ব্লগ কি?
ব্লগ কি? ব্লগ অর্থ কি? ব্লগিং কি? ব্লগিং বা ব্লগের সুবিধা কি? কেন ব্লগ লেখা
হয়? কি টপিক নিয়ে ব্লগ লেখা উচিত? এই সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি আজকের পোস্ট থেকে
জানতে পারবেন। তবে এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানার পূর্বে আমরা ব্লগ সম্পর্কে কিছু
Interesting ফ্যাক্ট জেনে নেব।
বিশ্ব বিখ্যাত ব্লগ Statista এর জরিপ অনুসারে ২০১১ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে মাত্র
১৭.৩০ মিলিয়ন ব্লগ ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে ব্লগের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৬০০
মিলিয়ন এর বেশি হয়েছে। যেখানে প্রতি মাসে প্রায় ৭০ মিলিয়ন ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করা
হয়। প্রতি মাসে আপনার আমার মত ৪০০ মিলিয়ন এর বেশি লোক ব্লগ পড়ে।
এগুলোও পড়তে পারেন—
উপরের পরিসংখ্যান থেকে প্রামানিত হয় যে, বর্তমান ইন্টারনেট ও টেকনোলজির বিশ্বে
ব্লগের গুরুত্ব অপরিসীম। এখন যদি আপনি ব্লগ কি এবং ব্লগ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
তথ্য জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। কারণ এই পোস্ট
পড়ার পর ব্লগ সম্পর্কে আপনার কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
ব্লগ কি?
ব্লগ হচ্ছে এক ধরনের তথ্যবহুল ওয়েবসাইট যেখানে এক বা একাধিক লেখক অনলাইন ডায়েরি
হিসেবে ব্যবহার করে তাদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, চিন্তা, চেতনা এবং বিভিন্ন ধরনের
ইনফরমেশন গুলো লেখা ও ছবি আকারে শেয়ার করে, যা পাবলিশ করা তারিখের বিপরীতমুখি
ক্রমান্বয়ে প্রদর্শিত হয়। ব্লগ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কোনো লেখক বা একদল
লেখক একটি পৃথক বিষয়ে তাদের মতামত শেয়ার করেন।
ব্লগ পোস্ট কি?
ব্লগে যে সমস্ত লেখা বা আর্টিকেল থাকে সেগুলোকে ব্লগ পোস্ট বলা হয়। একটি ব্লগে
অসংখ্য অসংখ্য ব্লগ পোস্ট লেখা যায়। একটি ব্লগে তারিখ অনুসারে ব্লগ পোস্টগুলো
ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শিত হয়। অর্থাৎ সবশেষে যে ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করা হয় সেই
পোস্ট সবার উপরে শো হয়।
একটি ব্লগকে ইচ্ছা করলেই প্রাইভেট করে রাখা যায়। যার ফলে আপনার অনুমতি ছাড়া অন্য
কেউ আপনার ব্লগের লেখা পড়তে ও দেখতে পারবে না। তবে বেশিরভাগ ব্লগ পাবলিক করা
থাকে। কারণ ব্লগ পোস্ট লেখার পিছনে উদ্দেশ্যে থাকে যাতে লোকজন একে অপরের লেখা
পড়তে পারে এবং জানতে পারে।
একটি ব্লগ একজন ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে আবার একাধিক লোক বা টিমওয়ারি
হতে পারে। অর্থাৎ একটি ব্লগে এক সাথে অসংখ্য লোক কাজ করতে পারে এবং তারা
প্রত্যেকে ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ভালোমানের
ব্লগগুলো একাধিক লোক মিলে পরিচালনা করে। কারণ যৌথভাবে ব্লগে পোস্ট লিখলে ব্লগের
জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি করা যায়।
ব্লগ পোস্টের লিংক বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার,
ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ম্যাসেজ্ঞার, হোয়াটসআপ সহ অন্যান্য সকল সাইটে শেয়ার করা যায়।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার মাধ্যমে ব্লগের পাঠক বৃদ্ধি করার পাশাপাশি
ব্লগের জনপ্রিয়তাও বৃৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।
একটি ব্লগ পোস্টের নিচের অংশে সাধারণত কমেন্ট করার অপশন থাকে। যার ফলে ব্লগের
পাঠক কর্তৃক কোন ব্লগ পোস্ট পড়ার পর সেই পোস্ট সম্পর্কে তার অভিমত ব্যক্ত করতে
পারে। আর ব্লগ পোস্টের লেখক সেই কমেন্টের রিপ্লে করার মাধ্যমে কমেন্ট সম্পর্কে
রিএকশন দিতে পারেন কিংবা সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। সেই সাথে ব্লগের এডমিন
চাইলে যে কোন ধরনের কমেন্ট ডিলিট করেও দিতে পারেন।
ব্লগিং এর ইতিহাস
ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বর্তমানে আকাশ চুম্বি। এখন প্রায় সব বয়সের মানুষ ব্লগিং করতে
চায়। তবে সেই ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা এক দিনে কিংবা এক মাসে বা এক বছরে হয়নি। কালের
বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শিখে তেমনি ধীরে ধীরে
ব্লগিং করতেও শিখে। এ ভাবে পর্যায়ক্রমে দিনে দিনে ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
পেয়েছে। কাজেই ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ জানতে হলে ব্লগিং এর ইতিহাস জেনে
নিতে হবে।
১৯৯৪ সালঃ সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে আমেরিকান “জাস্টিন হল” নামক এক কলেজ ছাত্র
Links.net নামে একটি ব্লগ তৈরি করে। যেখানে সেই ছাত্র শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত
জীবন ও চাল-চলন নিয়ে লেখালেখি করতো এবং সে তার ব্লগ পোস্টগুলো অনলাইন ডাইরী
হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতো।
১৯৯৭ সালঃ সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালে জর্ন বারগার নামক এক ব্যক্তি "Web Blog"
শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি “ব্লগ রোবট ওয়াইজডম” এর এডিটর ছিলেন। তিনিও একজন
আমেরিকান নাগরিক ছিলেন।
১৯৯৮ সালঃ ব্রুস এবলিসন নামক একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার সর্বপ্রথম ১৯৯৮
সালে একটি অনলাইন ডায়েরি বা ওয়েব ব্লগ তৈরি করেন যেটিতে কনটেন্ট লেখার পাশাপাশি
ব্লগ পোস্টে কমেন্ট করা যেতে। সেই সাথে ব্লগ প্রাইভেসি সেটিংস থেকে প্রাইভেসি
রক্ষা করা সম্ভব হত।
১৯৯৯ সালঃ Peter Merholz নামক একটি ব্যক্তি সর্বপ্রথম "WebBlog" শব্দটাকে
ছোট করে "Blog" নাম করণ করেন। তখন থেকে অদ্যাবধি অনলাইনে লেখালেখি করাকে সবাই
"Blog" হিসেবে ধরে নেয়। Pyra Labs ঠিক সেই বছরে Blogger নামে একটি নতুন ব্লগিং
প্লাটফর্ম চালু করে যেখানে কোন ধরনের কোডিং নলেজ ছাড়া ব্লগ লেখা সম্ভব হত।
২০০৩ সালঃ গুগল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২০০৩ সালে "Blogger" ও "Adsese"
কিনে নেয়। সেই একই বছরে Matt Mullenweg ওয়ার্ডপ্রেস চালু করে। যা বর্তমান সময়ের
সবচাইতে জনপ্রিয় দুটি ব্লগিং প্লাটফর্ম হিসেবে সীকৃত।
২০০৭ সালঃ Micro Blogging এর টার্গেট নিয়ে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে Thumblr
লঞ্চ হয়। কিন্তু বর্তমানে Thumblr এ কনটেন্ট শেয়ার করার পাশাপাশি ইমেজ ও ভিডিও সহ
প্রায় সকল ধরনের ডকুমেন্ট শেয়ার করা যায়। Thumblr হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত
গ্রো করা একটি ব্লগিং প্লাটফর্ম। যার সফলতা দেখে ২০১৩ সালে ১.১ বিলিয়ন ডলারের
বিনিময়ে Yahoo কিনে নেয়।
২০০৭ সাল থেকে অদ্যাবধিঃ ২০০৭ সালের পর থেকে ব্লগিং এর জনপ্রিয় এতটাই
বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা অতীতে কখনো কেউ কল্পনা করতে পারেনি। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের
সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বৃৃদ্ধি পাওয়ার কারনে সবাই এখন ব্লগিংয়ের দিকে ঝুকছে।
তাছাড়া বর্তমানে অসংখ্য শিক্ষিত লোক চাকরির বদৌলতে ব্লগিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে
গ্রহন করছে। তাছাড়া ই-কমার্স এর প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন সবাই ব্লগিংকে
বিজনেস হিসেবে গ্রহন করছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত মানুষ এখন ব্লগ এর সাতে
কানেক্ট হচ্ছে।
লোকজন কেন ব্লগিং করে? ব্লগিং এর বেনিফিট কি?
একটি ব্লগের অনেক ধরনের বেনিফিট রয়েছে। এক এক লোক একেক ধরনের লাভের জন্য ব্লগিং
করে। তবে অধিকাংশ লোক অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ব্লগিং করে। তবে মানুষের চিন্তা ও
চেতনা ভিত্তিক ব্লগিং করার পিছনে আলাদা আলাদ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সাধারণত
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্লগিং উদ্দেশ্য হয় নিম্নরূপ—
- চিন্তা ও মনের ভাব প্রকাশ করতে।
- বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করতে।
- অনলাইন Portfolio তৈরি করে হাই লেভেলের জব পাওয়া আশায়।
- অনলাইনে ইনকাম করতে।
- নিজের নাম ও খ্যাতি অর্জন করতে।
- অনলাইনে ব্যবসা করতে।
- কর্মক্ষেত্রে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমান করতে।
- লেখালেখির স্কিল বৃদ্ধি করতে।
- অন্যকে হেল্প করতে।
- অন্যের কাছে থেকে শিখতে।
নরমালি একজন মানুষ উপরোক্ত যে কোন একটি কিংবা একাধিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বা লাভের
আশার ব্লগিং শুরু করে। এ ছাড়াও ব্লগিং করার আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। আপনি যদি
উপরোক্ত কারণ ছাড়া অন্য কোন কারনে ব্লগিং করেন তাহলে সেটা আমাদেরকে কমেন্ট করে
জানাতে পারেন।
ব্লগার কারা? কয় ধরনের ব্লগার আছে?
যে ব্যক্তি ব্লগ তৈরি করে ব্লগে লেখালেখি করেন সেই ব্যক্তিকে ব্লগার বলা হয়। তবে
একটি ব্লগে একাধিক ব্যক্তি লিখতে পারেন। অর্থাৎ বেশ কয়েকজন লোক মিলেও একটি ব্লগ
গঠন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একইভাবে সবাই হবেন ব্লগার। শুধুমাত্র একটি ব্লগের মালিক
একজন হবেন এমনটা কিন্তু নয়। ব্লগের ধরণ অনুসারে ব্লগার সংখ্যা কম বেশি হতে
পারে।
বিভিন্ন ধরনের ব্লগার টাইপ রয়েছে। তবে ব্লগারদের মূলত চারটি পার্ট থাকে—
১। অপেশাদার ব্লগার
এই ধরনের ব্লগাররা সাধারণত তাদের ব্লগে সখের বসে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করে
থাকে। তারা যে বিষয়ে আগ্রহী এবং যে বিষয় ভালোভাবে বুঝে ও জানে সেই বিষয় নিয়ে
ব্লগে লেখালেখি করে। সাধারণত একজন অপেশাদার ব্লগার ব্লগ থেকে ইনকামের বিষয়টিকে
প্রাধান্য না দিয়ে ব্লগে লেখালেখিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
এই ধরনের ব্লগারদের বিশেষত্ব হচ্ছে যে, তাদের ব্লগে ভালোমানের আর্টিকেল পাওয়া
যায়। কারণ তারা ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম না করতে পারলেও হতাশ হয় না। সবসময় তারা
কোয়ালিটি কনটেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে নিজেকে এবং ব্লগকে জনপ্রিয় করতে চায়।
২। পার্ট টাইম ব্লগার
সাধারণত যারা কর্মজিবী কিংবা স্কুল কলেজে লেখা পড়া করছে তারা তাদের পেশা বা
লেখাপড়ার পাশাপাশি এ ধরনের ব্লগিং করে থাকে। তারা তাদের লেখাপড়া বা কাজের ফাঁকে
যতটুকো সময় পায় সেই সময়ে ব্লগে লেখালেখি করার চেষ্টা করে।
এ ধরনের ব্লগাররা তাদের কাজের পাশাপাশি কিছু বাড়তি টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্য নিয়ে
মূলত ব্লগিং শুরু করে। নরমালি পার্ট টাইম ব্লগিং করে অল্প দিনে ব্লগ থেকে টাকা
ইনকাম করা সম্ভব হয় না। তবে দীর্ঘদিন কাজ করলে এক সময় পার্ট টাইম ব্লগ থেকে মূল
কাজের পাশাপাশি ব্লগিং করেও টাকা ইনকাম করা যায়।
৩। ফুল টাইম ব্লগার
বর্তমানে আমাদের দেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশে এমন লোক রয়েছে যারা ফুলটাইম ব্লগিং করে
উপার্জিত অর্থের দ্বারা পারিবারিক ভরণ পোষণ করার পাশাপাশি বিলাসিতার জীবন যাপন
করে যাচ্ছেন। এ ধরনের ব্লগাররা ব্লগে প্রচুর সময় ব্যয় করে এবং প্রতিনিয়ত ব্লগে
আর্টিকেল শেয়ার করে। এক সময় যখন ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন ব্লগে
বিজ্ঞাপন বসিয়ে ব্লগ থেকে ডলার ইনকাম করে।
৪। পেশাদার ব্লগার
সাধারণত একজন পেশাদার ব্লগার বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হয়ে কাজ করে। তারা বিভিন্ন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডের প্রচার করা এবং নতুন গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট এনে
দেওয়ার জন্য কোম্পানির হয়ে কাজ করে। তারা তাদের ব্লগের বিভিন্ন কোম্পানির
প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের ভালো দিক গুলো তুলে ধরে। এ ভাবে একজন পেশাদার ব্লগার
মাসে ব্লগ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগারের কাজ কী?
একজন ব্লগার তার ব্লগটি সফলভাবে পরিচালনার জন্য শুধুমাত্র ব্লগ পোস্ট লিখলেই হয়
না। সেই সাথে ব্লগের
এসইও
করার পাশাপাশি ব্লগ দীর্ঘদিন রান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। যেমন—
- ব্লগের জন্য পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য নির্ধারণ
- আর্টিকেল লেখার জন্য অধ্যায়ন করা
- ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য ছবি তৈরি করা
- ব্লগের প্রয়োজন মাফিক বিভিন্ন ডিজাইন করা
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করা
- ব্লগের স্পিড বৃদ্ধি করা
- ব্লগের বিভিন্ন ধরনের ভূল ত্রুটি সমাধান করা
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগ পোস্ট শেয়ার করা
- ব্লগের কমেন্টের জবাব দেওয়া
- স্প্যাম কমেন্ট ডিলিট করা
- অন্যের ব্লগ পড়া এবং সেখান থেকে শেখা
- অন্যের ব্লগে গ্যাস্ট পোস্ট করা
- ব্লগের ট্রাফিক সহ অন্যান্য ডেটা বিশ্লেষণ করা
- ব্লগকে পাঠক পর্যন্ত পৌছানোর জন্য পরিকল্পনা করা
-
বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েট ও স্পন্সরশীপের মাধ্যমে ব্লগের ইনকাম বৃদ্ধির চেষ্টা
করা
একজন ব্লগারের উপরোক্ত কাজগুলোর কথা শুনে হয়তো আপনি কিছুটা অবাক হচ্ছেন। এখানে
অবাক হওয়ার কিছু নাই। কারণ একটি সাধারণ ব্যবসার আয় বৃদ্ধি করে সফলতা অর্জনের জন্য
ব্যবসার যত পরিকল্পনা করতে হয়, ঠিক তেমনি একটি ব্লগে পাঠক বৃদ্ধি করে ব্লগকে সফল
করার জন্য একজন ব্লগারকে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা ও কাজ করতে হয়।
ব্লগের প্রকারগুলো কী কী? কোন বিষয়ে ব্লগ লিখবেন?
বর্তমানে এই বিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ব্লগ রয়েছে। সেই ব্লগগুলোতে প্রতিদিন কোন না
কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল পাবলিশ হচ্ছে। এই মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ কোন না
কোন বিষয়ে পরদর্শি হয়। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি যে বিষয়ে ভালো জানে সেই
বিষয়ে সে লিখে যাচ্ছে। কাজেই অনলাইন ব্লগে কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয়নি এমন বিষয়
পাওয়া খুবই দুষ্কর।
অধিকাংশ নতুন ব্লগাররা ব্লগিং শুরুর দিকে কি বিষয়ে ব্লগ লেখা শুরু করবেন সেই
সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কারণ নতুনরা অনলাইনে সার্চ করলেই দেখে যে, তারা যে বিষয়
নিয়ে লেখার চিন্তা করছে সেই বিষয়ে অলরেডি লেখা হয়েছে। সে জন্য অনেকে হতাশ হয়ে
যান।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, অনলাইনে লক্ষ লক্ষ বিষয়ের মধ্যে
নিচের বিষয়গুলো খুবই জনপ্রিয় এবং এ বিষয়ে ব্লগ লিখতে বেশি পরিমানে পাঠক পাওয়া যায়
ও ব্লগ থেকে ইনকামও বেশি হয়। যেমন—
- ফ্যাশন ও লাইফস্ট্যাইল
- খাবার
- ফিটনেস
- খবর
- মানুষের জীবনধারা
- খেলাধুলা
- ফিল্ম
- গেমিং
- ফাইন্যান্স
- ব্যবসা
- অটোমোবাইল
আপনি যদি উপরোক্ত কোন বিষয়ে ভালোমানের আর্টিকেল শেয়ার করতে পারেন তাহলে খুব সহজে
ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক পাবেন এবং ব্লগ থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি যে বিষয়টি ভালোভাবে জানেন, বুঝেন এবং যেই ব্ষিয়ে
আপনার দক্ষতা আছে সেই বিষয়ে ব্লগ লিখুন। তাহলে আপনি অন্যদের সাথে কম্পিটিশনে ঠিকে
থাকতে পারবেন। কারণ আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন, কেবলমাত্র সেই বিষয়ে আপনি অন্যদের
চাইতে ভালো আর্টিকেল ব্লগে লিখতে পারবেন।
আপনি কি ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন?
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে খুব কমন একটি প্রশ্ন হচ্ছে এটি। এই প্রশ্নের জবাবে আমি আপনাকে
বলব যে, আপনি অবশ্যই ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম
করার জন্য আপনাকে নিয়মিত কাজ করতে হবে এবং পরিকল্পনা মাফিক ব্লগে নিয়মিত
ভালোমানের ইউনিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। তবেই আপনি ব্লগ থেকে টাকাই ইনকাম করতে
পারবেন।
আপনি যদি মনে করেন একটি ব্লগ তৈরি করে যেন তেন ভাবে অন্যের ব্লগের আর্টিকেল কপি
করে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করবেন, তাহলে আমি বলব আপনি কখনো এভাবে ব্লগ থেকে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন না। এভাবে ব্লগিং করলে ব্লগ থেকে ইনকাম করার স্বপ্ন শুধু
স্বপ্নই রয়ে যাবে।
কিভাবে ব্লগ থেকে ইনকাম করা যায়?
আপনার ব্লগে যখন পাঠক বৃদ্ধি পাবে এবং ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তখন আপনি ব্লগ থেকে
বিভিন্ন উপায় টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে
ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম
করা যায় এবং কিভাবে বাংলা ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের
ব্লগে ইতোপূর্বে বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। ব্লগ থেকে ইনকাম করার বিষয়ে
আরো জানতে চাইলে আমাদের ঐ পোস্টগুলো পড়ে নিবেন।
ব্লগ থেকে আয় করার জনপ্রিয় পদ্ধতিগুলো হলো—
- গুগল এডসেন্স
-
এফিলিয়েট মার্কেটিং
- স্পন্সরশীপ
- অনলাইন কোর্স
- ব্লগ বিক্রি
উপরোক্ত পদ্ধতি ছাড়াও ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার পর ব্লগ থেকে আরো বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম
করা সম্ভব হয়। বিশেষকরে যারা ইংরেজিতে ব্লগিং করে তারা সিপিএ মার্কেটিং করেও
অনলাইন থেকে ব্লগিং এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারে। সাধারণত যখন
ব্লগে ট্রাফিক থাকে তখন সিপিএ সাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের
মাধ্যমে ব্লগ থেকে ইনকাম করতে করা যায়।
ব্লগিং করে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনার ব্লগে অবশ্যই ট্রাফিক প্রয়োজন হব।
আপনার ব্লগে যত বেশি ট্রাফিক থাকবে আপনি ব্লগ থেকে তত বেশি টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। কারণ ব্লগ জনপ্রিয় হওয়ার সাথে ব্লগ থেকে ইনকাম করার বিভিন্ন ধরনের পথ
অটোমেটিক তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন অনলাইন কোম্পানি বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার সাথে
যোগাযোগ করতে থাকবে। এভাবে আপনি ব্লগ থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
কে ব্লগিং করতে পারে?
ব্লগিং শুরু করার জন্য বিশেষ কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। যে কোন শ্রেণীর মানুষ
কিংবা যে কোন ব্যক্তি তার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করতে পারবেন। মোট কথা
হচ্ছে বিশেষ কোন নিয়ম বা যোগ্যতা বা বাধ্যবাধকতা ছাড়াই যে কোন ব্যক্তি ব্লগ তৈরি
করতে পারবে এবং ব্লগিং করতে পারবেন। যেমন—
- স্কুল ছাত্র ও ছাত্রি
- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও ছাত্রি
- গৃহিনী
- চাকরিজিবী
- বেকার ব্যক্তি
ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আপনার কাজ ও লেখার কোয়ালিটি দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে
হবে। ব্লগ তৈরি করার জন্য কোন ধরনের কোয়ালিটি প্রয়োজন হবে না। যে কোন বিষয়ে লেখার
যোগ্যতা থাকলে আপনি ব্লগিং করতে পারবেন।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?
ব্লগিং শুরু করার পূর্বে আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে হবে। ব্লগ তৈরি করার
জন্য বর্তমানে সেরা দুটি প্লাটফর্ম রয়েছে। যার একটি হচ্ছে গুগল
ব্লগার এবং অন্যটি হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। এই দুটি ব্লগিং প্লাটফর্মের আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। আপনি কোন ধরনের
ব্লগিং করবেন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন প্লাটফর্মে যাবেন।
এই দুটি ব্লগিং প্লাটফর্মের মধ্যে গুগর ব্লগার হচ্ছে সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অন্য দিকে
ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য ডোমেন ও হোস্টিং এর প্রয়োজন হবে। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে
ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের দুটি জিনিস অনলাইন থেকে টাকা বিনিময়ে কিনে
নিতে হবে।
- ডোমেন নেম
- ওয়েব হোস্টিং
ডোমেন হচ্ছে একটি ব্লগের ঠিকানা যেটার মাধ্যমে কেউ আপনার ব্লগ ভিজিট করবে। যেমন—
- www.facebook.com
- www.youtube.com
- www.google.com
এই সবগুলো হচ্ছে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইটের ডোমেন নেম। ঠিক আপনাকে আপনার ব্লগের জন্য
একটি ইউনিক নাম নির্ধারণ করতে হবে, যেটা আপনাকে অনলাইন থেকে টাকার বিনিময়ে কিনে
নিতে হবে। সাধারণত অনলাইনে মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার মধ্যে
ভালোমানের ডোমেন কিনতে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ডোমেন প্রোভাইডার আছে
যারা ডোমেন বিক্রি করছে। আপনি যদি ডোমেন কিনতে না পারেন তাহলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনার ডোমেন কেনার ক্ষেত্রে হেল্প করব।
ডোমেন কেনার পর আপনার ওয়েব হোস্টিং এর প্রয়োজন হবে। কারণ অনলাইনে আপনার ব্লগের
ফাইল ও আর্টিকেল রাখার জন্য ওয়েব হোস্টিং এর প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে
অনেক ভালোমানের হোস্টিং প্রোভাইডার আছে যারা হোস্টিং বিক্রি করছে। সাধারণত ১৫০০
টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি ভালোমানের হোস্টিং ক্রয় করা যায়।
অন্যদিকে আপনি যদি কোন ধরনের ডোমেন হোস্টিং ছাড়া বিনামূল্যে ব্লগ খুলতে চান তাহলে
আপনি
Google Blogger দিয়ে ব্লগ
খোলতে পারেন। এখানে শুধুমাত্র আপনার জিমেইল এড্রেস ব্যবহার করে মাত্র ৫ মিনিটে
নিজের একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। গুগল ব্লগার দিয়ে কিভাবে ব্লগ তৈরি করতে হয় সে
বিষয়ে আমরা ইতোপূর্বে আমাদের ব্লগে পোস্ট শেয়ার করেছি। আপনি পোস্টটি পড়লে নিজে
নিজে একটি ফ্রি ব্লগ খোলতে পারবেন।
উপসংহার - একটি ব্লগ কি?
আমরা কোন ব্লগকে এমন এক ধরনের ডিজিটাল ডায়েরি বলতে পারি যা ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট
আকারে বিদ্যমান। যার মাধ্যমে আমরা যে কোন বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা বা তথ্য লিখতে
এবং অন্য মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারি।
তবে ব্লগ শুধুমাত্র আপনার চিন্তা ভাবনাগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য নয়। আপনি ব্লগ
থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং ব্লগ দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যও করতে পারবেন। আজকাল
অনেকে ব্লগিং শুরু করছেন এবং ব্লগ এর সুবিধা নিচ্ছেন। আপনি যদি সময়ের সাথে তাল
মিলিয়ে চলতে চান তাহলে আপনার একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
স্যার ব্লগে পেইজ সাইজ কমানোর উপায় কী কী? আপনার থেকে কম পোস্ট লিখে আর পিক এড করেও আমার পেইজ সাইজ বেশি শো করে। ছবির সাইজ মাত্র ৫ কেবি। ছবি ছাড়া আর কী কী ফ্যাক্টর থাকে? ফন্ট সাইজ? আমি সোলাইমান লিপি কাস্টম ফন্ট ব্যবহার করি।
আমাদের ব্লগে “Image এসইও” শিরোনামে একটি পোস্ট আছে। পোস্টটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ...
অসাধারন পোস্ট। ব্লগার টিউটোরিয়াল নিয়ে আপনার প্রায় সবগুলোই পোস্ট দেখেছি। একটি বিষয় জানার ছিলো কিংবা নিম্নরুপ বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট করার আশা করছি যথারুপঃ মনে করি আমি ব্লগারে ব্লগ করা শুরু করেছি। পরবর্তীতে সেখান হতে পোস্টগুলো মানে সাইটটি ওয়ার্ডপ্রেসে অপারেট করতে চাচ্ছি। তাহলে ব্লগার থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে মাইগ্রেট করার কোন ব্যবস্থা আছে কিনা?
ব্লগার থেকে একটি ব্লগ খুব সহজে ওয়ার্ডপ্রেসে মাইগ্রেড করা যায়। তবে আমি এটা সাপোর্ট করি না। কারণ এখন খুব অল্প টাকায় হোস্টিং ক্রয় করা যায়। তাহলে কেন শুধু এই ঝামেলা করবেন। আপনার বাজেট কম হলে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে একটি শেয়ারড হোস্টিং কিনে নিতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, আমার একটি হোস্টিং প্যাকেজ কেনা আছে। কিন্তু আমি গুগল ব্লগারে কনটেন্ট লিখতে পছন্দ করি। আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগটি হচ্ছে- https://www.orrashid.com
ভাইয়া, আপনার কাছ হতে প্রায় ২ বছর আগে ওয়াটার লিলি টেমপ্লেট ক্রয় করেছিলাম। এখন এটি আমাদের ব্লগে ইনস্টল করেছি। পিসি/ডেস্কটপ থেকে পোস্টগুলো ভিজিট করলে পোস্টের সকল ছবি/ইমেজ দেখা যায়। কিন্তু মোবাইল ডিভাইস থেকে ভিউ করলে কোন ছবি দেখা যাচ্ছেনা এর সমাধানটা দিলে উপকৃত হই। পরিশেষে আরেকটি বিষয় জানার প্রয়োজন ছিলো ওয়াটার লিলি টেমপ্লেটটা এসইও ও গুগল এডসেন্স অপটিমাইজড কিনা? আমাদের সাইটটা একটু চেক করলে কৃতজ্ঞ থাকিবো।
আসলে আমরা ব্লগার টেমপ্লেট ডিজাইন করা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ অনলাইনে এগুলো খুব সহজে পাওয়া যায়।
আমার দৃষ্টিতে আপনি এগুলো ব্যবহার না করে অনলাইন থেকে নতুন কোন থিম কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
এ বিষয়ে আপনাকে বর্তমানে সাপোর্ট দিতে পারছি না বিধায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ধন্যবাদ/....
আমাদের থীমে পিসি থেকে সাইট ভিজিট করলে টপ বাটন টুলবারটা কাজ করে। কিন্তু মোবাইল ডিভাইস হতে কাজ করছেনা তথা দেখা যায় না। কিভাবে সমাধান করতে পারি?
একটা বিষয় জানার ছিলো তাহলো আমার ব্লগে এডসেন্স নিয়ে কাজ করছি ও অরজিনাল কন্টেন্ট লিখছি, মনে করি আজকে একটি পোস্ট পাবলিশ করলাম। অতপর আমার ব্লগ হতে উক্ত পোস্টটি ভিজিটরদের কেউ হুবহু কপি করে আজকেই/একইদিনে তার নিজের ব্লগে চালিয়ে দিলো। এক্ষেত্রে গুগল কি স্বয়ক্রিয়ভাবে ডিটেকশন করতে পারবে অরজিনাল কনটেন্ট এর মালিক/ব্লগ কোনটি? মূল কথাটা হলো এরুপ হলে কিভাবে এডসেন্স রক্ষা করতে পারি??
গুগল এডসেন্স বিষয়ে আমার নিম্নরুপ প্রশ্ন ছিলো।
আমার একটি কাষ্টম ডোমেইন নেওয়া আছে। সেই কাষ্টম ডোমেইন থেকে সাব ডোমেইন তৈরি করে একটি চাকুরী বিষয়ক সাইট তৈরি করতে চাচ্ছি এবং সেখানে এডসেন্স যুক্ত করার ইচ্ছা আছে। মূলত মূল ডোমেইন নিয়ে বিক্রয় ডট কম সাইটের মত সেলার সাইট বানানোর ইচ্ছা আছে। মূলত পড়াশোনা ও ফিনান্সিয়াল সমস্যার কারনে মূল ডোমেইনটি অফ রাখতে চাচ্ছি। এখন জানার বিষয় হলো মূল ডোমেইন থেকে যে সাব ডোমেইন তৈরি করা হলো সেখানে এডসেন্স যোগ করলাম (মনে করি)। পরবর্তীতে ভিজিটরদের সুবিধার জন্য মূল ডোমেইনটা যদি ডোমেইন প্যানেল থেকে রিডাইরেক্ট করে দেই তাহলে এডসেন্স কিংবা ট্রাফিকের কোন সমস্যা হবে কিনা?
চাকরি সংক্রান্ত টপ লেভেলের ডোমেইন দিয়ে যেখানে অন্যান্য চাকরি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের সাথে কম্পিটিশন করে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে আপনি কেন শুধু শুধু সাব ডোমেইন নিয়ে চাকরি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট করার চিন্তা করছেন? এত ঝামেলায় না জড়িয়ে সহজভাবে করার চেষ্টা করেন। কারণ বাংলা ব্লগিং এখন আর আগের মতন নেই। এখন বাংলা ব্লগেও প্রচুর কম্পিটিশন সৃষ্টি হয়েছে।
মূল ডোমেইনটা দিয়ে কেনাবেচার ক্লাসিফায়েড সাইট তৈরি করতে চাচ্ছি। তাহলে কি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করা যাবে? অপরদিকে এডসেন্স কোন সাইটে সক্রিয় করলে বেশি ভালো হবে ইংরাজী ব্লগ সাইট নাকি বাংলা সাইটে??