গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি করা যায়?

গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো একটি আর্ট বা শিল্প। কোন একটি চিত্রের নকশা তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। একজন ব্যক্তিকে তার মনের মাধুরী মিশিয়ে ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার সমন্বয়ে কম্পিউটার সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে থাকেন। যে ব্যক্তির মধ্যে যত ক্রিয়েটিভ গুন থাকবে সেই ব্যক্তি তত ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবে।

আজ আমরা আলোচনা করব বহুল চাহিদা যুক্ত একটি অনলাইন কাজ সম্পর্কে, আর তা হলো “গ্রাফিক্স ডিজাইন”। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে সম্পূর্ন লেখা মন দিয়ে পড়ুন। সেই সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার পরে আপনি কোন কোন সেক্টরে চাকরি ও ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন সেই সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা নেওয়ার জন্য আজকের পোস্টটি পড়তে পারেন।

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে অনেক ডিমান্ডেবল একটি পেশা। অনলাইন ও অফলাইনে গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রচুর পরিমানে চাহিদা রয়েছে। কেউ কেউ এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করে কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করছে। আবার কিছু লোক বিভিন্ন কোম্পানিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাকরি করছে। কেউবা লেখাপড়ার পশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে পার্টটাইম ইনকাম করছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি করা যায়?


গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা সব জায়গাতে থাকার কারনে আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুন ও যুবক বয়সের ছেলে মেয়েরা গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারনে কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা শুরু করবে তা বুঝতে পারে না। তাছাড়া ভালোমানের প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে না পারায় গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করা সত্বেও একজন লোক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারছে না।

আমরা আজকের পোস্টে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিশেষকরে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে কি বুঝায়, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি করা যায়, গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স কোথায় করবেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি কি শেখানো হয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন অনলাইন কোর্স কিভাবে করবেন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

অনলাইনে ইনকাম করতে পড়ুন—
আমার বিশ্বাস আপনি এই পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার সকল পদ্ধতি জানতে পারবেন এবং পরবর্তীতে আপনি নিজেও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে অনলাইনে ও অফলাইনে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। সুতরাং আর বেশি কথা না বলে বিস্তারিত বিষয় জেনে নেওয়া যাক—

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন দুটি শব্দ যার প্রথম শব্দ গ্রাফিক্স। গ্রাফিক্স শব্দটিকে ভাংলে দুটি শব্দ পাওয়া যায়। একটি হলো গ্রাফ আরেকটি হলো ফিক্স। গ্রাফ মানে রেখা বা চিত্র আর ফিক্স মানে নির্দিষ্ট। গ্রাফিক্স শব্দের অর্থ দাড়ায় নির্দিষ্ট একটি চিত্র আর ডিজাইন অর্থ আকার বা নকশা। অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইন অর্থ হচ্ছে নির্দিষ্ট একটি চিত্রের আকার বা নকশা। বিজ্ঞাপন বা ম্যাগাজিন বা বইয়ের ছবি একত্রিত করার শিল্প বা দক্ষতাই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে কি বুঝায়?

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বর্ণনা আসলে ব্যাপক, যা বলে শেষ করার মত না। একটু ভেবে দেখুন আপনার চারপাশের অবস্থা। আশেপাশে যা দেখতে পাচ্ছেন তার মধ্যে আমার বলা কিছু জিনিস আপনি দেখতে পান কি না। জিনিস গুলো হলো– স্কুল বা কলেজের ভর্তি ব্যানার, বিভিন্ন ব্যবসার পোস্টার বা লিফলেট, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যানার, বিয়ে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড, বিভিন্ন প্রোডাক্টের গায়ে কোনো প্রতিকী বা অক্ষর চিহ্ন, স্টিকার বা ট্যাটু ইত্যাদি। আপনি কি জানেন এ সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাহলে ভাবেন এর পরিধি কত ব্যাপক।


গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেকগুলো ভাগ আছে। একেকটি ভাগ একেকটি স্বতন্ত্র কাজ সম্পাদন করে থাকে। এখন তাহলে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের নাম ও সেগুলোর কাজ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। লোগো ডিজাইন, কার্ড ডিজাইন, ফ্লাইয়ার ডিজাইন, প্রোডাক্ট হলোগ্রাম ডিজাইন, স্টিকার ডিজাইন, ইমেজ ইডিটিং ও ডিজাইন, ইমেজ রিসাইজ, স্ক্র্যাচ ডিজাইন ও ইন্টারফেস ডিজাইন ইত্যাদি।

১। লোগো ডিজাইন

লোগো ডিজাইন হলো বিভিন্ন প্রোডাক্টের গায়ে থাকা সাংকেতিক বা অক্ষর প্রতিকী কোনো চিহ্ন যা দ্বারা ঐ প্রোডাক্টের বা কোম্পানির নাম ও ধরন বুঝায়। ছোটো করে কিন্তু বড় একটি অর্থ বহন করাই লোগো ডিজাইনের কাজ। একটি অক্ষরকে রং দিয়ে ডিজাইন করে অথবা একটি ফুল বা পাখি বা অন্য যে কোনো ছবিকে ছোট আকারে ডিজাইন করে তৈরি করা হয় লোগো ডিজাইন। 

২। কার্ড ডিজাইন

বিয়ে, সুন্ন্যাত বা খ্যাতনা, মৃত্যু বা জন্মবার্ষিকী, স্কুল বা কলেজের অনুষ্ঠানের দাওয়াত বহন করে যে কার্ডগুলো তাই কার্ড ডিজাইন। আবার বিভিন্ন প্রফেশনাল ব্যক্তি তাদের পরিচয় ব্যক্ত করার জন্য যে নামপ্লেট গুলো ব্যবহার করে তাও এই কার্ড ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত। 

৩। ফ্লাইয়ার ডিজাইন

ফ্লাইয়ার অর্থ প্রচার। তার মানে বুঝতে পেরেছেন ফ্লাইয়ার ডিজাইন কাকে বলে। বিভিন্ন ধরনের লিফলেট দ্বারা কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি, সংস্থা, স্কুল বা কলেজের ভর্তি প্রচারণা ইত্যাদি আরও অনেক কাজ করা হয় এই ডিজাইনের সাহায্যে।

৪। প্রোডাক্ট হলোগ্রাম ডিজাইন

সাধারণত বিভিন্ন প্রোডাক্টের উপরে চকচকে কালারের বিভিন্ন রংয়ের যে ডিজাইন দেওয়া হয়, সেটাই হচ্ছে হলোগ্রাম ডিজাইন। এই ধরনের ডিজাইন সাধারণত উজ্জল হয়ে থাকে। সূর্যের আলো এসে পড়লে প্রোডাক্টটি তখন আরো বেশ চকচকে হয়ে উঠে।

৫। স্টিকার ডিজাইন

স্টিকার ডিজাইন নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। কারণ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি জিনিসে কোন না কোন কোম্পানির ছোট ছোট স্টিকার লাগানো থাকে। এই ধরনের স্টিকার ডিজাইনের ডিমান্ড লোকাল মার্কেটে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।

৬। ইমেজ ইডিটিং ও ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে ইমেজ ইডিটিং ও ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট। এই কাজের ডিমান্ড অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচুর পরিমানে রয়েছে। সাধারণত অ্যাডোব ফটোশপ ও অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর দিয়ে ইমেইজ ইডিটিং ও ডিজাইনিং করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য অবশ্যই ইমেজ ইডিটিং ও ডিজাইন এর কাজ শিখতেই হবে।

৭। স্ক্র্যাচ ডিজাইন

স্ক্র্যাচ ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি অংশ। সাধারণত এ ধরনের ছবি পেন্সিলে আকা ছবির মত হয়ে থাকে। শখের বসে এ ধরনের ছবি অনেকে তৈরি করে থাকে। এ ধরনের একটি স্ক্র্যাচ ছবি তৈরি করতে পারলে অনেক ভালোমানের টাকা পাওয়া যায়।

৮। ইন্টারফেস ডিজাইন

একজন ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে ইন্টারফেস ডিজাইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা থাকতে হবে। যে কোন ধরনের ডিজাইনের ইন্টারফেস তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ হতে হবে। একজন শিল্পি যেমন তার মনের মাধুরি মিশিয়ে রং তুলির সমন্বয়ে একটি ছবি আঁকে, ঠিক তেমনি একটি ইন্টারফেস ডিজাইন করার জন্য আপনার চিন্তা শক্তি ক্রিয়েটিভ হতে হবে। একটি মান সম্মত ইন্টারফেস ডিজাইন করে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি করা যায়?

পুরো বিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কি পরিমান চাহিদা রয়েছে তা আমি আপনাকে বলে বুঝাতে পারব না। যে কোন ধরনের ছোটখাটো প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে বড় বড় যত অনুষ্ঠান হয়, প্রায় সব ধরনের অনুষ্ঠানের ডেকোরশনের কাজে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ও ফেসটুনের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে লোগো ডিজাইন করার প্রয়োজনেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রচুর পরিমানে চাহিদা রয়েছে।

আপনি যদি একজন ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন, তাহলে টাকার পিছনে আপনাকে ছুটতে হবে না, টাকা আপনার পিছনে ছুটবে। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করেও মাসে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এ ছাড়াও আপনার নিজেস্ব ছোটখাটো কোন দোকান খোলেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে মাসে ৪/৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারনে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?

একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। প্রথমত একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফ্যাসটুন ও ডিজাইন বিক্রি করে। দ্বিতীয়ত বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে। তৃতীয়ত বিভিন্ন কোম্পানিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরি। তবে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইন চাইলে সবগুলো সেক্টরে এক সঙ্গে কাজ করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমি ইতোপূর্বে ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করেছি। পোস্টটি পড়লে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রচুর পরিমানে ডিমান্ড রয়েছে। নিচের চিত্রটি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, গ্রাফিক্স ডিজাইন করে একজন ফ্রিল্যান্সার কি পরিমান টাকা ইনকাম করছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?
উপরের চিত্রটি Upwork ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে নেওয়া হয়েছে। এই তিনজন হচ্ছেন আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভিন্ন ভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করে থাকে। এই তিনজন গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রতি ঘন্টার ৫০ ডলার নিয়ে থাকেন। এখন আপনি নিজেই বলুন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কি পরিমান টাকা ইনকাম করছে?

গ্রাফিক্স ডিজাইন চাকরি

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা বিশ্ব বাজারে। এখন সবাই যেহেতু অনলাইনে ব্যবসা ও অফিসিয়াল কাজ করছে তাই খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের কাজ হাতের নাগালে। এছাড়াও দেশে ও দেশের বাইরে আপনি যে ধরনের পদে ও অফিসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন তা দেখুন—
  1. সিনিয়র গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিতে পারেন সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিতে।
  2. গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন আইটি সেক্টরে।
  3. জেলা, উপজেলা ও সরকারি কার্যালয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। 
  4. ইমেজ এডিটিং এর কাজ করতে পারেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
  5. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে খুব সহজেই ঘরে বসে পেয়ে যেতে পারেন গ্রাফিক্স এর কাজ। 
  6. অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে কাজ পেতে পারেন। 
  7. ওয়ব ডেভেলপিং সাইট গুলোতে কাজ করতে পারেন। 
  8. ম্যাগাজিন ও সংবাদ মাধ্যম গুলোতে কাজ করতে পারেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স

সাধারণত দুটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করতে পারবেন। একটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে শিখে নিতে হবে এবং অপরটি হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান হতে শিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে যদি আপনার বেসিক ধারনা না থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোন ট্রেনিং সেন্টার হতে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করে নিতে হবে।

কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে গেলে আপনাকে খুব বেশি দক্ষ হতে হবে এমন কিছু না। কাজটা খুব যে কঠিন তাও নয়। বাস্তব জীবনে আমরা যেমন ছবি আঁকি আর প্রকৃতির কথা মনে করে তাতে মনের মাধুরী মিশিয়ে রং করি এমনই এক জিনিসের পরিপূরক রুপ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।

এই কাজ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনার থাকতে হবে একটি সুন্দর মন আর সৃজনশীল চিন্তা চেতনা। সেই সাথে থাকতে হবে একটি চিত্রকে কতটা মাধূর্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা যায় সে ভাবনা। ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করলে আর বেশি বেশি অনুশীলন করে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে যেতে পারে অনেক বড় গ্রাফিক্স ডিজাইনার।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে গেলে অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে গেলে আপনাকে কোন কোন বিষয়গুলো জানতে হবে তা সম্পর্কে আপনাদের আজ অবগত করা হবে। আসলে একজন বিগেনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বুঝতে পারেন না উনি কোথা থেকে শুরু করবে আর কোন বিষয়গুলো আগে শিখবে।

যদি আপনি জানেন যে কোন অংশ আপনার আগে শেখা  উচিত তাহলে আপনার কাছে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখাটা সহজ হয়ে যাবে। তাই আপনাদের জানার জন্য আমাদের স্বল্প প্রয়াস। গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রাথমিক পর্যায়ে কোন কোন বিষয়গুলো আপনি আগে শিখবেন তা পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হলো। নিচে দেখুন—

১। ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল

গ্রাফিক্স ডিজাইনের দুটি অংশ যা সম্পর্কে না জানলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন না। ঐ দুটি অংশ যখন আপনি পূর্ণাঙ্গ শিখে যাবেন তখন আপনি হবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরু। প্রথম অংশ ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল আরেকটি অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর। আমরা প্রথমে আলোচনা করব গ্রাফিক্স ডিজাইন ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল নিয়ে। 

ফটোশপ ফান্ডামেন্ডালের ভিতরে কয়েকটি অংশ জানতে হবে। আমি এ বিষয়ের বইয়ের লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিব। আপনারা ফটোশপ ফান্ডামেন্ডালে যা শিখবেন তা হলো—
  • টাইপোগ্রাফি ।
  • এথিকস অফ কালার এবং প্যাটার্ন। 
  • বেসিক প্রিন্সিপালস অফ সেপস। 
  • ইমেজ মেকিং টেকনিক। 
  • ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল যা পেইন্টিং জাতীয় ডিজাইন তৈরি করে।
ফটোশপ ফ্রিল্যান্সিং যা অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোর জন্য তৈরিকৃত টেমপ্লেট ডিজাইন, ব্যবসায়িক কার্ডের পরিচয় এবং কার্ডের পিছনের অংশ ডিজাইন করে থাকে। ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল যেহেতু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ তাই এর কাজ খুব সুন্দর করে আপনাকে শিখে নিতে হবে।

যে ধরনের সফটওয়্যার এপ্লিকেশন দিয়ে ফটোশপ ফান্ডামেন্ডালের কাজ করবেন তার একটি লিংক আমি নিচে দিয়েছি আপনারা অবশ্যই তা ডাউনলোড করে নিবেন। ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। (অবশ্যই ফটোশপ এর এই সফটওয়্যার এপ্লিকেশনটি ফোনের জন্য নয়) 

ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল ও পেইন্টিং ডিজাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ তাই এর বাংলা পিডিএফ বইয়ের লিঙ্ক নিচে দিয়েছি। বাইটি থেকে ফটোশপ ফান্ডামেন্ডাল এর অংশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন। বইটি ডাউনলোড করে নিবেন তাহলে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন।

২। অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর

অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর এমন একটা অংশ যা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের পুরো মস্তিষ্ককে বহন করে। বুদ্ধি খাটাতে যেমন মানুষের মাথা প্রয়োজন ঠিক তেমনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রফেশনাল হতে গেলে অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান থাকতে হবে। অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর যা ওয়েব ডিজাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।

এটি একটি সফটওয়্যার যার দ্বারা আপনি বিভিন্ন লোগো, অক্ষরের সেপ, রং ও বিভিন্ন ছোট শব্দের ডিজাইন করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার এপ্লিকেশনটির লিংক আমি নিচে দিয়েছি। আপনারা ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। (অবশ্যই এপ্লিকেশনটি ফোনের জন্য নয়) 

আমি আপনাদের সুবিধার জন্য ভালো মানের একটি বাংলা পিডিএফ বইয়ের লিংক দিয়েছি, নিচে দেখে নিবেন। আপনার পরিপূর্ণ ধারণার জন্য বইটি খুব ভালো হবে, আর আপনি অনেক ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। 

৩। ভিডিও এডিটিং

এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো একটা অবস্থান করে নিতে আপনি ফটো এডিটিং এর পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে নিতে পারেন, যা আপনার ক্যারিয়ারকে মজবুত করবে। কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাস এই কাজ শেখাতে সময় দিন এবং এর সব খুঁটিনাটি অংশ আয়ত্তে করে নিন। তাহলে দেখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব সহজ একটা কাজ। শুধু ধৈর্য্য নিয়ে লেগে থাকতে হবে। কারণ সাফল্য পেতে গেলে আপনার মেধা খাটাতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই শ্রম ও সময় দেয়া লাগবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স কোথায় করবেন?

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে সরকারীভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনি মাত্র ২০০০/- টাকার বিনিময়ে বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিতে পারবেন। সরকারীভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা মিনিমাম এইচএসসি পাশ হতে হবে। সরকারীভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ক্ষেত্রে ৬ মাস মেয়াদি কোর্সে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো শেখানো হয়ে থাকে—
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে প্রাথমিক ও  মৌলিক জ্ঞান অর্জন।
  • অ্যাডোব ফটোশপ, ইমেজরেডি ও অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এনিমেশন তৈরি।
  • অ্যাডোব প্রিমিয়ার ও ইউলিড এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিজিটাল ভিডিও এডিটিং।
  • এছাড়াও অ্যাডোব এর অন্যান্য সফটওয়্যারের ব্যবহার।
তবে আপনি যদি উপরোল্লিখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন না হন কিংবা আপনি যদি সরকারী প্রতিষ্ঠান হতে শিখতে না চান, তাহলে আপনার নিকটস্থ কোন ট্রেনিং সেন্টার হতে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি কি শেখানো হয়?

সাধারণত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কি কি কাজ শিখাবে সেটা আপনাকে প্রথমে ঐ প্রতিষ্ঠান হতে জেনে নিতে হবে। সেই সাথে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ভালো মানের ট্রেইনার আছে কি না তাও জেনে নেওয়া ভালো। তা না হলে আপনার কষ্টের টাকা অযথা নষ্ট হতে পারে। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ গ্রাফিক্স ডিজাইনের ট্রেনিং সেন্টারে দক্ষ প্রশিক্ষক থাকে না বিধায় ভর্তি হওয়া সত্বেও গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না।

একটি ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করলে আপনি নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানতে পারবেন—
  • অ্যাডোব ফটোশপ বেসিক ও এডভান্সড।
  • অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • লোগো ডিজাইন এন্ড ক্রিয়েটিভিটি।
  • ব্যানার ডিজাইন ও ব্যানার প্রিন্টিং।
  • ক্লিপিং পাথ।
  • মাল্টিপাথ।
  • কালার কারেকশন (গুরুত্বপূর্ণ)।
  • ওয়েব টেমপ্লেট ডিজাইন।
  • ইলাস্টেশন ডিজাইন।
  • টাইপোগ্রাফি।
  • ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন।
  • ভিউজুয়্যাল হায়ারার্কি।
  • ইউজার ইনটারফেস ডিজাইন।
  • ইউজার এক্সপেরিয়্যান্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন অনলাইন কোর্স

বিভিন্ন ধরনের অনলাইন  কোর্সগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখানো হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনলাইন বা অফলাইন কোর্স গুলো মূলত বেসিক পর্যায় থেকে সব কিছু শেখায়। অনলাইনে অনেক ফ্রি ট্রেনিং সেবা আছে যেখান থেকে আপনি শিখতে পারেন ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে। অনেক সেক্টর খুব স্বল্প মূল্য নিয়ে কোর্স করিয়ে থাকে।

আপনি চাইলে সেই সকল প্রতিষ্ঠান থেকেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। আবার আপনি ইউটিউবে গ্রাফিক্স ডিজাইন লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন হাজার হাজার ভিডিও, যা দেখে আপনি শিখতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইন। এগুলো আপনার জানার ও শেখার আগ্রহকে বৃদ্ধি করবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার

একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন কোন একটি বা দুটি সফটওয়্যার দিয়ে করা যায় না। যে কোন ধরনের ডিজাইন তৈরি করার সময় একাধিক সফটওয়্যারের হেল্প নিয়ে ডিজাইনের প্রফেশানল লুকিং দিতে হয়। সাধারণত একজন ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য নিচের সফটওয়্যারগুলোর কাজ জানতে হবে—
  1. অ্যাডোব ফটোশপ - Adobe Photoshop
  2. স্ক্রেচ - Sketch
  3. অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর - Adobe Illustrator
  4. এফিনিটি ডিজাইনার - Affinity Designer
  5. অ্যাডোব ইন-ডিজাইন - Adobe InDesign
  6. অ্যাডোব আফটার ইফেক্ট - Adobe After Effect
  7. জিআইএমপি - GIMP
  8. ভেক্টর - Vectr

গ্রাফিক্স ডিজাইন বই

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য বিভিন্ন লাইব্রেরী হতে ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনের বই কিনতে পারবেন। সাধারণত ৫ শত হতে ১ হাজার টাকার মধ্যে ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনের বই কিনতে পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনি চাইলে “রকমারি ডট কম” থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বই অনলাইন হতে কিনতে পারবেন। রকমারিতে বেশ কিছু গ্রাফিক্স ডিজাইনের বই আছে যেখান থেকে সহজে আপনার পছন্দের বইটি বাছাই করে নিতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন বই PDF Download

অনলাইন থেকে অনেক ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন বই PDF Download করা যায়। কিন্তু ভালোমানের বই সচরাচর পাওয়া যায় না। আমি ইন্টারনেট হতে গ্রাফিক্স ডিজাইন PDF Book Free Download করার কিছু লিংক সংগ্রহ করেছি। এই বইগুলো আমার নিজের লেখা নয়। তবে আমার কাছে বইগুলো বেশ ভালো লেগেছে। আশাকরি এগুলো আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেসিক বিষয় শিখতে হেল্প করবে। নিচের লিংক হতে  গ্রাফিক্স ডিজাইন PDF Book Free Download করতে পারবেন—

অ্যাডোব ফটোশপ অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর

গ্রাফিক্স ডিজাইন FAQ

  1. গ্রাফিক্স ডিজাইন ৩ মাসের মধ্যে শিখে কি আমি ইনকাম করতে পারব?
    উত্তরঃ আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বেসিক ধারনা না থাকে তাহলে ৩ মাসের মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতেই পারবেন না। এ ক্ষেত্রে ইনকাম করার প্রশ্নই আসে না। তবে প্রচুর পরিমানে ধৈর্য্য ধারণ করে মনোযোগ সহকারে ৬ মাস অধ্যাবসায় করলে ছয় মাস পর গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করার পথ আপনার জন্য সুগম হবে।
  2. গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কিভাবে শুরু করব?
    উত্তরঃ এ বিষয়ে আমাদের এই পোস্টে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পোস্টটি মন দিয়ে পড়ুন, তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শুরু করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
  3. আমি কোন সাইট থেকে শুরু করবো, কিছু বুঝতে পারছি না?
    উত্তরঃ প্রথমে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। তাহলে কিভাবে কোন সাইট থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করবেন, সেই সম্পর্কে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট হচ্ছে সবচাইতে সহজ সাইট।
  4. গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে কিভাবে সহজে সফল হওয়া যায়?
    উত্তরঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে বিস্তর একটি সাবজেক্ট বিধায় সহজে সফলতা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনাকে কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমান করে একজন ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারলে আপনার পক্ষে সফলতা পাওয়া সম্ভব হবে।
  5. আমার ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর শেখা শেষ। এখন আমি কিভাবে অনলাইনে কাজ শুরু করব?
    উত্তরঃ অ্যাডোব ফটোশপ ও অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর শেখা শেষ হলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইন ও অফলাইন হতে মোটামুটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে নিজের পোর্টফোলিয় তৈরি করতে পারেন। প্রথমে ছোট ছোট কাজগুলো ভালোভাবে করতে থাকেন। এক সময় বায়ারদের সাথে পরিচয় হলে বড় কাজগুলো পাবেন।

শেষ কথা

আশাকরি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এখন থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন থেকে আয় করা যায় সেই বিষয়ে পরিষ্কার ধরনা পেয়েছেন। আপনি যদি আমাদের পোস্টের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতঃ ধৈর্য্য ধারণ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেন, তাহলে আপনিও এক দিন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Next Post Previous Post
7 Comments
  • পিয়নমামা ডটকম (PeonMama)
    পিয়নমামা ডটকম (PeonMama) February 15, 2021 at 4:04 PM

    পড়ে অনেক ভালো ও উৎসাহ লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্যক ধন্যবাদ।

    • Rashid
      Rashid February 15, 2021 at 4:30 PM

      সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ...

  • Test-01
    Test-01 June 20, 2021 at 12:30 PM

    আমার সাইটে Ad Limit চলছে, অথচ আগের মতই এড শো করছে + ইনকামও হচ্ছে, এমনটি আপনি ফেস করেছেন কখনো?

    আমার এই নিয়ে ২ বার এড লিমিট হয়েছে। প্রতিবারই সাইটে এড শো করতো.... এবং ইনকামেও এর কোন প্রভাব পড়েনি। তাইলে এড লিমিট দিয়ে লাভ কী? আর কেন দেয়?

    • Rashid
      Rashid June 21, 2021 at 8:08 PM

      এড শো হলে আপনার চিন্তার কিছু নেই। তবে আমি কখনো এ ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হইনি।

  • পিয়নমামা ডটকম (PeonMama)
    পিয়নমামা ডটকম (PeonMama) July 11, 2021 at 12:04 PM

    এডসেন্স বিষয় নিয়ে নিম্নরুপ তথ্য জানার প্রয়োজন ছিলোঃ
    ১। ব্লগারে কাষ্টম ডোমেইন যোগ করেছি। এডসেন্স পাবার টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। এখন কথা হলো এডসেন্স পাবার আবেদন কোথা থেকে করবো। ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে Earning > Create Adsense Account অপশন হতে আবেদন করবো নাকি আলাদাভাবে Signup অপশনে গিয়ে কাজ করবো?
    ২। মনে করি, যে কোনভাবে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হলো। এখন ব্লগস্পট ডোমেইন নিয়ে আমার আরেকটি ব্লগ আছে মূলত সেখানে কোন কাষ্টম ডোমেইন যোগ করবো না, কিন্তু ভিজিটর অনেক থাকবে। উক্ত ব্লগ সাইটে এডসেন্স কিভাবে যুক্ত করা যাবে?
    ৩। আমার ব্লঘ সাইটে বাংলাতে কনটেন্ট থাকবে। সেখানে প্রযুক্তি পোস্টের পাশাপাশি কবিতা, গল্প, রুপকথা বিষয়ক গল্পসহ অনেক কিছুই থাকবে। মূল কথা লেখাগুলো সবই আমার নিজের হবে, কপিপেস্ট মুক্ত ইউনিক আর্টিকেল লেখার ইচ্ছা রয়েছে। উল্লেখিত বিষয় নিয়ে এডসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে কিনা?

    • Rashid
      Rashid July 12, 2021 at 11:02 PM

      ১। যে কোনভাবে করতে পারবেন। তবে ব্লগে কাস্টম ডোমেইন (টপ ডোমেইন) যুক্ত করা থাকলে ব্লগার ড্যাশবোর্ড থেকে না করে সরাসরি এডসেন্সের ওয়েবসাইট হতে করা ভালো। কারণ সরাসরি এডসেন্স অনুমোদন হওয়ার পর সেটি ব্লগার ড্যাশবোর্ডের সাথে কানেক্ট করা যায়।

      ২। আপনি একটি কথা পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন, গুগল এর নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তির নামে শুধুমাত্র একটি এডসেন্স একাউন্ট থাকবে। আর সেই একাউন্টে যতটি ইচ্চা ততটি ব্লগ অনুমোদন করে নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ব্লগের ক্ষেত্রে এডসেন্স একাউন্টের সেটিংস হতে প্রত্যেকটি ব্লগের জন্য আবেদন করতে হবে এবং অনুমোদন হলে কেবলমাত্র তখনই এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। সুতরাং প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা এডসেন্স একাউন্ট প্রয়োজন হয় না। সেটা ব্লগস্পট হক আর অন্য কিছু হউক।

      ৩। ভেরাইটিজ বিষয় নিয়ে ব্লগ লেখা উচিত নয়। এই ভূলটি আমি নিজেও করেছি। ধারাবাহিকভাবে আমি টেক ব্যতীত অন্যান্য পোস্ট ডিলিট করে দিবো। যে কোন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং করেন। প্রয়োজনে বিষয় অনুসারে আলাদা আলাদা ডোমেইন নিতে পারেন।

      ধন্যবাদ...

  • Anonymous
    Anonymous March 17, 2024 at 1:11 AM

    অনেক উপকৃত হলাম।
    আলহামদুলিল্লাহ ।
    শুকরান ভাই।

Add Comment
comment url