গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়!
ভিডিও গেম খেলে আয়, বিষয়টা শুনতে আপনার কাছে খুব হাস্যকর মনেহচ্ছে! অনেকে মোবাইলে লুডু খেলে টাকা আয় করার জন্য অনলাইন সার্চ করে। যারা লুডু খেলে মোবাইলে অনলাইনে টাকা আয় করার কথা চিন্তা করে, তাদের জন্য বিষয়টি আশ্চর্য্যকর মনে নাও হতে পারে। তবে আমরা আজকের পোস্টে লুডু খেলে বা গেমিং এপস এর মাধ্যমে টাকা আয় করার মত হালকা বিষয় নিয়ে আলোচন করব না। আমরা আজকের পোস্টে দেখাবো, যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন বা শখের বশে গেম খেলেন কিংবা গেম খেলার প্রতি আসক্তি রয়েছে, তারা কিভাবে তাদের শখকে অনলাইনে আয়ের সোর্স হিসেবে তৈরি করবেন?
অনলাইনে বা অফলাইনে ভিডিও গেম খেলা অনেকটা শখের কাজ। সাধাণরত টিনেজার ও স্কুল কলেজের ছাত্ররা গেম খেলতে বেশ পছন্দ করে। এমন অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে যারা গেম খেলার জন্য স্কুল কলেজের টাইমে ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে সাইবার ক্যাফেতে বসে ভিডিও গেম খেলে। আসলে যারা নিয়মিত গেম খেলে, তারা ভিডিও গেম খেলার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। ভিডিও গেম খেলার প্রতি অধিক আগ্রহের কারনে একসময় একজন খেলোয়াড় ভিডিও গেম খেলায় বেশ এক্সপার্ট হয়ে উঠে।
এগুলো পড়লে আপনার ভালো লাগবে -
আমার বাসার সামনে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে। আমাকে মাঝে মধ্যে সেই সাইবার ক্যাফেতে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার কেনার জন্য যেতে হয়। কিন্তু সাইবার ক্যাফেতে গেলে সবসময় অন্যরকম একটা পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। পুরো সাইবার ক্যাফে জোড়ে কিশোর বয়সের ছেলে মেয়েরা কানের মধ্যে হেডফোন লাগিয়ে খুব আনন্দে ভিডিও গেম খেলতে দেখা যায়। আমার কাছে বিষয়টি খুব বিরক্তিকর মনেহয়। সেই সাথে মনে মনে ভাবতাম এই ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে কেন শুধু শুধু বাবার টাকা নষ্ট করছে?
আসলে টেকনোলজির উন্নতি সাধনের সাথে সাথে অনলাইনে ভিডিও গেম খেলার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। এক সময় কম্পিউটার গেমগুলো শুধুমাত্র অফলাইনে বসে নিজে নিজে খেলা হত। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি অনলাইনে টিমওয়ারী খেলার পদ্ধতি আবিষ্কার করে। এখন অধিকাংশ ভিডিও গেম অনলাইনে বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে খেলা হয়। এ ধরনের গেম এর মধ্যে PUBG বেশ জনপ্রিয় একটি অনলাইন গেম।
গেম খেলে কে কে আয় করতে পারবে?
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে আমি সবসময় একটি কথা বলে থাকি যে, অনলাইনে আয় করার সহজ কোন উপায় নেই। শুধু অনলাইনে নয়, টাকা আয় করার কোন ধরনের সহজ উপায় নেই। আপনি যে কোন মাধ্যম থেকে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করুন না কেন, টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই আপনার দক্ষতা (Skill) থাকতে হবে। অভীজ্ঞতা ছাড়া বাস্তব জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে যেমনি আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না, ঠিক তেমনি কোন বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অভীজ্ঞতা ছাড়া অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন না। সুতরাং গেম খেলে টাকা আয় করতে হলে, গেম বিষয়ে আপনার ভালো অভীজ্ঞতা থাকতে হবে।
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে কেউ আপনাকে লোভনীয় উপায় দেখালে, আপনি সেটা বিশ্বাস করবেন না। কারণ এই বিশ্বের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে দিয়ে কাজ আদায় না করা পর্যন্ত টাকা দেবে না। সে জন্য কেউ আপনাকে অনলাইনে সহজে টাকা আয়ের জন্য লোভ দেখালে আপনি সেটাকে মিথ্যে হিসেবে ধরে নিবেন।
অনলাইনের যে মাধ্যম থেকে আপনি টাকা ইনকাম করুন না কেন, কেউ না কেউ সেই টাকা আপনাকে দিচ্ছে। সেই টাকা’ত আর এমনি এমনি চলে আসে না বা কোন মেশিন আপনাকে টাকা দিয়ে দেয় না। কাজেই আপনি একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন, ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন আপনাকে টাকা দিচ্ছে? অবশ্যই সে আপনার কাছ থেকে কোন না কোন কাজ আদায় করে নিয়ে আপনার কাছ থেকে সে লাভবান হচ্ছে বিধায় আপনাকে টাকা দিচ্ছে। বিনিময় ছাড়া এই বিশ্বের কোন ব্যক্তি কাউকে টাকা দেয় না। কাজেই অনলাইনের যে প্লাটফর্ম হতে আপনি টাকা আয় করার চেষ্টা করুন না কেন, আপনাকে কোন না কোন বিষয়ে অভীজ্ঞ হতেই হবে।
অনলাইনের যে মাধ্যম থেকে আপনি টাকা ইনকাম করুন না কেন, কেউ না কেউ সেই টাকা আপনাকে দিচ্ছে। সেই টাকা’ত আর এমনি এমনি চলে আসে না বা কোন মেশিন আপনাকে টাকা দিয়ে দেয় না। কাজেই আপনি একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন, ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন আপনাকে টাকা দিচ্ছে? অবশ্যই সে আপনার কাছ থেকে কোন না কোন কাজ আদায় করে নিয়ে আপনার কাছ থেকে সে লাভবান হচ্ছে বিধায় আপনাকে টাকা দিচ্ছে। বিনিময় ছাড়া এই বিশ্বের কোন ব্যক্তি কাউকে টাকা দেয় না। কাজেই অনলাইনের যে প্লাটফর্ম হতে আপনি টাকা আয় করার চেষ্টা করুন না কেন, আপনাকে কোন না কোন বিষয়ে অভীজ্ঞ হতেই হবে।
গেম খেলে আয় করার জন্য কী কী লাগবে?
উপরের আলোচনা ও বিশ্লেষণ থেকে আপনি অবশ্যই জেনে গেছেন যে, গেম খেলে অনলাইন হতে টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই আপনার গেম সম্পর্কে অভীজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনি যদি ভাবেন অনলাইনে গেম খেলার যে এপস আছে সেগুলো ইনস্টল করলেই আপনি আয় করতে পারবেন, তাহলে আমি বলছি আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
অনলাইনে অনেক সস্তা ট্রিক্স পেয়ে যাবেন, অমুক গেম খেলে ১০০ ডলার আয় করুন, তমুক এপস হতে ৫০ ডলার আয় করুন! এগুলো নিছক ফাজলামি ও ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। কিছু কিছু গেমস রয়েছে যেগুলো কম্পিউটার ও মোবাইলে ইনস্টল করলে সেগুলো থেকে কিছু কয়েন (পয়েন্ট) পাওয়া যায়। সেই পয়েন্টগুলো সাধারনত বিভিন্ন গেমারদের কাছে বিক্রি করা যায়। কিন্তু এ ধরনের এপস ও সফটওয়ার থেকে আপনি মাসে ১০ ডলারের বেশি কোনোভাবে ইনকাম করতে পারবেন না।
উপরের চিত্রটি কলকাতার জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ “বাংলা টেক” এর একটি পোস্টের কমেন্ট সেকশন হতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও এই ব্লগটির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলা টেক এর এডমিন তাঁর ব্লগে মোবাইলে গেম খেলে আয়ের বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। সেই পোস্টে “মোঃ সুলতান আহমদ” নামের একজন ভিজিটর কমেন্ট করেছেন “নিয়মটা শিখাবেন কি এবং কিভাবে টাকা পাবো? সত্যিই পাবো? যদি না পাই, তাহলে কি হবে”? কমেন্টের জবাবে ব্লগের এডমিন নিজেই বলেছেন যে, এ সব এপস এর উপর ভরসা করবেন না। কারণ এই সব গেম খেলে টাকা পাবেন কি না, সেটার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।
এই উদাহরনের মাধ্যমে ব্লগের লেখককে ছোট করাটা আমার উদ্দেশ্য নয়। এখানে আমি সেটাই বুঝাতে চাইছি যে, এই সব এপস থেকে আয় করার বিষয় চিরতরে ভূলে যান। কারণ এগুলো দিয়ে আপনি Long Time আয় করতে পারবেন না। সাময়িকভাবে এক দুই মাস অল্প কিছু টাকা আয় করতে পারলেও দীর্ঘদিন টাকা আয় করে যেতে পারবেন না।
গেম খেলে আয় করার জন্য যা যা লাগবে
আপনার যদি কোনো ভিডিও গেম খেলার বিষয়ে অভীজ্ঞতা না থাকে, তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ার সাথে সাথে আপনি অনলাইনে হতে আয় করা শুরু করতে পারবেন না। কারণ আপনি যদি একজন গেমার না হন বা গেম খেলতে না জানেন, তাহলে শুরুতেই আপনি আয় করার শুরু করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে বিভিন্ন ভিডিও গেম খেলা শিখে নিয়ে খেলায় এক্সপার্ট হতে হবে। আর যারা গেম খেলায় বেশ পারদর্শী তারা আজ থেকে গেম খেলে আনলাইন থেকে আয় করার কাজ শুরু করতে পারবেন।
গেম খেলে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য নিচের বিষয়গুলোর প্রয়োজন হবে-
- ভিডিও গেম খেলার প্রতি আপনার আগ্রহ থাকতে হবে। গেমের প্রতি আগ্রহ ছাড়া আয় করতে পারবেন না।
- গেম খেলায় পারদর্শি বা অভীজ্ঞ হতে হবে।
- একটি কম্পিটার থাকতে হবে। তবে ভালোমানের মোবাইল থাকলে মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন।
- অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- ভিডিও এ্যাডিট করার টুকিটাকি ধারনা থাকলে ভালো, না থাকলে সমস্যা হবে না।
- ভালো গেমিং এর জন্য গেমিং কনসোল প্রয়োজন হবে।
গেম খেলে অনলাইনে আয় করার উপায়
গেম খেলে অনলাইন থেকে আয় করার অসংখ্যা উপায় রয়েছে। আপনি যদি একজন ভালোমানের ভিডিও গেমার হয়ে থাকেন, তাহলে খুব সহজে বিভিন্ন উপায়ে গেম খেলে অনলাইন থেকে আয় করতে সক্ষম হবেন। একজন গেমার কিভাবে ভিডিও গেম খেলে অনলাইন থেকে মানি জেনারেট করতে পারেন, এখন আমরা সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১। গেমিং ইউটিউবার হয়ে আয়
একজন গেমার এর জন্য অনলাইন থেকে আয়ের সবচাইতে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউবে গেমারদের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। গেমিং চ্যানেলগুলোর ভিডিও অনলাইনে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়ে থাকে। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে অন্যান্য ইউটিউবারদের মত গেমার ইউটিউবারদের খুব বেশি মেধা খরছ করতে হয় না।
সাধারণত একজন টেক ইউটিউবারকে ভিডিও তৈরি করার জন্য অনেক ধরনের টেকনিক অবলম্বন করতে হয়, কিন্তু গেমার ইউটিউবারদের এ ধরনের টেকনিক খাটানোর প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যদি একজন অভীজ্ঞ ভিডিও গেমার হন, তাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে গেম এর বিভিন্ন জঠিল অংশগুলো কিভাবে খেলতে হয়, সে বিষয়ে স্ক্রিন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
সাধারণত একজন গেমার ইউটিউবার তিনটি উপায়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন। এখানে সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে যে, ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনাকে আলাদা কোন স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হবে না। একসাথে আপনার ভিডিও খেলার সখ ও ভিডিও তৈরির কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন ভালোমানের গেমার হন, তাহলে ভিডিও গেম খেলার সময় ভিডিও এর ভীতরের কঠিন ধাপগুলো স্ক্রিন ভিডিও রেকর্ড করে, সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। কারণ একটি ভিডিও গেমের কঠিন ধাপগুলো খেলার উপায় ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে সার্চ করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি গেমের কঠিন ধাপগুলো সফলভাবে খেলতে পারলে, আপনার ভিডিও ইউটিউবে সহজে ভাইরাল হবে।
দ্বিতীয়ত, যে ভিডিও গেম সম্পর্কে আপনার ভালো ধারনা আছে, সেই ভিডিও গেমের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সবসময় নতুন নতুন ভিডিও গেমগুলোর খবর নিয়মিত রাখতে হবে এবং এগুলো সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে।
তৃতীয়ত, ভিডিও এর কমেন্ট্রি তৈরি করা। এই কাজটি সকল সফল গেমার ইউটিউবাররা করে থাকে। আপনি ভিডিও গেম খেলার সময় ভিডিও গেমের ভীতরে কোথায় কি হচ্ছে, সামনে কি আছে, বিভিন্ন স্টেপে কি কি ঘটতে পারে, গেম খেলার সময় সেগুলো খেলার সাথে সাথে কমেন্ট্রি করতে পারেন। এর ফলে এক দিকে যেমন খেলা হয় অন্য দিকে বিনোদনও হয়। এ ধরনের ভিডিও ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে ভিউ হয়।
বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে T-Series. এটি ভারতের একটি মিউজিক কোম্পানি। তাদের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ১৪ কোটির কাছাকাছি। T-Series এর পরেই বিশ্বের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে PewDiePie, যেটি একটি গেমিং চ্যানেল। PewDiePie ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ১১ কোটি। আপনি চিন্তা করে দেখুন, একটি গেমিং চ্যানেল জনপ্রিয়তার তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করে নিয়েছে। PewDiePie চ্যানেলটি শুধুমাত্র গেমিং ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে প্রতিমাসে প্রায় $500,000 ডলার আয় করে।
এ ছাড়াও ইউটিউবে শত শত জনপ্রিয় গেমিং ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আপনি যদি একজন ভালোমানের গেমার হন, তাহলে শুরুর দিকে ভিডিও আপলোড করে প্রতিমাসে ৩০০-৫০০ ডলার আয় করা কোন বিষয় হবে না। তারপর আপনার জনপ্রিয়তা যত বাড়তে থাকবে আপনার আয়ের পরিমানে তত বৃদ্ধি পাবে।
গেমিং ওয়েবসাইটগুলোতে হিউস পরিমানে ট্রাফিক থাকে। কাজেই আপনি যদি গেমিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এই কাজটি সহজ হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকতে হবে। কারণ গেমের রিভিউ সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে না পারলে পাঠক আপনার রিভিউ পড়তে চাইবে না।
তাছাড়া Twitch এর সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে, এখানে ইউটিউবের মত এত কঠিন পলিসি নেই। ভিডিও তৈরি করে খুব অল্প সময়ে Twitch থেকে আয় শুরু করা যায়। Twitch থেকে আয় করার জন্য নিচের Requirement গুলো পুরন হলেই ভিডিও মনিটাইজ করে আয় করা সম্ভব হয়।
আপনি যদি খুব ভালোভাবে PUBG খেলতে পারেন কিংবা নিজেকে PUBG এক্সপার্ট মনে করেন, তাহলে অনলাইনে রেজিস্ট্রার করে বিভিন্ন দলের সাথে পাবজি খেলে ঘরে বসে টাকা আয় করে নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনি খেলায় হারলে, আপনার এন্ট্রি ফি ফিরে পাবেন না। এ ধরনের গেমের ক্ষেত্রে আপনি অভীজ্ঞ না হলে অংশগ্রন করবেন না। কারণ অনলাইন অনেক অভীজ্ঞ গেমার রয়েছে, যারা আপনার চেয়ে অনেক ভালো গেম খেলতে পারে। কিন্তু আপনি অভীজ্ঞ হলে সবসময় টুর্ণামেন্ট জিতে গেমিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সে জন্য প্রত্যেকটি গেম রিলিজ করার পূর্বে গেম কোম্পানীর এমন একজন গেম টেষ্টারের প্রয়োজন পড়ে যে তাদের গেমের বিভিন্ন ত্রুটি ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবে। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে গেম সম্পর্কে আপনার প্রচুর পরিমানে অভীজ্ঞতা থাকতে হবে।
তবে ইচ্ছে করলেই যে কেউ গেম টেষ্টারের কাজ পাবে না। গেম টেষ্টারের কাজটি অনেক সহজ মনে হলেও গেম সম্পর্কে টেকনিক্যাল দক্ষতা ছাড়া কখনোই কাজটি সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারবে না। গেম টেষ্টার হওয়ার জন্য বিভিন্ন গেম, গেমের ফিচার সমূহ এবং কিভাবে সেগুলো খেলতে হয়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনার যথেষ্ট জ্ঞান ও অভীজ্ঞ থাকতে হবে।
আপনি একজন অভীজ্ঞ গেমার হয়ে থাকলে প্রথমে গেম টেষ্টিং এর কাজ পাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য একটি ওয়েবসাইট খুজে বের করতে হবে। অনলাইনে বড় বড় মার্কেটপ্লেস রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ভালোমানের গেম টেস্টার খুঁজে থাকে। গেম সম্পর্কে আপনার প্রচুর পরিমানে আগ্রহ ও দক্ষতা থাকলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে এ ধরনের ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে কোন সমস্যা হবে না। এটা এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং।
সাধারণত একজন টেক ইউটিউবারকে ভিডিও তৈরি করার জন্য অনেক ধরনের টেকনিক অবলম্বন করতে হয়, কিন্তু গেমার ইউটিউবারদের এ ধরনের টেকনিক খাটানোর প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যদি একজন অভীজ্ঞ ভিডিও গেমার হন, তাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে গেম এর বিভিন্ন জঠিল অংশগুলো কিভাবে খেলতে হয়, সে বিষয়ে স্ক্রিন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন ভালোমানের গেমার হন, তাহলে ভিডিও গেম খেলার সময় ভিডিও এর ভীতরের কঠিন ধাপগুলো স্ক্রিন ভিডিও রেকর্ড করে, সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। কারণ একটি ভিডিও গেমের কঠিন ধাপগুলো খেলার উপায় ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে সার্চ করা হয়। এ ক্ষেত্রে আপনি গেমের কঠিন ধাপগুলো সফলভাবে খেলতে পারলে, আপনার ভিডিও ইউটিউবে সহজে ভাইরাল হবে।
দ্বিতীয়ত, যে ভিডিও গেম সম্পর্কে আপনার ভালো ধারনা আছে, সেই ভিডিও গেমের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সবসময় নতুন নতুন ভিডিও গেমগুলোর খবর নিয়মিত রাখতে হবে এবং এগুলো সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে।
তৃতীয়ত, ভিডিও এর কমেন্ট্রি তৈরি করা। এই কাজটি সকল সফল গেমার ইউটিউবাররা করে থাকে। আপনি ভিডিও গেম খেলার সময় ভিডিও গেমের ভীতরে কোথায় কি হচ্ছে, সামনে কি আছে, বিভিন্ন স্টেপে কি কি ঘটতে পারে, গেম খেলার সময় সেগুলো খেলার সাথে সাথে কমেন্ট্রি করতে পারেন। এর ফলে এক দিকে যেমন খেলা হয় অন্য দিকে বিনোদনও হয়। এ ধরনের ভিডিও ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে ভিউ হয়।
ভিডিও গেম খেলে ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
ভিডিও গেম খেলে আপনি ইউটিউব থেকে কি পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন, সে সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য বিশ্বের জনপ্রিয় একটি গেমার ইউটিউব চ্যানেলের উদাহরণ হিসেবে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে T-Series. এটি ভারতের একটি মিউজিক কোম্পানি। তাদের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ১৪ কোটির কাছাকাছি। T-Series এর পরেই বিশ্বের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে PewDiePie, যেটি একটি গেমিং চ্যানেল। PewDiePie ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ১১ কোটি। আপনি চিন্তা করে দেখুন, একটি গেমিং চ্যানেল জনপ্রিয়তার তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করে নিয়েছে। PewDiePie চ্যানেলটি শুধুমাত্র গেমিং ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে প্রতিমাসে প্রায় $500,000 ডলার আয় করে।
এ ছাড়াও ইউটিউবে শত শত জনপ্রিয় গেমিং ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আপনি যদি একজন ভালোমানের গেমার হন, তাহলে শুরুর দিকে ভিডিও আপলোড করে প্রতিমাসে ৩০০-৫০০ ডলার আয় করা কোন বিষয় হবে না। তারপর আপনার জনপ্রিয়তা যত বাড়তে থাকবে আপনার আয়ের পরিমানে তত বৃদ্ধি পাবে।
২। গেমিং ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়
বিভিন্ন ধরনের গেম সম্পর্কে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনার নিজের নামে একটি ফ্রি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে গেমের রিভিউ লিখে ব্লগের মাধ্যমে অনলাইন থেকে হাজার ডলার মাসে আয় করে নিতে পারেন। রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন গেমের ভালো খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। কারণ আপনার ব্লগে গেম এর ভালো ও মন্দ দিকগুলো লেখার মাধ্যমে ফুঠিয়ে তুলতে হবে।গেমিং ওয়েবসাইটগুলোতে হিউস পরিমানে ট্রাফিক থাকে। কাজেই আপনি যদি গেমিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এই কাজটি সহজ হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকতে হবে। কারণ গেমের রিভিউ সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে না পারলে পাঠক আপনার রিভিউ পড়তে চাইবে না।
৩। Twitch এ গেমিং ভিডিও আপলোড করে আয়
Twitch হচ্ছে ইউটিউব এর মত একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। কিন্তু Twitch এ ইউটিউবের মত সকল ধরনের ভিডিও আপলোড করা হয় না। এখানে শুধুমাত্র ভিডিও গেমের লাইভ স্ট্রিমিং ও রেকর্ড করার ভিডিও গেমের বিভিন্ন অংশ আপলোড করা হয়। আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তাহলে Twitch ভিডিও আপলোড করে আয় করাটা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।তাছাড়া Twitch এর সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে, এখানে ইউটিউবের মত এত কঠিন পলিসি নেই। ভিডিও তৈরি করে খুব অল্প সময়ে Twitch থেকে আয় শুরু করা যায়। Twitch থেকে আয় করার জন্য নিচের Requirement গুলো পুরন হলেই ভিডিও মনিটাইজ করে আয় করা সম্ভব হয়।
- এক মাসে মাত্র ৫০০ মিনিট ওয়াচ টাইম থাকলে ভিডিও মনিটাইজ করা যায়।
- সর্বশেষ এক মাসে ৭ টি ভিডিও আপলোড করতে হয়।
- মাত্র ৫০ জন ফলোর থাকলে ভিডিও মনিটাইজ করা সম্ভব হয়।
৪। গেমিং টুর্নামেন্ট খেলে আয়
অনলাইনে ভিডিও গেমের টুর্নামেন্ট খেলাটা গেমারদের জন্য এখন নেশায় পরিনত হয়েছে। ভিডিও গেমের টুর্ণামেন্ট এখন অনলাইনে খেলার পাশাপাশি অফলাইনেও খেলা হয় থাকে। বিশেষকরে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় গেইম PUBG এবং Call of Duty এর টুর্ণামেন্ট বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে আয়োজন করতে দেখা যায়। তাছাড়া এ ধরনের গেমগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনে এন্ট্রি ফি দাখিল করে টিমওয়ারি গেম খেলে টাকা আয় করা যায়।আপনি যদি খুব ভালোভাবে PUBG খেলতে পারেন কিংবা নিজেকে PUBG এক্সপার্ট মনে করেন, তাহলে অনলাইনে রেজিস্ট্রার করে বিভিন্ন দলের সাথে পাবজি খেলে ঘরে বসে টাকা আয় করে নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপনি খেলায় হারলে, আপনার এন্ট্রি ফি ফিরে পাবেন না। এ ধরনের গেমের ক্ষেত্রে আপনি অভীজ্ঞ না হলে অংশগ্রন করবেন না। কারণ অনলাইন অনেক অভীজ্ঞ গেমার রয়েছে, যারা আপনার চেয়ে অনেক ভালো গেম খেলতে পারে। কিন্তু আপনি অভীজ্ঞ হলে সবসময় টুর্ণামেন্ট জিতে গেমিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৫। গেম টেষ্টার হয়ে আয়
সাধারণত প্রত্যেকটি গেম কোম্পানী একটি নতুন গেম লঞ্চ করার পূর্বে গেম সম্পর্কে ক্রেতারা কি ধরনের মনোভাব পোষণ করবে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এটি জানতে গেম কোম্পানীগুলো চরম আগ্রহী যে, তাদের গেমটি ক্রেতারা পছন্দ করবে কি না বা গেমে কোন ধরনের ত্রুটি আছে কি না?সে জন্য প্রত্যেকটি গেম রিলিজ করার পূর্বে গেম কোম্পানীর এমন একজন গেম টেষ্টারের প্রয়োজন পড়ে যে তাদের গেমের বিভিন্ন ত্রুটি ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবে। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে গেম সম্পর্কে আপনার প্রচুর পরিমানে অভীজ্ঞতা থাকতে হবে।
তবে ইচ্ছে করলেই যে কেউ গেম টেষ্টারের কাজ পাবে না। গেম টেষ্টারের কাজটি অনেক সহজ মনে হলেও গেম সম্পর্কে টেকনিক্যাল দক্ষতা ছাড়া কখনোই কাজটি সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারবে না। গেম টেষ্টার হওয়ার জন্য বিভিন্ন গেম, গেমের ফিচার সমূহ এবং কিভাবে সেগুলো খেলতে হয়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনার যথেষ্ট জ্ঞান ও অভীজ্ঞ থাকতে হবে।
আপনি একজন অভীজ্ঞ গেমার হয়ে থাকলে প্রথমে গেম টেষ্টিং এর কাজ পাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য একটি ওয়েবসাইট খুজে বের করতে হবে। অনলাইনে বড় বড় মার্কেটপ্লেস রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ভালোমানের গেম টেস্টার খুঁজে থাকে। গেম সম্পর্কে আপনার প্রচুর পরিমানে আগ্রহ ও দক্ষতা থাকলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে এ ধরনের ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে কোন সমস্যা হবে না। এটা এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং।
শেষ কথা
আসলে গেম সম্পর্কে আপনার প্রচুর আগ্রহ ও দক্ষতা থাকলে আপনি উপরের সোর্সগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে গেম খেলে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে গেমিং এর ক্ষেত্রে ইউটিউব হচ্ছে সবচাইতে বেটার প্লাটফর্ম সেহেতু আপনি শুরুর দিকে শুধুমাত্র ইউটিউবে গেম এর স্ট্রিমিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। তারপর ধিরে ধিরে গেমার হিসেবে আপনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার পর অন্যান্য বিভিন্ন সোর্স হতে খুব সহজে আপনি নিজেই গেমিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।
কাজেই আমি ব্যক্তিগতভাবে গেমারদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনার যদি গেমের প্রতি আসক্তি থাকে, তাহলে শুধু শুধু গেম খেলে সময় নষ্ট না করে, আপনার শখকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব এ গেমিং এর ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। তারপর ধিরে ধিরে লাইভ স্ট্রিমিং ও কমেন্ট্রি গেমিং ভিডিও আপলোড করলে এক সময় আপনার গেম খেলার আসক্তি ও সখ অনলাইন হতে মানি জেনারেট করার উপায় হিসেবে কনভার্ট হয়ে যাবে।
কাজেই আমি ব্যক্তিগতভাবে গেমারদের উদ্দেশ্যে বলব, আপনার যদি গেমের প্রতি আসক্তি থাকে, তাহলে শুধু শুধু গেম খেলে সময় নষ্ট না করে, আপনার শখকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব এ গেমিং এর ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। তারপর ধিরে ধিরে লাইভ স্ট্রিমিং ও কমেন্ট্রি গেমিং ভিডিও আপলোড করলে এক সময় আপনার গেম খেলার আসক্তি ও সখ অনলাইন হতে মানি জেনারেট করার উপায় হিসেবে কনভার্ট হয়ে যাবে।
good post
good post
Thanks bro, stay us
দারুন লিখেছেন, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Thanks and stay us...
কিভাবে আয় করা হবে
অনেক ভালো লাগলো