন বাংলা ব্লগে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা সম্ভব হত না। সেই সময় গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট না করার কারনে ২০১৭ সালের পূর্বে অনলাইনে বাংলা ব্লগ খোঁজে পাওয়া যেত না বললেই চলে। সেই সময়ে শুধুমাত্র টেকটিউনস, সামহয়ার-ইন-ব্লগ, মায়া আপা, লেখাপড়া বিডি, প্রথম আলো ব্লগ, কালেরকণ্ঠ ব্লগ সহ হাতেগুনা আরো কয়েকটি বাংলা ব্লগ ছাড়া তেমন কোন বাংলা ব্লগ ছিল না।
কিন্তু ২০১৭ সালে গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করার পর থেকে বাংলা আর্টিকেল দিয়ে ব্লগ তৈরি করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বর্তমানে গুগলে সার্চ করলে অনেক ভালোমানের বাংলা ব্লগ খোঁজে পাওয়া যায়। মূলত গুগল এডসেন্সকে টার্গেট করে এখন বেশিরভাগ নতুন বাংলা ব্লগ লঞ্চ হচ্ছে। কাজেই আপনার ব্লগের আর্টিকেল বাংলা হয়ে থাকলে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে ব্যবহার করে মাসে মাসে অনলাইন হতে টাকা আয় করতে পারবেন।
২। এফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নেওয়াকে সংক্ষেপে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এফিলিয়েট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ব্লগে এফিলিয়েট সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ে নিবেন। কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা না থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন না।
ইংরেজি ব্লগারদের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। যারা ইংরেজিতে ব্লগিং করে তারা গুগল এডসেন্স এর চাইতে এফিলিয়েট মার্কেটিংকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং তারা গুগল এডসেন্স এর চাইতে কয়েকগুন বেশি টাকা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করে। অধিকাংশ ভালোমানের ইংরেজি ব্লগারদের ব্লগে গুগল এডসেন্স অনুমোদন থাকা সত্বেও ব্লগে গুগল এডসেন্স ব্যবহার না করে শুধুমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
এখানে আপনি বাংলা ব্লগ দিয়ে ইংরেজি ব্লগের মত এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন না। কারণ আপনার ব্লগ বাংলা ভাষাতে হওয়ার কারনে বাংলাদেশের মানুষ ছাড়া অন্য কেউ ব্লগ ভিজিট করবে না। তাছাড়া অধিকাংশ এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে না বিধায় বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ইংরেজি ব্লগের মত এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন না।
তবে বাংলাদেশে কিছু কিছু অনলাইন মার্কেট আছে যারা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করেছে। আপনি সেই সকল অনলাইন মার্কেটের প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যেমন- বিডিশপ, দারাজ, ঝাক্কাস, বাংলা শপার, বহুব্রিহি ও বিভিন্ন ডোমেই হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে যাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু আছে। আপনি চাইলে এই সকল মার্কেটপ্লেসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। সাধারণত এই কোম্পানিগুলো ৭-১৫% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে। আমি নিজেও বিডিশপ এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করছি।
৩। নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি
এখন আমাদের দেশের শিক্ষিত ও সচেতন অনেক মানুষ অনলাইনে কেনাকাঠা করে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার যদি কোন ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর দোকান থাকে, তাহলে ব্লগে সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ বাংলাতে লিখে আপনার প্রোডাক্ট অনলাইন মার্কেটিং করতে পারেন। বিশেষকরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্যামেরা ও ডিজিটাল একসেসোরিজ এর শপ থাকলে সেগুলো সহজে আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করে বাংলা ব্লগ টাকা আয় করতে পারেন।
৪। প্রোডাক্ট রিভিউ
অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগে প্রোডাক্ট এর রিভিউ তৈরি করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় একটি অংশ। আপনার বাংলা ব্লগে মোটামুটি ট্রাফিক থাকলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর বাংলা রিভিউ লিখে কোম্পানির নিকট থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিং সেক্টর থেকে তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্লগে রিভিউ লেখার জন্য জনপ্রিয় ব্লগগুলোর এ্যাডমিন এর সাথে যোগাযোগ করা হয়। বাংলা ব্লগে প্রোডাক্ট এর রিভিউ লেখার অনেক ডিমান্ড রয়েছে এবং প্রোডাক্ট রিভিউ এর জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে।
৫। ডাইরেক্ট এড (বিজ্ঞাপন)
এ ধরনের বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র ভালোমানের ব্লগগুলো পেয়ে থাকে। আপনার ব্লগটির ট্রাফিক প্রচুর পরিমানে হলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন বাংলা ব্লগে ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন। ডাইরেক্ট বিজ্ঞাপন এর রেট অনেক বেশি হয়। এ ধরনের বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ব্লগের জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি বৃদ্ধি করে নিতে হবে। অন্যথায় নরমাল ব্লগে ডাইরেক্ট বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় না।
তারপর ৩নং পদ্ধতিতে ব্লগের মাধ্যমে আয় করার জন্য নিজের ব্যবসা বা কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট থাকে, তাহলে বাংলা ব্লগকে কাজে লাগিয়ে আপনার প্রোডাক্ট এর ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্লগের মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। তবে আপনার নিজেস্ব কোন প্রোডাক্ট না থাকলে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারছেন না।
তারপর ২নং এ উল্লেখিত এফিলিয়েট মার্কেটিং যদিও ব্লগিং করে আয়ের সবচাইতে বড় সোর্স কিন্তু অনলাইন মার্কেটিংয়ে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে থাকার কারনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাংলা ব্লগ থেকে খুব বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হবে না। তবে দেশ যেহেতু ডিজিটালাইজেশন এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেহেতু ভবিষ্যতে ইংলিশ ব্লগের মত একসময় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাংলা ব্লগ থেকে ভালোমানের টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
সবশেষে থাকলো আমাদের সবার জনপ্রিয় গুগল এডসেন্স। এডসেন্স নিংসেন্দেহে ছোট বড় সকল বাংলা ব্লগের জন্য আয়ের বড় একটি উৎস। কিন্তু গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য এডসেন্স এর অনেক নিয়ম মেনে ব্লগিং করতে হয়। গুগল এডসেন্স এর সামান্য পরিমানে নিয়ম ভঙ্গ করলে এডসেন্স একাউন্ট ডিসএবল হয়ে যাবে। আর একবার এডসেন্স একাউন্ট ডিসএবল হলে সেই একাউন্ট কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া একটি নরমাল বাংলা ব্লগ দিয়ে গুগল এডসেন্স থেকে খুব বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয় না। কারণ এডসেন্স থেকে বেশি পরিমানে টাকা আয় করার জন্য প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বা ট্রাফিক এর প্রয়োজন হয়। আপনার ব্লগে যত বেশি ট্রাফিক থাকবে, এডসেন্স হতে আপনি তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
সুতরাং বাংলা ব্লগ থেকে আয় করার ৫ টি সোর্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একমাত্র গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ছোট বড় সকল ধরনের বাংলা ব্লগ থেকে মোটামুটি অংকের টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করে নিতে পারলে এডসেন্স এর আয় বৃদ্ধি করে নেওয়া যাবে।
আর যারা নিয়ম মেনে ব্লগে এডসেন্স ব্যবহার করেন, তারা এডসেন্স এর আয়ের পরিমান এত কম দেখে ব্লগিং থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। আসলে কেন এডসেন্স হতে আয় কম হচ্ছে সেটা কখনো আমরা বুঝার চেষ্টা করি না। আমরা মনেকরি গুগল এডসেন্স পেলেই মনেহয় গল্পের সেই সোনার হাঁস পেয়ে যাব, আর সেই হাঁস অমনি অমনি প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম দিতে থাকবে। সেই ডিম বিক্রি করে আমরা অল্পদিনে বড় লোক হয়ে যাব। আসলে বাস্তবে এ রকম কিছু নেই।
মূলত এডসেন্স আয় বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমানে ভিজিটর। যার ব্লগে যত বেশি ভিজিটর থাকবে, তার ব্লগের এডসেন্স ইনকাম তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এক কথায় এডসেন্স থেকে মাসে ডলার আয় করার জন্য হিউস পরিমান (আবার বলছি হিউস পরিমান) ট্রাফিক এর প্রয়োজন হবে। আপনার ব্লগে যদি প্রতিদিন ১/২ হাজার ভিজিটর থাকে, তাহলে সারা মাসেও বাংলা ব্লগের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে ১০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন না।
এখন আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, এডসেন্স থেকে বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনার ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করে নিতে হবে। কিভাবে আপনার বাংলা ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করবেন এবং কোন কোন বিষয় নিয়ে ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখলে বেশি টাকা আয় করা যায় বা বেশি পরিমানে ট্রাফিক পাওয়া যায়, এখন সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
কোন উপায়ে বাংলা ব্লগ দিয়ে বেশি আয় করা যাবে?
উপরের এই ৫ টি উপায়ে আপনি বাংলা ব্লগ দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এখন আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন, এই ৫ টি সোর্স এর মধ্যে কোনটি আপনার বাংলা ব্লগের জন্য পারফেক্ট হবে। সাধারণত একটি নরমাল বাংলা ব্লগ দিয়ে ৪নং ও ৫নং এ উল্লেখিত প্রোডাক্ট রিভিউ ও ডাইরেক্ট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব নয়। কারণ ব্লগের প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয়তা ছাড়া এগুলো থেকে টাকা আয় করা সম্ভব নয়।তারপর ৩নং পদ্ধতিতে ব্লগের মাধ্যমে আয় করার জন্য নিজের ব্যবসা বা কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট থাকে, তাহলে বাংলা ব্লগকে কাজে লাগিয়ে আপনার প্রোডাক্ট এর ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্লগের মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। তবে আপনার নিজেস্ব কোন প্রোডাক্ট না থাকলে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারছেন না।
তারপর ২নং এ উল্লেখিত এফিলিয়েট মার্কেটিং যদিও ব্লগিং করে আয়ের সবচাইতে বড় সোর্স কিন্তু অনলাইন মার্কেটিংয়ে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে থাকার কারনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাংলা ব্লগ থেকে খুব বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হবে না। তবে দেশ যেহেতু ডিজিটালাইজেশন এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেহেতু ভবিষ্যতে ইংলিশ ব্লগের মত একসময় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাংলা ব্লগ থেকে ভালোমানের টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
সবশেষে থাকলো আমাদের সবার জনপ্রিয় গুগল এডসেন্স। এডসেন্স নিংসেন্দেহে ছোট বড় সকল বাংলা ব্লগের জন্য আয়ের বড় একটি উৎস। কিন্তু গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য এডসেন্স এর অনেক নিয়ম মেনে ব্লগিং করতে হয়। গুগল এডসেন্স এর সামান্য পরিমানে নিয়ম ভঙ্গ করলে এডসেন্স একাউন্ট ডিসএবল হয়ে যাবে। আর একবার এডসেন্স একাউন্ট ডিসএবল হলে সেই একাউন্ট কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া একটি নরমাল বাংলা ব্লগ দিয়ে গুগল এডসেন্স থেকে খুব বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হয় না। কারণ এডসেন্স থেকে বেশি পরিমানে টাকা আয় করার জন্য প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বা ট্রাফিক এর প্রয়োজন হয়। আপনার ব্লগে যত বেশি ট্রাফিক থাকবে, এডসেন্স হতে আপনি তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
সুতরাং বাংলা ব্লগ থেকে আয় করার ৫ টি সোর্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, একমাত্র গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ছোট বড় সকল ধরনের বাংলা ব্লগ থেকে মোটামুটি অংকের টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করে নিতে পারলে এডসেন্স এর আয় বৃদ্ধি করে নেওয়া যাবে।
কিভাবে বাংলা ব্লগে এডসেন্স এর আয় বৃদ্ধি করবেন?
আমরা যারা বাংলা আর্টিকেল লিখে ব্লগিং করি তারা গুগল এডসেন্স এর পিছনে ছুটতে ছুটতে শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টের বিনিময়ে কিছুলোক এডসেন্স অনুমোদন করে নিতে পারি। কিন্তু গুগল এডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার পর যখন কিছুদিন ব্লগে এডসেন্স বিজ্ঞাপন ব্যবহার করি তখন এডসেন্স এর আয়ের পরিমান কম দেখে হতাশ হয়ে যাই। সেই সময় অনেকে বিজ্ঞাপন এর ক্লিক বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অবৈধ উপায় অবলম্বন করি। যার ফলশ্রুতিতে এডসেন্স আমাদের একাউন্ট স্থায়িভাবে বন্ধ করে দেয়।আর যারা নিয়ম মেনে ব্লগে এডসেন্স ব্যবহার করেন, তারা এডসেন্স এর আয়ের পরিমান এত কম দেখে ব্লগিং থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। আসলে কেন এডসেন্স হতে আয় কম হচ্ছে সেটা কখনো আমরা বুঝার চেষ্টা করি না। আমরা মনেকরি গুগল এডসেন্স পেলেই মনেহয় গল্পের সেই সোনার হাঁস পেয়ে যাব, আর সেই হাঁস অমনি অমনি প্রতিদিন একটি করে সোনার ডিম দিতে থাকবে। সেই ডিম বিক্রি করে আমরা অল্পদিনে বড় লোক হয়ে যাব। আসলে বাস্তবে এ রকম কিছু নেই।
এডসেন্স কেন আপনাকে টাকা দেবে?
আরে ভাই, এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে, এডসেন্স কেন আপনাকে টাকা দেবে? এডসেন্স আপনার আমার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির নিকট থেকে টাকা আয় করে। আর আমাদের ব্লগে গুগল এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন শো ও ক্লিক হওয়ার কারনে গুগল তার আয়ের কিছুটা অংশ আমাদেরকে দেয়। এ ক্ষেত্রে ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর না থাকলে এবং আপনার ব্লগ হতে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপনে অর্গানিক ক্লিক না হলে, আমাদের ব্লগ থেকে এডসেন্স এর কোন লাভ/মুনাফা হয় না বিধায় গুগল আমাদেরকে টাকা দেয় না।এডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধি করার উপায় কি?
কিভাবে গুগল এডসেন্স এর আয় বৃদ্ধি করতে হয়, সে বিষয়ে ইতোপূর্বে আমাদের ব্লগে কয়েকটি পোস্ট রয়েছে। সেই জন্য নতুন করে এই বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইছি না। আপনি আমাদের ব্লগের পোস্টগুলো দেখে নিলে এডসেন্স আয়ের রহস্য নিজে নিজে বুঝতে পারবেন।মূলত এডসেন্স আয় বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমানে ভিজিটর। যার ব্লগে যত বেশি ভিজিটর থাকবে, তার ব্লগের এডসেন্স ইনকাম তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এক কথায় এডসেন্স থেকে মাসে ডলার আয় করার জন্য হিউস পরিমান (আবার বলছি হিউস পরিমান) ট্রাফিক এর প্রয়োজন হবে। আপনার ব্লগে যদি প্রতিদিন ১/২ হাজার ভিজিটর থাকে, তাহলে সারা মাসেও বাংলা ব্লগের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে ১০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন না।
এখন আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, এডসেন্স থেকে বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনার ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করে নিতে হবে। কিভাবে আপনার বাংলা ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করবেন এবং কোন কোন বিষয় নিয়ে ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখলে বেশি টাকা আয় করা যায় বা বেশি পরিমানে ট্রাফিক পাওয়া যায়, এখন সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
কিভাবে বাংলা ব্লগ থেকে বেশি টাকা আয় করবেন?
আপনি অলরেডি জেনে গেছেন যে, বাংলা ব্লগে আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বেশি টাকা আয় করার জন্য ব্লগে বেশি পরিমানে ভিজিটর প্রয়োজন হয়। বাংলা ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি সঠিক নিশ (টপিক) বাছাই করে নিতে হবে। কারণ আমরা নরমালি যে সমস্ত নিশ নিয়ে বাংলা ব্লগে লেখালেখি করি, সেগুলোর প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আগ্রহ এখনো অনেক কম আছে।
বিটিরসি এর হিসাব অনুসারে এখনো আমাদের দেশে মাত্র সাড়ে নয় কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যাদের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি মানুষ শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহার করে, ৩ কোটি মানুষ শুধুমাত্র মোবাইলে চ্যাট ও ভিডিও কল করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, প্রায় ২ কোটি মানুষ রয়েছে যারা শুধুমাত্র অনলাইনে মাঝে মধ্যে নিউজ পড়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং বাকী ৫০ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে গুগলে তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, আমাদের দেশে খুব কম মানুষ রয়েছে যারা টেকনোলজি ও ব্লগ পড়ার জন্য বা ব্লগিং করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কাজেই আপনার ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য এমন নিশ (টপিক) নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করতে হবে, যে নিশ এর প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আগ্রহ/প্রয়োজন রয়েছে।
এগুলো অবশ্যই পড়ুন -
কোন কোন বাংলা নিশ নিয়ে আর্টিকেল লিখলে বেশি টাকা আয় হয়?
যে সকল বাংলা নিশ নিয়ে ব্লগিং করলে বেশি টাকা আয় করা যায়, এখন আমরা সেই সকল জনপ্রিয় নিশ নিয়ে আলোচনা করব। সেই সাথে কিভাবে জনপ্রিয় বাংলা নিশ নিয়ে ব্লগিং করে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়, সেটাও পোস্টের শেষাংশে আলোচনা করব। তাহলে এখন জনপ্রিয় বাংলা নিশগুলো দেখে নেই-
১। নিউজ - অনলাইন নিউজ পোর্টাল
এই নিশ নিয়ে কাজ করলে আপনি অল্পদিনে ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক গ্রো করতে পারবেন। আপনি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন যে, আমাদের দেশে যত জনপ্রিয় ব্লগ/ওয়েবসাইট আছে, সবগুলো হচ্ছে নিউজ বা অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
এখন হয়ত আপনি বলতে পারেন, আমি সাংবাদিক নয়, তাহলে নিউজ নিয়ে আমার ব্লগে কিভাবে আর্টিকেল লিখব? অনলাইন নিউজ লেখার জন্য সাংবাদিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন ধরনের বাংলা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো পড়লে আপনি নিজে নিজে বিভিন্ন খবর ব্লগে লিখতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনি কারো সংবাদ কপি করবেন না। সরাসরি কপি না করে নিজের ভাষায় সংবাদ সম্পর্কে বর্ণনা লিখবেন। সেই সাথে আপনার কিছু পার্সোনাল মতামত (যুক্তিসঙ্গত) যুক্ত করতে পারলে মানুষ আপনার সংবাদ পড়তে আরো বেশি পছন্দ করবে।
২। চাকরির খবর
আমাদের দেশের চাকরি বাজার চরমে ও গরমে এক হয়ে আছে। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ অনলাইনে চাকরির খবর অনুসন্ধান করছে। আপনি হয়ত বলতে পারেন যে, এ ধরনের অনেক ওয়েবসাই ও ব্লগ অলরেডি অনলাইনে রয়েছে। আপনার এমনটা মনে হলে আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন করছি, তাহলে বলুনত অনলাইনে কোন টপিকটি নেই, যেটা নিয়ে এখনো ব্লগ তৈরি হয়নি? এমন কোন টপিক দেখাতে পারবেন না যেটা অনলাইনে নেই।
চাকরির খবর নিয়ে বাংলা ব্লগিং করলে শুরুর দিকে ভিজিটর পাওয়া আপনার জন্য কিছুটা কষ্ট হবে। তবে একটানা ৬ মাস নিয়মিত কাজ করতে পারলে এবং নিয়মিত সকল ধরনের চাকরির খবর নিয়ে আপনার ব্লগে তথ্য দিতে পারলে ৬ মাসের মধ্যে আপনার ব্লগ অবশ্যই সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে। চাকরির খবর নিশ নিয়ে কাজ করে একবার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারলে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ভিজিটর পাওয়া আপনার জন্য কোন বিষয় হবে না।
৩। পরীক্ষার রেজাল্ট
আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বড় একটা অংশ হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা। কোন না কোন সময় আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের রেজাল্ট পাবলিশ হতেই থাকে। বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক রেজাল্ট এর সাথে চাকরির পরীক্ষার রেজাল্ট একিভুত করে রেজাল্ট নিশ নিয়ে বাংলা ব্লগিং করতে পারেন। এই নিশ নিয়ে গুগলে প্রতি বছর প্রচুর পরিমানে সার্চ করা হয়। গুগল ট্রেন্ড সার্চ করলে দেখতে পাবেন যে, প্রতি বছর রেজাল্ট নিশটি বাংলাদেশের গুগলে ট্রেন্ডিং এর সেরা দশের মধ্যে স্থান পায়। কাজেই এই টপিক নিয়ে কাজ করলে বাংলা ব্লগে বেশি ভিজিটর পাওয়া সম্ভব হবে।
৪। সিম অফার
এটা নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। মোবাইল অপারেটরগুলো প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনে টকটাম অফার ও ইন্টারনেট অফারসহ আরো বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকে। আর অধিকাংশ মানুষ তাদের সিমের অফার পাওয়ার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে। কাজেই এই ধরনের সুযোগ সন্ধানি নিশ নিয়ে কাজ করলে বাংলা ব্লগে বেশি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব হবে। বিশেষকরে এ ধরনের নিশ এর সুবিধা হচ্ছে, ব্লগে খুব বেশি পরিমানে আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন হয় না। পোস্ট খুব ছোট করে লিখে এ ধরনের ব্লগে ভিজিটর পাওয়া যায়।
৫। অনলাইন আয়
অনলাইনে আয়ের বিষয় সবাই কম বেশি জানতে চায়। বিশেষকরে ছাত্র ও যুবক বয়সের লোকজন এই বিষয়ে গুগলে বেশি সার্চ করে। আর ছাত্র ও যুবকরা যেহেতু বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেহেতু অনলাইন আয় নিয়ে বাংলা ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারলে, আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক গ্রো করতে পারবেন। এ ধরনের টপিকের বড় সুবিধা হচ্ছে, একবার পোস্ট লেখার পর সেই পোস্ট দিয়ে বছরের পর বছর ব্লগে ট্রাফিক পাওয়া যায়।
তবে অনলাইন আয় নিশ নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন আয়ের অনেক বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। আনলাইন আয় সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে ব্লগে আর্টিকেল লিখলে ভিজিটর আপনার ব্লগ ইগনর করবে। আর ভিজিটর পোস্ট না পড়লে আপনার পোস্ট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করতে পারবে না। তবে এ ধনের নিশ নিয়ে বড় বড় তথ্যবহুল বাংলা আর্টিকেল লিখতে পারলে আপনি ব্লগিং করে দীর্ঘদিন টাকা আয় করতে পারবেন।
কিভাবে বাংলা ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করবেন?
নিউজ - অনলাইন নিউজ পোর্টাল, চাকরির খবর, পরীক্ষার রেজাল্ট ও সিম অফার নিশ নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্লগের নামে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে ফেসবুক পেজে লাইক ও ফলোয়ার বৃদ্ধি করে নিতে হবে। তারপর নিয়মিত ফেসবুক পেজে নিউজ, চাকরির খবর, পরীক্ষার রেজাল্ট ও সিম অফার এর পোস্টগুলো শেয়ার করলে অটোমেটিক আপনার ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের ব্লগে সফলতা পাওয়ার জন্য ফেসবুকে বেশ একটিভ থাকতে হয়। প্রথম অবস্থায় হয়ত ভিজিটর কিছু কম পাবেন। কিন্তু ফেসবুকে আপনার ব্লগ পরিচিত হওয়ার পর ভিজিটর অবিশ্বাস্য হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
তবে অনলাইন আয় নিশ নিয়ে বাংলা ব্লগে আর্টিকেল লিখলে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর অনেক কাজ জানতে হবে। কারণ এ ধরনের টপিক এভারগ্রিন হওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত পোস্টের এসইও করতে হয়। তবে এসইও সম্পর্কে ধারনা থাকলে বাংলা ব্লগে অনলাইন আয় টপিক নিয়ে কাজ করলে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক গ্রো করতে পারবেন।
শেষ কথা
বর্তমানে ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখে বেশি টাকা আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স হচ্ছে সবচাইতে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। আর বাংলা ব্লগের মাধ্যমে এডসেন্স থেকে বেশি আয় করার জন্য প্রয়োজন বেশি পরিমানে ট্রাফিক। সে জন্য বেশি পরিমানে ট্রাফিক পাওয়ার জন্য আপনি নিউজ বা অনলাইন নিউজ পোর্টাল, চাকরির খবর, পরীক্ষার রেজাল্ট ও সিম অফার নিয়ে ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন।
আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়ের টার্গেট নিয়ে বাংলা ব্লগিং করেন, তাহলে আমার মতে উপরের চারটি টপিক নিয়ে ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখলে খুব সহজে গুগল এডসেন্স থেকে মাসে ৫০০-১০০০ হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। অন্যথায় ভিন্ন কোন টপিক নিয়ে বাংলা ব্লগিং করে মাসে খুব বেশি পরিমানে টাকা আয় করা সম্ভব হবে না।
onek helpfull information ache apner blog e ... onek upokrito holam...
ধন্যবাদ... ভবিষ্যতে আরো ভালো পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।
অনেক তথ্যবহুল ও দরকারী পোস্ট। ব্লগস্পট সাইট নিয়ে আমার দুটি বিষয় জানার ছিলো যথারুপঃ ১। যতটুকু জানি ব্লগস্পট সাইট ১ জিবি জায়গা দেয়। এখন আমার ব্লগে কতটুকু জায়গা খরচ/বাকি আছে তা দেখা যাবে কিভাবে?
২। অপরদিকে ব্লগস্পটে যে সকল পোস্ট গুলো করে থাকি এবং ঐ সকল পোস্টে অনেক সময় ইমেজ দেয়া থাকে। এখন জানার বিষয় আমি যদি কোন পোস্ট ডিলেট করে ফেলি তাহলে কি সাইটের ফ্রি স্পেস বৃদ্ধি পাবে? সহজ কথা-পোস্টগুলো ডিলেট করলে তার কোন ইমেজ ব্লগস্পটে থেকে যাবে কিনা?
ব্লগস্পটের স্পেস নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না। কারণ আপনি সারা জীবন ব্লগে আর্টিকেল শেয়ার করলেও স্পেস ফুল হবে না।
ধন্যবাদ বিষয়টা জানানোর জন্য। মনে করি, আমি আমার ব্লগ সাইটে একটি পোস্ট পাবলিশ করেছি সেখানে(পোষ্টের মধ্য ০৫ টি ইমেজ যোগ করেছি)অতপর কোন কারনে উক্ত পোস্ট ডিলেট করি। তাহলে উক্ত ব্লগ সাইট হতে ইমেজ গুলো চিরতরে ডিলেট হয়ে গিয়ে স্পেস/জায়গা বৃদ্ধি পাবে কি?
পোস্ট ডিলিট করার ৯০ দিনের মধ্যে ইমেজ কোথায় ব্যবহার না করলে ডিলিট হয়ে যাবে। আর ডিলিট হওয়া মানে স্পেস বৃদ্ধি পাওয়া।
ভাইয়া আমার সাইটে ট্রাফিক এর ৯০% আসে ফেসবুক থেকে।
প্রতিদিন ১০০-১৫০ পেজ ভিউ হয়।
এডসেন্স এ এপ্লাই করেছিলাম গত শনিবার আজ আমাকে জানায়ছে অবৈধ ট্রাফিক এর জন্য একাউন্ট ডিজেবল করা হয়েছে।
ফেসবুক থেকে ট্রাফিক আসলে কি সমস্যা?
এই বিষয়ে একটু আমাকে পরামর্শ দিবেন প্লিজ।
সাধারণত এডসেন্স অনুমোদন করার ক্ষেত্রে গুগল অর্গানিক ট্রাফিককে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমার মনেহচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন হতে আপনার ট্রাফিক প্রায় জিরো।
অর্গানিক ট্রাফিক জিরো হলে গুগল এডসেন্স সহজে অনুমোদন করবে না। তারপরেও ফেসবুক থেকে খুব বেশি পরিমানে ট্রাফিক থাকলে গুগল এডসেন্স অনুমোদন করত।
অর্গানিক ট্রাফিক গ্রো করার চেষ্টা করুন। তাহলে এডসেন্স অনুমোদন হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে এবং ব্লগার বাংলাদেশকে। নতুনদের জন্য অনেক হেল্পফুল ব্লগ এটা।
ভাইয়া। কতদিন পরে আবার এপ্লাই করা যাবে?
অর্গানিক ট্রাফিক দৈনিক কি রকম আসলে আবার এপ্লাই করব?
আমার সাইট এ ৫০ টা ইউনিক আর্টিকেল রয়েছে কিন্তু ইমেজটা গুগুল থেকে নেওয়া সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে?
প্রতিদিন মিনিমাম ১০০ অর্গানিক ট্রাফিক হলে এডসেন্স অনায়াসে অনুমোদন করবে। ইমেজ এর ক্ষেত্রে কেউ কমপ্লেন না করলে কপিরাইট এর কোন সমস্যা হবে না।
সবকিছু ঠিক করে মিনিমাম ১৫ দিন পর আবার এপ্লাই করাটা ভালো।
আমি কি ইউটিউব দ্বারা খোলা এডসেন্স একাউন্টটে ব্লোগ যোগ করতে পারব সাবডোমেন নাম দ্বারা
সম্ভব নয়, ব্লগের জন্য আলাদাভাবে অনুমোদন করে নিতে হবে।
তবে নতুন এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনার ইউটিউব একাউন্ট থেকে ব্লগের জন্য এডসেন্স আবেদন করতে পারেন। যখন ব্লগের জন্য অনুমোদন হবে, তখন একই একাউন্ট থেকে ইউটিউব ও ব্লগে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হলাম এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ... সাথে থাকুন
ভাই আমার ব্লগে প্রতিদিন 200 ভিউ হয়।৯০% ভিউ ফেসবুক থেকে আসে। 90 টি পোস্ট আছে। সাইটের বয়স তিন মাস আমি কি অ্যাডসেন্সে জন্য এপ্লাই করতে পারব। জানালে উপকৃত হব
এপ্লাই করতে পারবেন। কিন্তু ২০০ পেজভিউ দিয়ে আপনি এডসেন্স থেকে কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
আগে ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করেন। তারপর এডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন।
ধন্যবাদ...
তথ্যবহুল পোস্ট।
ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
Welcome and stay us...
খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে
Thank you...