অনলাইন শপিং: সবচেয়ে বড় ১০ টি অনলাইন শপিং মল!
অনলাইন শপিং নিয়ে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেই সাথে অনলাইন শপিং
কিভাবে করে কিংবা কিভাবে অনলাইন থেকে যেকোন ধরনের পন্য কেনাকাঠা করতে হয়, সেই
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাছাড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মল
দারাজ অনলাইন শপিং থেকে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে কিভাবে পন্য কিনতে হয়, সে
বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব।
অনলাইন শপিং বর্তমানে সহজ হয়ে উঠার কারনে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা সবাই এখন
অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করি। নিজের বাসায় বসে অর্ডার করে বাসায় বসে পণ্য
পেয়ে টাকা পরিশোধ করে কেনাকাটা বা শপিং করার মজাই আলাদা। অনেকটা দেরিতে হলেও
বাংলাদেশের কয়েকটি অনলাইন শপিং মল ধীরে ধীরে তাদের সেবার মান বৃদ্ধি করে চলেছে!
বাংলাদেশে প্রথম যখন অনলাইন শপিং চালু হয়, তখন মানুষ খুব একটা অনলাইন হতে
কেনাকাঠা করত না। কারণ সেই সময়ে ইন্টারনেট ততটা সহজলভ্য ছিল না। তাছাড়া অনলাইন
শপিং মল গুলোর প্রতারনার কারনে অনেক লোক অনলাইন হতে শপিং করতে চাইত না। কিন্তু
বর্তমানে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট গুলো বিশ্বস্ততার সহিত পন্য ডেলিভারি দেয় বিধায়
মানুষ এখন অনলাইন শপিং করতে বেশ সাচ্ছন্দবোধ করে।
অনলাইন শপিং সম্পর্কে আরো পড়ুন -
সময় এখন ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটার ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ হওয়ার কারনে সবাই
ঘরে বসে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী থেকে শুরু করে
কাপড় চোপড় সহ খাবার দাবার ঘরে বসে অনলাইন থেকে শপিং করতে চায়। ঘরে বসে খুব অল্প
সময়ে যেকোন ধরনের পন্য হাতে পাওয়া যায় বিধায় অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা আমদের দেশে
দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনলাইন শপিং কি?
অনলাইন শপিং নিয়ে তেমন কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ এখন শহরের
লোক থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোক পর্যন্ত অনলাইনে শপিং করে। সেই
জন্য অনলাইন শপিং কি, সেটা আমাদের সবার কম-বেশি জানা আছে।
অনলাইন শপিং হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইন
শপিং ওয়েবসাইট হতে পন্য অর্ডার করে সেই পন্য হাতে পাওয়া। এ ক্ষেত্রে পন্য কেনার
জন্য আপনাকে স্বশরীরে কোথাও যেতে হবে না। আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে পন্য অর্ডার
করবেন এবং অনলাইন শপিং কোম্পানি আপনার অর্ডারকৃত পন্য আপনার হতে পৌছে দিবে।
এ ক্ষেত্রে পন্য হাতে পাওয়ার পর পছন্দ হলে আপনি প্রোডাক্ট এর মূল্য পরিশোধ করবেন।
আর পন্য পছন্দ না হলে সেটি ফেরত দিয়ে পুনরায় আপনার পছন্দমত প্রোডাক্ট নিতে
পারবেন। তবে প্রোডাক্ট অর্ডার করার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই ডিলিভারি চার্জ
পরিশোধ করতে হবে।
মূলত অনলাইন শপিং এর সম্পূর্ণ প্রসেসটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রোডাক্ট
পছন্দ করার ক্ষেত্রে মার্কেটে না গিয়ে ইন্টারনেট হতে নির্দিষ্ট শপিং মল এর
প্রোডাক্ট পছন্দ হওয়ার পর আপনি সেই পন্য অর্ডার করবেন। ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার
করে অনলাইনে প্রোডাক্ট ক্রয় বিক্রয় হওয়ার কারনে এটিকে আমরা সবাই অনলাইন শপিং বলি।
কিভাবে অনলাইন শপিং করতে হয়?
কিভাবে অনলাইন শপিং করতে হয় সে বিষয়ে আপনি নিশ্চয় একটা বেসিক ধারনা পেয়েছেন।
তারপরও সকলের সুবিধার্তে অনলাইন শপিং করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে তুলে
ধরার চেষ্টা করব। এতেকরে যারা অনলাইন সম্পর্কে কম বুঝেন তারা অনলাইন শপিং
সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নিতে পারবেন।
সাধারণত অনলাইন ব্যবসায়িরা তাদের পন্যের ছবি সহ পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা
দিয়ে পন্যের মূল্য একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে রাখেন। আর আমরা সেই ওয়েবসাইট হতে
প্রোডাক্ট এর ছবি, মূল্য ও অন্যান্য বিষয় জানার পর সেই পন্য ক্রয় করার জন্য
অর্ডার করি। অর্ডার করার সময় অর্ডারকারীর নাম, ঠিকানা সহ অনুষাঙ্গিক তথ্য সংযোজন
করতে হয়।
তারপর অনলাইন শপিং মল আপনার অর্ডার যাচাই বাছাই করার পর কুরিয়ার সার্ভিসের
মাধ্যমে আপনার ঠিকানায় প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে আপনি ঢাকা অবস্থান করলে
আপনার প্রোডাক্ট একজন ডিলিভারি বয় সরাসরি আপনার কাঙ্খিত ঠিকানায় পৌছে দেবে। যারা
ঢাকার বাহিরে অবস্থান করে তাদের প্রোডাক্ট সাধারণত ৫/৭ দিনের মধ্যে হাতে পৌছে।
কিভাবে অনলাইন শপিং ব্যবসা শুরু হয়?
সর্বপ্রথম ১৯৮৪ সালে অনলাইন শপিং বা অনলাইনে কেনাকাঠা শুরু হয়। তবে শুরুর দিকে
পৃথিবীর সকল দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছিল না বিধায় সেই সময় অনলাইন শপিং তেমন
লাভবান ছিল না। তারপরও যে দেশগুলোতে ইন্টারনেট ছিল সেই সকল দেশে মোটামুটি অনলাইনে
কেনাকাঠা হত।
তবে ১৯৯৪ সালে অনলাইন শপিং বৃহত্ত আকারে চালু হয়। অনলাইনে কেনাকাটার জয়যাত্রা
শুরু হয় ১৯৪ সাল থেকে। ঐ বছর বাজারে আসে অনলাইন শপিং এর সবচাইতে বড় মার্কে আমাজন।
সে সময় আমাজন শুধু বই বিক্রি করত। পরের বছর ১৯৯৫ সালে চালু হয় ই-বে, জাপানে এল
বৃহত্তম ই-বাণিজ্য সাইট রাকুতেন। পরের কয়েক বছর রাকুতেন পশ্চিমা বাজারও দখল করে
নিয়েছিল। জাপানে ব্যবসা শুরুর দু’বছর পর রাকুতেন পশ্চিমা বিশ্বে তাদের ব্যবসা
প্রসারিত করে।
আমাদের দেশে অনলাইন শপিং বেশ আগে চালু হলেও দ্রুত গতির ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইন
শপিং মল গুলো খুব একটা সফল হতে পারেনি। তবে বাংলাদেশে যখন ফোর-জি ইন্টারনেট চালু
হয়, তখন থেকে অনলাইন শপিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। বিশেষকরে ২০১৭ থেকে ২০২০
সাল এই ৪ বছরের মধ্যে আমাদের দেশে অনলাইন শপিং দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ৭ টি অনলাইন শপিং মল
এখন আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ৭ টি অনলাইন শপিং মল নিয়ে আলোচনা করব। সেই
সাথে পোস্টের শেষাংশে বিশ্বের ৩ টি বৃহত্তম ও জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মার্কেট
আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশাকরি এই শপিং মলের সাথে পরিচিত হলে আপনার ভালো লাগবে।
১। দারাজ অনলাইন শপিং - Daraz.com.bd
দারাজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মল, যেখানে আকর্ষণীয় বিভিন্ন ডিল
এবং ডিসকাউন্ট অফার সহ ফ্যাশন সামগ্রী, মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক এক্সেসরিজ এবং
গৃহস্থালি সংক্রান্ত পণ্য সমূহ এখন একদম সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। দারাজে এখন
ছেলেদের ফ্যাশন, মেয়েদের ফ্যাশন এবং শিশুদের ফ্যাশনে দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং
সুবিধাজনক অনলাইন শপিং করা যায়।
অনলাইনে আস্থার সাথে অনলাইন শপিং এখন দারাজেই সম্ভব। এখানে মোবাইল, ল্যাপটপ,
মোটরসাইকেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য এখন সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।
দারাজ অনলাইন শপিং ১১ ১১ নামে একটি অফার দারাজ বছরে একবার দিয়ে থাকে,
যেখানে খুব কম মূল্যে ভালোমানের প্রোডাক্ট ক্রয় করা সম্ভব হয়।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল সহ সারা দেশে ক্যাশ অন
ডেলিভারির মাধ্যমে অনলাইন শপিং এর সেরা অভিজ্ঞতা অনলাইনে ঘরে বসেই উপভোগ করতে
পারবেন। বাংলাদেশে এখন দারাজ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি সহ কাঙ্খিত
অনলাইন শপিং করা যায়।
২। রকমারি অনলাইন শপিং - Rokomari.com
রকমারি হচ্ছে বই কেনাকাঠার সবচেয় বড় বাংলাদেশী অনলাইন শপিং মল। এখানে আপনি গল্প,
কবিতা ও ছোট গল্প থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরনের বই ঘরে বসে ক্রয় করতে পারবেন।
শুধুমাত্র তাই নয়, আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন, তাহলে রকমারি এর মাধ্যমে আপনার
বই অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন।
রকমারি থেকে আমি বেশ কয়েক বার বই কিনেছি। তাদের সার্ভিস এবং সাপোর্ট দুটোই আমার
কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রত্যেকবার বই অর্ডার করার ৫/৭ দিনের মধ্যে বই হাতে
পেয়েছে। তাছাড়া রকমারি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকে। এতেকরে পছন্দের
বইগুলো সুবিধামত সময়ে কম পয়সায় কিনে রাখা যায়।
৩। আজকের ডিল অনলাইন শপিং - Ajkerdeal.com
আজকেরডিল ডটকম বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস। এই অনলাইন
মার্কেটপ্লেসটি সেপ্টেম্বর, ২০১১ মাসে চালু করা হয়েছিল। সর্বশেষ আট বছরে
অজকেরডিল অনলাইনে কেনাকাটা করা বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছে এবং অনলাইন অনলাইন বিক্রয়কারী ও ক্রেতাদের জন্য এটি
এখন বাংলাদেশের সর্বাধিক বিখ্যাত অনলাইন শপিং পোর্টাল।
২০০০ এর বেশি লাইন ডিলাররা এই অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসের সাথে কাজ করছে। আপনি
এই অনলাইন শপিং মল থেকে প্রায় সকল ধরনের পন্য ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারেন।
আজকেরডিল থেকে আপনি বিকাশ, রকেট এবং বিভিন্ন ধরনের মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে
পেমেন্ট করতে পারবেন।
৪। ইভ্যালি অনলাইন শপিং - Evaly.com.bd
ইভ্যালি (evaly) বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস। ইভ্যালি
খুব অল্প সময়ে অনলাইনে তাদের জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। আপনি যদি ফেসবুক
ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে কখনো না কখনো ফেসবুকে ইভ্যালি এর বিজ্ঞাপন দেখেছেন।
মূলত
ফেসবুক মার্কেটিং
এর কারনে ইভ্যালি খুব অল্প দিনে অনলাইন শপিং মার্কেট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এখানে আপনি ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরনের কাপড়চোপড় ক্রয়
করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে কম্পিউটার, মোবাইল সহ সকল ধরনের ডিজিটাল পন্য ক্রয়
করতে পারবেন। এখানেও বিকাশের মাধ্যমে সহজ পেমেন্ট করা যায়।
৫। ফুড পান্ডা খাবার শপিং - Foodpanda.com.bd
ঘরে ঘরে খাবার পরিবেষক হিসেবে ফুডপান্ডা (Foodpanda) এর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে।
স্মার্টফোন ব্যবহার করে অথচ ফুডপান্ডার নাম শুনেনি এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে।
Foodpanda বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা শহরে রয়েছে। আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার
হতে Foodpanda এর যেকোন খাবার অর্ডার করলে এক ঘন্টার মধ্যে আপনার হাতে পেয়ে
যাবেন।
Foodpanda অনলাইন শপিং মল থেকে আপনি সকল ধরনের খাবার অর্ডার করতে পারবেন। ভাত,
মাছ, মাংস এবং গ্রাম্য খাবার থেকে শুরু করে চাইনিজ ও থাই খাবার ঘরে বসে মুহুর্তে
অর্ডার করে খেতে পারবেন। তবে Foodpanda এখনো থানা পর্যায়ে তাদের সার্ভিস চালু
করেনি।
৬। পিকাবু অনলাইন শপিং - Pickaboo.com
পিকাবু অনেক পুরাতন একটি অনলাইন শপিং মল। পিকাবু ২০১৬ সাল থেকে আমাদের দেশের
অনলাইন শপিং মল হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রযুক্তি এবং গ্যাজেট গিক্সের জন্য পিকাবু
এর জনপ্রিয়তা বেশি। এখানে ইকেট্রিক পন্য থেকে শুরু করে যত ধরনের ডিজিটাল গেজেট
রয়েছে, তার প্রায় সবটাই পাওয়া যায়। প্রোডাক্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাদেরও বিকাশ
পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
৭। চাল-ডাল অনলাইন শপিং - Chaldal.com
চালডাল বাংলাদেশের সর্ব প্রথম অনলাইন ভিত্তিক গ্রোসারি শপ। বর্তমান সমাজের
ব্যস্তটায় ফাঁকে প্রত্যেকটি মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেন ঘরে বসে অনয়াসেই
কেনাকাটা করতে পারে এমন লক্ষ্য নিয়েই চালডাল এর যাত্রা শুরু। “সময় বাঁচাও, খরচ
বাঁচাও” এই স্লোগান নিয়েই চালডাল ঢাকাবাসীদের তাদের প্রাত্যহিক হয়রানি থেকে
মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত। যদিও আপাতত এই সেবাটি ঢাকা এর মাঝেই সীমাবদ্ধ,
তবে তারা বলছে অচিরেই সারা বাংলাদেশে তাদের এই সেবা ছড়িয়ে দেবে।
বিশ্বের জনপ্রিয় ৩ টি অনলাইন শপিং মল
উপরের শপিং মল ছাড়া আমাদের দেশে আরো অনেক গুলো অনলাইন শপিং মল রয়েছে। কিন্তু
সেগুলো এখনো পর্যন্ত তেমন একটা জনপ্রিয়তা অর্জ করতে পারেনি। এখন আমরা সারা
বিশ্বের ৩ টি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করব।
১। আমাজন অনলাইন শপিং - Amazon.com
আমাজন একটি মার্কিন ইলেক্ট্রনিক বাণিজ্য কোম্পানি, যার সদরদপ্তর মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে অবস্থিত। এটি মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা। শুরুর দিকে আমাজন একটি
অনলাইন বইয়ের দোকান হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে, কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের সকল
ধরনের পন্য আমাজন এ পাওয়া যায়।
সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে আমাজন অনলাইন শপিং মল চালু হয়। বর্তমানে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইতালি,
স্পেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান, চীন, ভারত ও মেক্সিকোতে
আমাজন পৃথক খুচরা ওয়েবসাইট রয়েছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, আমাদের দেশে এখন অবধি
আমাজন তাদের কোন সার্ভিস চালু করেনি।
২। আলীএক্সপ্রেস অনলাইন শপিং - Aliexpress.com
Aliexpress বিশ্বের আরেকটি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস। এটি সর্বপ্রথম ২০১০
সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি চায়না কোম্পানি। অনলাইনে কেনাকাঠা করার
ক্ষেত্রে Aliexpress এর হিউজ পরিমানে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখান থেকে যেকোন কোন
ধরনের প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়। ডিজিটাল এবং চায়না প্রোডাক্টের
ক্ষেত্রে Aliexpress এর জনপ্রিয়তা বেশি রয়েছে।
১০। ই-বে অনলাইন শপিং - eBay.com
eBay.com অনেক পুরাতন ও জনপ্রিয় একটি অনলাইন শপিং মল। এটি সর্বপ্রথম ১৯৯৫ সালে
চালু হয়। এটি একটি আমেরিকান কোম্পানি। ২০১৫ সালের পূর্বে eBay.com ছিল
বিশ্বের এক নম্বর অনলাইন শপিং মল। কিন্তু আমাজন এর কারনে eBay.com বর্তমানে
কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।
এই মার্কেটপ্লেস থেকে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়। তবে আমাদের
দেশে eBay.com এর কোন সার্ভিস এখনো চালু হয়। eBay.com থেকে কোন ধরনের
প্রোডাক্ট ক্রয় করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি মাস্টার কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড এর
প্রয়োজন হবে।
শেষ কথা
আশাকরি আপনি অনলাইন শপিং সম্পর্কে মোটামুটি ক্লিয়ার ধারনা পেয়েছেন। সেই
সাথে সবচেয়ে বড় ১০ টি অনলাইন শপিং মল সম্পর্কে আপনার কনসেপ্ট পরিষ্কার
করার পাশাপাশি অনলাইন শপিং ব্যবসা সম্পর্কেও ধারনা দিতে পেরেছি।
Thank you 😍😍
Welcome and stay us...
বিক্রয় ডটকমও তো অনেক জনপ্রিয় সাইট ও এলেক্সা রেটিংয়ে ভাল অবস্থানে আছে।
আপনার কথা ঠিক আছে। তবে বিক্রয় ডট কম কোন শপিং মল নয়। তারা নিজেদের কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করে না।
অন্যরা তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রোডাক্ট সেল ও ক্রয় করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
তারপরও পোস্টে বিক্রয় ডটকম যুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ...
Thanks
প্রিয় রশিদ ভাই,
ব্লগারের লিংক ফেইসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে যে ছবিটা আসে সেটা কিভাবে পরিবর্তন করা যায়? আমি অনেক চেষ্টা করেছি পারিনি। অনুগ্রহ করে জানাবেন।
সাধারণত ব্লগে Facebook Open Graph নামক একটি ম্যাটা ট্যাগ থাকে। সেই ট্যাগের জন্য পোস্টের প্রথম ছবি ফেসবুক শো হয়। এটা মাল্টিপুল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ব্লগে Facebook Open Graph নামক একটি ম্যাটা ট্যাগ সঠিকভাবে সেট করতে হবে।
এ বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট আছে। পোস্ট পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্টের লিংক টা দিলে উপকৃত হতাম
অগ্রীম ধন্যবাদ
Meta tag লিখে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।
খুব সুন্দর একটি পোষ্ট তবে টাইটেলে বাংলাদেশ উল্লেখ্য করার দরকার ছিলো
যেমনঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ১০ টি অনলাইন শপিং মল
সাব হেডিংয়ে দেওয়া আছে। আমার মনেহয় আপনি পুরো পোস্টটি পড়েননি বিধায় বিষয়টি আপনার দৃষ্টিগোচর হয়নি।
অধিকন্তু টাইটেল অপটিমাইজ করতে গিয়ে বাংলাদেশ শব্দটি বাদ মূল টাইটেল হতে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সাজেশন এর জন্য ধন্যবাদ...