কম্পিউটার কি? কম্পিউটার কাকে বলে?
কম্পিউটার এমন একটি মেশিন যা নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী অনুসারে কার্য সম্পাদন করে।
এটি একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস যা তথ্য দিয়ে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই
শব্দটি কম্পিউটারের লাতিন শব্দ "Computare" থেকে উদ্ভূত হয়েছে। কম্পিউটার শব্দের
অর্থ গণনা করা।
একটি কম্পিউটার মেশিন এর মূলত তিনটি ফ্যাংশন রয়েছে। প্রথমত হচ্ছে ডেটা নেওয়া যা
আমরা ইনপুট বলি। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে প্রক্রিয়া করা যাকে আমরা প্রসেসিং বলি এবং
তৃতীয় কাজ হচ্ছে প্রসেসিং করা পর ডেটা দেখানো যাকে আমরা আউটপুট বলি। এই তিন ধাপে
মূলত কম্পিউটারের কাজ সম্পাদিত হয়।
চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। কারণ তিনিই প্রথম যান্ত্রিক
কম্পিউটার ডিজাইন করেছিলেন, যা Analytical Engine নামেও পরিচিত। সেই সময়কার
কম্পিউটার মেশিনে Punch Card এর সাহায্যে ডেটা Insert করা হতো।
কম্পিউটার সম্পর্কে আরো জানুন—
সুতরাং আমরা একটি কম্পিউটারকে এমন একটি উন্নত বৈদ্যুতিন ডিভাইস বলতে পারি যা
ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট হিসাবে Raw ডেটা নেয়। তারপরে একটি প্রোগ্রামের
মাধ্যমে সেই ডেটা প্রক্রিয়া করে (নির্দেশনা মোতাবেক) এবং আউটপুট হিসাবে চূড়ান্ত
ফলাফল প্রকাশ করে। এটি উভয় সংখ্যাসূচক এবং অ-সংখ্যাসূচক (Arithmetic and
Logical) Calculation প্রসেস করে।
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটা হলো এমন একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে
গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত ও নির্ভূলভাবে করতে পারে। কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক "কম্পিউট" শব্দ থেকে এসেছে। কম্পিউট শব্দের অর্থ হিসাব
বা গণনা করা। আর কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।
তবে এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কারণ কম্পিউটার এখন
এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ
ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে
গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব।
এখনকার কম্পিউটার ডেটা সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার এবং প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা রাখে। আপনি বর্তমান কম্পিউটার দিয়ে ডকুমেন্ট টাইপ করতে, ইমেইল প্রেরণ করতে, গেম খেলতে এবং ওয়েব ব্রাউজ করতে পারবেন। আপনি কম্পিউটারের সাহায্যে স্প্রেডশিট, উপস্থাপনা এবং এমনকি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি?
কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনা করা। সর্বপ্রথম যখন কম্পিউটার আবিষ্কার করা হয় তখন
কম্পিউটারকে শুধুমাত্র একটি গণনার মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রযুক্তির
উন্নতির ক্রমান্বয়ে কম্পিউটার উন্নত হওয়ার সাথে সাথে গণনা কাজের বাহিরে বিভিন্ন
ধরনের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। সেই থেকে আজ অবধি শাব্দিক অর্থে আমরা সবাই
কম্পিউটারকে গণনার যন্ত্র হিসেবে জানি।
কম্পিউটারের পূর্ণ রূপ কি?
প্রযুক্তিগতভাবে কম্পিউটারের কোনো পূর্ণ রূপ নেই। কম্পিউটারের এখনও একটি কাল্পনিক
পূর্ণ রূপ রয়েছে। যেটা আক্ষরিকভাবে বিশ্লেষণ করলে নিচের অর্থ দাড়ায়।
C - Commonly
O - Operated
M - Machine
P - Particularly
U - Used for
T - Technical and
E - Educational
R - Research
আপনি যদি আক্ষরি অর্থে কম্পিউটার শব্দের পূর্ণ রূপ বাংলাতে অনুবাদ করেন তাহলে
কম্পিউটার শব্দের অর্থ হবে “প্রচলিত অপারেটিং মেশিন বিশেষত ব্যবসা, শিক্ষা এবং
গবেষণার জন্য ব্যবহৃত। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে কম্পিউটারের এ রূপ কোন বাংলা অর্থ
নেই। মূলত উপরোক্ত কাজে বর্তমান যুগের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় বিধায় এভাবে
কম্পিউটারের পূর্ণ রূপ ধরে নেওয়া হয়।
কম্পিউটারের ইতিহাস
কম্পিউটারের বিকাশ কত সালে শুরু হয়েছিল তার সঠিক (নির্ভূল) কোন তথ্য জানা যায়নি।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটারের বিকাশকে প্রজন্ম অনুসারে ৫ ভাগে বিভক্ত করা
হয়েছে। মূলত কম্পিউটার উন্নত হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারের এ ধরনের প্রজন্ম
অনুসারে বিভিক্ত করা হয়েছে। যাতে করে খুব সহজে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার চেনা যায়।
১। কম্পিউটারের প্রথম প্রজন্ম ১৯৪০-১৯৫৬ (Vacuum Tubes)
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের ম্যামোরি হিসেবে Vacuum Tubes এবং সার্কিটে চৌম্বকীয়
ড্রাম ব্যবহার করা হতো। সেই প্রজন্মের এক একটি কম্পিউটার বিশাল আকৃতির হতো। এই
ধরনের কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রচুর পরিমানে শক্তি ব্যবহৃত হতো।
এ ধরনের কম্পিউটার খুব বড় আকৃতির হওয়ার কারনে ব্যবহার করতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
করত। বিশেষ করে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করার কারনে কম্পিউটার অতি মাত্রায় গরম হয়ে
যেতো এবং ঘন ঘন নষ্ট হয়ে পড়তো। এই ধরনের কম্পিউটার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়
নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
২। কম্পিউটারের দ্বিতীয় প্রজন্ম ১৯৫৬-১৯৬৩ (Transistor)
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে Vacuum Tubes এর পরিবর্তে Transistor ব্যবহার করা
হয়। যার ফলে কম্পিউটারের সাইজ প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় অনেকটা ছোট হয়ে
যায়। সেই সাথে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের চাইতে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার
অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারতো। কিন্তু ২য় প্রজন্মের কম্পিউটারও কাজ করার সময়
প্রচুর পরিমানে তাপ উৎপন্ন করত। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে Programming
Language হিসেবে COBOL এবং FORTRAN ব্যবহার করা হয়েছিল।
৩। কম্পিউটারের তৃতীয় প্রজন্ম ১৯৬৪-১৯৭১ (Integrated Circuits)
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে সর্বপ্রথম Integrated Circuits ব্যবহার করা হয়েছি।
যার Transistor গুলো খুবই ছোট ছিল এবং সিলিকন চিপের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো
হয়েছিল, যাকে Semi Conductor বলা হয়। যার ফলে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের
প্রসেসিং ক্ষমতা দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় অনেকগুন বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারকে আরো বেশি ব্যবহার উপযোগী করার জন্য প্রথমবার মনিটর,
কীবোর্ড এবং অপোরেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল। কম্পিউটারের সর্বপ্রথম তৃতীয়
প্রজন্মের কম্পিউটার বাজারজাত করণ করা হয়। যার ফলে মানুষ পার্সোন্যাল কম্পিউটার
হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।
৪। কম্পিউটারের চতুর্থ প্রজন্ম ১৯৭১-১৯৮৫ (Microprocessors)
কম্পিউটারকে আরো উন্নত করার নিমিত্তে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের সর্বপ্রথম
Microprocessors ব্যবহার করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে কম্পিউটারের হাজার হাজার
Integrated Circuits গুলো একটি একক সিলিকন চিপের মধ্যে একত্রিত করা হয়েছিল। যার
ফলে কম্পিউটারের সাইজ অনেক ছোট হয়ে যায় এবং কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায়।
৫। কম্পিউটারের পঞ্চম প্রজন্ম ১৯৮৫ থেকে বর্তমান (Artificial Intelligence)
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের সকল কম্পিউটারের
Artificial Intelligence টেকলোজি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। সেই সাথে Speech
Recognition, Parallel Processing, Quantum Calculation এর উন্নত টেকনোলজি এখনকার
প্রজন্মের কম্পিউটারের বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।
এখনকার জেনারেশনের কম্পিউটারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence)
ব্যবহার করার কারনে কম্পিউটার এখন নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আগেকার
কম্পিউটার নিজে নিজে কিছুই করতে পারতো না কিন্তু এখনকার কম্পিউটার তার কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিজে নিজে কাজ করতে পারে এবং যে কোন ধরনের ডেটা প্রসেস
করতে পারে।
ডিজিটাল কম্পিউটার কি?
এখনকার সময় কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বুঝানাে হয়। ডিজিট শব্দ থেকে ডিজিটাল শব্দের উৎপত্তি। ডিজিটাল কম্পিউটারে বর্ণ, সংখ্যা, সংকেত, প্রতীক ইত্যাদি ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার মূলত গাণিতিক নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং খুব সূক্ষ্ম ও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম। সংখ্যা প্রক্রিয়াকরণের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটার কাজ করে।
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন?
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেছিলেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
কারণ কম্পিউটার আধুনিকায়নের পিছনের অনেক ব্যক্তির অবদান রয়েছে। তবে চার্লস
ব্যাবেজ সব চাইতে বেশি অবদান রেখেছিলেন। কারণ তিনিই সর্বপ্রথম ১৮৩৭ সালে
অ্যানালিটিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন। যার জন্য চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক
কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
মূলত ১৮৩৭ সালে চার্লস ব্যাবেজ যে কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন সেই কম্পিউটারের
মডেলের উপর ভিত্তি করে বর্তমান সময়ের কম্পিউটার গঠন করা হয়। সেই কারনে চার্লস
ব্যাবেজের অবদান বেশি হিসেবে ধরা হয় এবং চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক
হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
কম্পিউটার কাকে বলে?
কম্পিউটার এমন একটি ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর দ্বারা ইনপুট করা ডেটাক প্রক্রিয়া করে
এবং ফলস্বরূপ তথ্য সরবরাহ করে, অর্থাৎ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রিক মেশিন যা
ব্যবহারকারীর দেওয়া নির্দেশনাবলী অনুসরণ করে। এটি ডেটা সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার এবং
প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা রাখে।
কম্পিউটার হচ্ছে একটি মেশিন। কাজেই এর নির্ধারিত কোন সংজ্ঞা দেওয়া সম্ভব হবে না।
তবে সকম্পিউটার শব্দটি ইংরেজি "Compute" থেকে এসেছে যার অর্থ গণনা করা। কাজেই
কম্পিউটারকে একটি গণনা করার মেশিন বলা যেতে পারে।
কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে?
সাধারণত একটি কম্পিউটারে তিনটি ধাপে কাজ সম্পাদন করে। সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার
মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্খিত তথ্য কম্পিউটারের স্ক্রিনে দেখতে পাই। কম্পিউটারের
কাজ সম্পাদনের প্রধান তিনটি ধাপ হচ্ছে—
- ইনপুট (Input)
- প্রক্রিয়া (Process)
- আউটপুট (Output)
Input (Data): আমরা কম্পিউটার মাউস ও কীবোর্ড ব্যবহার করে যখন কম্পিউটারের
কোন তথ্য প্রদান করি তখন তাকে ইনপুট ডেটা বলা হয়। এটি হতে পারে কোন লেখা, ছবি এবং
ভিডিও।
Process: আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ডেটা প্রক্রিয়া করা হচ্ছে প্রসেসিং
ইউনিট এর কাজ। এই অংশটি দেখা যায় না। কারণ এটি কম্পিউটারের একদম অভ্যন্তরিন কাজ।
Output: আমরা ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে যখন কম্পিউটারের তথ্য ইনপুট করি সেই
তথ্য প্রসেস করে যখন কম্পিউটারের মনিটরের স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয় সেই প্রদর্শিত
তথ্যকে আউটপুট বলা হয়। এভাবে কম্পিউটার তিনটি ধাপে কাজ সম্পাদন করে আমাদের সামনে
শো করে।
কম্পিউটারের বেসিক ইউনিট কী কী?
কম্পিউটার অসংখ্য অসংখ্য ছোট ছোট চিপস এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। যেগুলোকে বিভিন্ন ভাগে
বিভক্ত করা হয়েছে। আপনি যদি কখনো একটি কম্পিউটার খোলা অবস্থায় দেখে থাকেন তাহলে
দেখবেন যে, এগুলোতে অনেক ছোট ছোট পার্টস রয়েছে যা দেখতে অনেকটা জটিল মনে হয়।
কিন্তু বাস্তবে এগুলো তেমন জঠিল কিছু নয়। এখন আমরা কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ
পার্টস বা ইউনিট নিয়ে আলোচনা করব।
মাদারবোর্ড
যে কোন কম্পিউটারের প্রধান সার্কিট বোর্ডকে মাদারবোর্ড বলে। কম্পিউটারের
মাদারবোর্ড দেখতে পাতলা প্লেটের মত যার মধ্যে অসংখ্য চিপ যুক্ত থাকে। যেমন
সিপিইউ, র্যাম, হার্ড ড্রাইভ এবং অপটিকাল ড্রাইভারের সংযোগকারী, ভিডিও এবং অডিও
নিয়ন্ত্রন করার জন্য এক্সপেনশন কার্ড এবং কম্পিউটারের সমস্ত পোর্টের সংযোগ
মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। এক কথায় বলা যায় যে, কম্পিউটারের যত পার্টস
রয়েছে তার সব অংশেই মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে।
সিপিইউ বা প্রসেসর
কম্পিউটার প্রসেসরকে কম্পিউটারের প্রধান প্রসেসিং ইউনিট বলা হয়। কারণ কম্পিউটারের
মধ্যে যত ধরনের ক্রিয়কলাপ ঘটে তার সব কাজ প্রক্রিয়া করার ক্ষেত্রে প্রসেসর
সক্রিয়ভাবে কাজ সম্পাদন করে। তাছাড়া কম্পিউটারের ভীতরে যত ধরনে প্রসেসিং হয় সব
কাজে প্রসেসর সহায়তা করে। একটি কম্পিউটারে যত ভালোমানের প্রসেসর থাকে সেই
কম্পিউটার তত দ্রুত গতির হয়।
র্যাম
কম্পিউটারের র্যামকে কম্পিউটারের অস্থায়ি ম্যামোরি বলা হয়। কম্পিউটারের যখন কোন
কাজ করা হয় তখন র্যাম সেই তথ্য তার ম্যামোরিতে সংরক্ষণ করে রাখে। আবার কম্পিউটার
অফ করা হলে সেই তথ্য র্যাম তার স্মৃতি থেকে মুছে দেয়। সাধারণত কম্পিউটারের
র্যাম এমবি বা জিবি দ্বারা পরিমাপ করা হয়। কম্পিউটারের র্যাম যত বেশি হবে
কম্পিউটার তত ভালো কাজ করবে।
হার্ড ড্রাইভ
হার্ড ড্রাইভ হচ্ছে কম্পিউটারের স্থায়ি ম্যামোরি। এটি আমাদের মোবাইলের ম্যামোরি
কার্ডের মত কাজ করে। মোবাইলের ম্যামোরিকার্ডের কোন ফাইল বা গান রাখলে যেমনি
পরবর্তীতে সেখান থেকে বার বার ফাইল ব্যবহার করা যায়, ঠিক তেমনি কম্পিউটারের হার্ড
ড্রাইভে কোন কিছু রাখলে সেটা বার বার এক্সেস করা যায়। কম্পিউটার বন্ধ করা হলে
হার্ড ড্রাইভ থেকে কোন তথ্য মুছে যায় না।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট
এটিকে বিদ্যুৎ সরবরাকারী ইউনিট বলা হয়। কারণ পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট কম্পিউটারের
প্রয়োজন মাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পাওয়ার সাপ্লাই ছাড়া কম্পিউটার বিদ্যুতিক শর্ট
লাগতে পারে এবং কম্পিউটার নষ্ট হতে পারে।
Expansion Card
বর্তমান সময়ের সব ধরনের কম্পিউটারের এক্সপেনশন স্লট রয়েছে যাতে আমরা ভবিষ্যতে
একটি এক্সপেনশন কার্ড যুক্ত করতে পারি। এগুলিকে পিসিআই কার্ডও বলা হয়। মূলত
কম্পিউটারের মধ্যে বিশেষ কিছু আলাদা কার্ড সংযুক্ত করার সুবিধার্তে এক্সপেনশন
স্লট এর সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন—
- গ্রাফিক্স কার্ড
- ভিডিও কার্ড
- সাউন্ড কার্ড
- নেটওয়ার্ক কার্ড
- ব্লুটুথ কার্ড
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কি?
সাধারণত কম্পিউটারের যে সমস্ত অংশ আমরা দেখতে এবং ধরতে পারি সেগুলোকে কম্পিউটারের
হার্ডওয়্যার বলে। যেমন কম্পিউটার মাউস, কীবোর্ড, প্রসেসর ও মনিটর ইত্যাদি।
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বিভিন্ন ধরনের শক্ত মেটারিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয় যা দেখে
আমরা সহজে চিনতে পারি।
অন্যদিকে কম্পিউটারের সফ্টওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। সাধারণত
কম্পিউটারের ভীতরে যে সমস্ত কাজ কর্ম আমরা করি সেগুলো হচ্ছে সফটওয়্যার। কম্পিউটার
সফ্টওয়্যার দেখা যায় কিন্তু স্পর্শ করা যায় না। যেমন MS Word, Excel, Power
Point, Photoshop সহ আরো যত ধরনের এপ্লিকেশনের মাধ্যমে কম্পিউটার কাজ সম্পাদিত হয়
তার সবগুলো হচ্ছে সফ্টওয়্যার।
মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার একত্রে মিলিত হয়ে কাজ। হার্ডওয়্যার ছাড়া
যেমনি কম্পিউটার অচল তেমনি সফ্টওয়ার ছাড়া কম্পিউটার অচল। মোট কথা হচ্ছে
হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়ার মিলেই কম্পিউটার গঠিত হয়। কাজেই একটি ছাড়া অন্যটি
পুরোপুরি অচল।
কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি?
আমরা কম্পিউটার বলতে শুধুমাত্র পার্সন্যাল কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ বুঝি।
কিন্তু বাস্তব অর্থে এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ছোট বড় কম্পিউটার রয়েছে। যেমন
টাকা তোলার জন্য যে এটিএম মেশিন ব্যবহার করি সেটিও হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার।
বারকোড স্ক্যানার, বড় ধরনের ক্যালকুলেটর ইত্যাদি হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার। এখন
কম্পিউটারের কয়েকটি ধরণ দেখে নেওয়া যাক—
১। ডেস্কটপ কম্পিউটার
অনেক লোক তাদের বাড়িতে, স্কুল এবং তাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটার
ব্যবহার করে। এগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আমরা সেগুলো খুব সহজে আমাদের
ডেস্কে রাখতে পারি। এই ধরনের কম্পিউটারে মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, কম্পিউটার কেস সহ
আরো কিছু পার্টস থাকে।
২। ল্যাপটপ
ল্যাপটপের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। একটি ল্যাপটপ খুব হালকা পাতলা হওয়ার
কারনে খুব সহজে বহন করা যায় বিধায় বর্তমান সময়ে আমরা সবাই ল্যাপটপ কম্পিউটার
ব্যবহার করতে পছন্দ করি। ল্যাপটপের বিশেষত্ব হচ্ছে এটিতে ব্যাটারি সংযুক্ত থাকে
এবং সহজে যেকোন জায়গায় চালনা করা যায়।
৩। ট্যাবলেট
ট্যাবলেট হচ্ছে এক ধরনের Handheld কম্পিউটার। এটিতে কোন ধরনের কীবোর্ড এবং মাউস
থাকে না। কেবল মাত্র একটি টার্চ স্ক্রিন থাকে যেটিতে স্পর্শ করে কম্পিউটারের সকল
কাজ করা যায়। এই ধরনের কম্পিউটার দেখতে অনেকটা মোবাইলের মত মনে হয়। তবে ট্যাবলেটে
কম্পিউটারের স্ক্রিন একটি নরমাল মোবাইলের চাইতে অনেক বড় হয়।
৪। সার্ভার
একটি সার্ভার এমন এক ধরণের কম্পিউটার যা আমরা তথ্য আদান প্রদান করতে ব্যবহার করি।
উদাহরণস্বরূপ, যখনই আমরা ইন্টারনেটে কোনও কিছুর সন্ধান করি, তখন সে সমস্ত জিনিস
সার্ভারে সঞ্চিত থাকে। এই মুহুর্তে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যম এই ব্লগের যে পোস্টটি
পড়ছেন সেটিও একটি সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে। মূলত সার্ভার কম্পিউটারগুলো
ইন্টারনেটের সাথে কানেকটেড থাকে।
৫। অন্যান্য কম্পিউটার
উপরোক্ত কম্পিউটার ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কম্পিউটার আছে যেগুলোকে আমরা নরমালি
কম্পিউটার হিসেবে গণ্য করি না। ঠিক সেই ধরনের কিছু কম্পিউটার সম্পর্কে এখন আমরা
জেনে নিবো। তবে আপনার কাছে সেগুলো কম্পিউটার জেনে অবাক লাগতে পারে।
I. স্মার্টফোনঃ বর্তমান সময়ে সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে
স্মার্টফোন হচ্ছে অন্যতম। এখন সবার হাতে হাতে একটি করে স্মার্টফোন থাকে।
ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ হওয়ার কারনে এখন আমরা বড় বড় কম্পিউটারের চাইতে
স্মার্টফোন ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করি।
II. Wearable: ফিটনেস ট্র্যাকার এবং স্মার্টওয়াচ সহ এক ধরনের পরিধেয়
ডিজিটাল ভিভাইস পাওয়া যায় যেগুলো খুব সহজে হাতে ব্যবহার করা যায়। একটি
স্মার্টফোনে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায় ঠিক তেমন সুবিধা একটি উন্নতমানের
স্মার্টওয়াচে পাওয়া যায়।
III. Game Control: আপনার আমার ঘরে গেম খেলার জন্য যে সমস্ত Game Control
ব্যবহার করি সেগুলোও হচ্ছে এক ধরনের মিনি কম্পিউটার। বর্তমান সময়ে গেমিং কনসলে
অনেক উন্নত মানের কম্পিউটার টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।
IV. টেলিভিশনঃ এখনকার স্মার্ট টিভিও হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার। কারন
স্মার্ট টিভিতে একটি কম্পিউটারের অনেক ফেসিলিটি দেওয়া থাকে। বিশেষ করে ইন্টারনেট
কানেকশ দিয়ে স্মার্ট টেলিভিশনে ইন্টারনেট ব্রাউজ থেকে শুরু করে সকল ধরনের টিভি
প্রোগ্রাম উপভোগ করা যায়।
কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার হয়?
একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, বর্তমান সময়ে আমাদের প্রায় সকল কাজে
কোন না কোনভাবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন কম্পিউটার আমাদের জীবনের
গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে উঠেছে। প্রাত্যহিক জীবন থেকে শুরু করে অনেক জঠিল ও
কঠিন কাজ সমাধান করতেও এখন কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচে কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারের কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
ডিজিটাল যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার সবচাইতে বেশি। কারণ একজন
শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে মুহুর্তে ইন্টারনেট থেকে যে কোন বিষয়ে জেনে নিতে পারে।
বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর পর থেকে অনলাইন ক্লাশ চালু হওয়ার কারণে শিক্ষাঙ্গনে
কম্পিউটারের ব্যবহার আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এক গবেষনায় দেখা গেছে যে,
কম্পিউটারের সাহায্যে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজে যেকোন বিষয়ে জেনে নিতে পারে যেটা
অন্য কোনভাবে শেখা সম্ভব হয় না।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
কম্পিউটার বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার কারনে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক উন্নত সাধিত হয়েছে।
এখনকার সময়ে যেকোন জঠিল রোগের চিকিৎসা করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। একটি
নরমাল এক্সরে থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনেব কঠিন ও জঠিল অপারেশন করার জন্য
কম্পিউটারের সাহায্য নিতেই হয়। বলতে গেলে কম্পিউটার ছাড়া উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা
কল্পনা করাই যায় না।
ব্যবসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
ব্যবসায় উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতা বাড়াতে কম্পিউটারের একটা বিশাল হাত রয়েছে।
কম্পিউটার মূলত বিপণন, খুচরা বিক্রয়, ব্যাংকিং, স্টক ট্রেডিংয়ে ব্যবহৃত হয়।
তাছাড়া বর্তমানে নগদ লেনদের চাইতে অনলাইনে অধিকাংশ লেনদেন হয় যা কম্পিউটার ছাড়া
কোন অবস্থাতে সম্ভব নয়। বিশেষকরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিপ্লব নিয়ে আসার পিছনে
একমাত্র কম্পিউটারের অবদান।
বিনোদন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার
কম্পিউটার বিনোদনের একটি বিশাল প্লাটফর্ম। আপনার হাতের ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে
কম্পিউটারের বসে পুরো বিশ্বের সিনেমা, মুভি, খেলাধুলা সহ সকল ধরনের বিনোদন উপভোগ
করতে পারবেন। পার্সন্যাল কম্পিউটারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদনের জন্য ক্রয়
করা হয়।
সরকারী কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার
আজকাল সরকারও কম্পিউটার ব্যবহারের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। আমরা যদি ট্র্যাফিক,
পর্যটন, তথ্য ও সম্প্রচার, শিক্ষা, বিমান চালনা সম্পর্কে কথা বলি তবে সমস্ত
জায়গায় কম্পিউটারের ব্যবহার দেখতে পাবেন। এখন সরকারী কলেজ ভার্সিটি থেকে শুরু
করে পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন সহ প্রায় সকল সরকারী কাজে কম্পিউটারের মাধ্যমে
ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। কাজেই সরকারী কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার ব্যাপক হারে
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কম্পিউটারের সুবিধা
কম্পিউটার আমাদের জীবনে সহজ ও নির্ভূল করে তুলেছে। কম্পিউটারের সবচাইতে বড় সুবিধা
হচ্ছে কম্পিউটারে যে কোন কাজ করার পর সেই কাজটি সংরক্ষণ (Save) করে রাখা যায়। যার
ফলে সেই কাজকে মডিফাই করে আবারো নতুন আরেকটি কাজ করা যায়। যা কম্পিউটার ছাড়া অন্য
কোন উপায়ে করা সম্ভব নয়।
তাছাড়া কম্পিউটারের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে কম্পিউটার ব্যবহার করে যেকোন কাজ খুব
নির্ভূলভাবে করা সম্ভব হয়। কারণ কম্পিউটার সঠিক তথ্য ইনপুট করা হলে কম্পিউটার
কখনো বিন্দুমাত্র ভূল তথ্য দেয় না। সে জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে শতভাগ নির্ভূল
ফলাফল আশা করা যায় বলে মানুষ এখন সকল কাজকে কম্পিউটারের উপযোগি করার চেষ্টা করছে।
কম্পিউটারের কোটি কোটি সুবিধা রয়েছে যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। তারপরও এখানে
আমরা কম্পিউটারের বিশেষ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিবো।
১। মাল্টিটাস্কিং
মাল্টিটাস্কিং হচ্ছে কম্পিউটারের একটি বড় সুবিধা। এতে কোনও ব্যক্তি সহজেই কয়েক
সেকেন্ডে একাধিক কাজ, একাধিক ক্রিয়াকলাপ, সংখ্যাগত সমস্যা গণনা করতে পারেন।
কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন নির্দেশে সহজেই গণনা করতে পারে।
২। গতি
এখন কম্পিউটার শুধুমাত্র একটি গণনাকারী ডিভাইস নয়। এখন এটি আমাদের জীবনের একটি
গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কম্পিউটারের আরেকটি দুর্দান্ত সুবিধা হ'ল এটির
উচ্চ গতি, যা খুব অল্প সময়ে যে কোন বড় কাজের সমাধান দিতে পারে। নরমালি আপনি যে
কোজ এক ঘন্টায় করতেন কম্পিউটার সেই কাজ মাত্র এক মিনিটে সমাধান দিতে পারে।
৩। কম খরছ
হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাজে যেখানে নরমালি আপনাকে ১০ লোকের
সহায়তা নিতে হতো কম্পিউটার সেই কাজটি আপনাকে মাত্র কয়েক মিনিট কিংবা ঘন্টায়
সমাধান দিতে পারবে। যার ফলে আপনি একাধিক লোককে হায়ার না করে কম্পিউটারের সাহায্যে
যাবতীয় কাজ করে আপনার বাড়তি খরছ কমাতে পারবেন।
৪। নির্ভুলতা
মূলত কম্পিউটার যে কোন কাজ খুব নির্ভূলভাবে করতে পারে বলে সবাই এখন ঘরের কাজ থেকে
শুরু করে প্রায় সকল ধরনের বড় বড় কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করছে। আপনি যদি
কম্পিউটারে কোন তথ্য সঠিকভাবে ইনপুট করেন তাহলে কম্পিউটারের আপনাকে শতভাগ নির্ভূল
তথ্য দেবে।
৫। তথ্য সুরক্ষা
তথ্য সুরক্ষা ও নিরপাত্তার জন্য কম্পিউটার এখন প্রায় সকল কাজে ব্যবহার হচ্ছে।
বিশেষ করে কোন গোপন তথ্য সুরক্ষার জন্য কম্পিউটারের রয়েছে খুব উন্নতমানের সুরক্ষা
ব্যবস্থা। মানুষ আজকাল টাকা পয়সা থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় সম্পদের নিরাপত্তার
জন্য কম্পিউটার সিকিউরিটি ব্যবহার করছে। কাজেই তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে
কম্পিউটারের চাইতে আর ভালো কিছু হতে পারে না।
কম্পিউটারের অসুবিধা
এ পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভালো ও মন্দ দিক আছে ঠিক তেমনি কম্পিউটারের
এত বেশি সুবিধা থাকার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এবার আমরা কম্পিউটারের
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নিবো।
১। ভাইরাস ও হ্যাকিং আক্রমন
কম্পিউটার ভাইরাসের কথা আমরা সবাই কম বেশি জানি। কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে
কম্পিউটারে একটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম। অন্যদিকে হ্যাকিং হচ্ছে কম্পিউটারে অননুমোদিত
অ্যাক্সেস। যার মাধ্যমে একজন হ্যাকার আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার কম্পিউটারের তথ্য
চুরি করে নিয়ে যায়।
কম্পিউটার ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ও তথ্য নষ্ট করে দিতে
পারে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনে ওয়েবসাইট ও ইউএসবি এর মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস
প্রবেশ করে। তবে আপনি একটু সতর্ক থাকলে এ ধরনের ভাইরাসের প্রবেশ করা থেকে
কম্পিউটারকে রক্ষা করতে পারবেন।
২। অনলাইন সাইবার অপরাধ
কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে সাইবার অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। সাধারণত কম্পিউটার ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অধিকাংশ অপরাধিরা
সাইবার অপরাধ করে। একজন সাইবার অপরাধি আপনার কম্পিউটারের গোপন তথ্য চুরিসহ
বিভিন্ন ধরনের পোগন পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে, যার ফলে আপনি আর্থিকভাবে
ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি সম্মানের হানিও ঘটতে পারে।
৩। কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস
একটি কথা চরম সত্য যে, কম্পিউটারের ব্যবহার যত বেশি বৃদ্ধি হচ্ছে মানুষের
কর্মসংস্থানের সুযোগ তত বেশি হ্রাস পাচ্ছে। কারণ ১০ জন মানুষ মিলে যে কাজটি করত
কম্পিউটার এখন সেই কাজ একাই খুব নির্ভূলভাবে সামাধান করে দিচ্ছে। সরকারী ও
বেসরকারি অফিসে কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধির কারনে ঐ সমস্ত অফিসে কর্মসংস্থান
বিপুল হারে হ্রাস পেয়েছে।
কম্পিউটারের ভবিষ্যত
যাইহোক, দিনে দিনে কম্পিউটারে প্রচুর প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আসছে। যত দিন যাচ্ছে
কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খুব সাশ্রয়ী মূল্যের ক্রয় করা
সম্ভব হচ্ছে। মানুষের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে কম্পিউটারের আরও পরিবর্তন আসবে।
আগে একটি কম্পিউটার বাড়ির আকারের ছিল, এখন এটি আমাদের হাতে বহন করা সম্ভব হচ্ছে।
এমন এক সময় আসবে যখন কম্পিউটার আমাদের মন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। আজকাল
বিজ্ঞানীরা অপটিকাল কম্পিউটার, ডিএনএ কম্পিউটার, নিউরাল কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম
কম্পিউটারের বিষয়ে আরও গবেষণা করছেন। সেই সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিও অনেক
মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে যাতে এটি নিজের কাজটি নিজেই সহজে করতে পারে।
আপনি আজ কি শিখলেন?
এতক্ষণে আপনি অবশ্যই কম্পিউটার কি এবং কম্পিউটার কাকে বলে সে বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে, আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে
পড়েন তাহলে কম্পিউটারের বেসিক বিষয় সম্পর্কে আপনার আর কিছু জানার বাকী থাকবে না।
আমার মনেহয় আপনি এখন থেকে কম্পিউটার কি তার উত্তর দিতে নির্দ্বিধায় দিতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি ইনফরমেটিব মনেহয় তাহলে সকল পাঠকদের নিকট অনুরোধ করছি আপনি
এই তথ্যটি আপনার আশেপাশে, আত্মীয়স্বজন, আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন, যাতে আমাদের
মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয় এবং কম্পিউটার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে।
এই পোষ্টটি পড়ার পরও যদি কম্পিউটার সম্পর্কে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি
কমেন্টের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নটি জানাতে পারেন। আমরা প্রতিউত্তরে কম্পিউটার বিষয়ক
আপনার সকল প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
তাছাড়া কম্পিউটার বিষয়ের আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লাগলে আপনার মতামত কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। কারণ আপনার একটি পজিটিব কমেন্ট ব্লগে নিয়মিত লিখতে আমাকে
অনুপ্রেরনা যোগাবে।
স্যার খুব বড় একটা সমস্যায় আছি আপনার হেল্প ছাড়া সমাধান হবে না।
আমি কিছুদিন আগে এডসেন্স পাওয়ার পর ২/৩ দিন পর একটা প্রিমিয়াম থিম কিনি। আগের থিমে এড কোড বসানো ছিল। বাট সেটা তো এখন নাই আর আগের থিম অন্য কোথাও ব্যবহারও করি নাই। এখন নতুন থিমে ওই এডের কোডগুলো দেওয়ার পর বিজ্ঞাপন শো করার বদলে (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); ফ এটা শো করে।
এখন কী করা যায়? খুব চিন্তায় আছি।
আপনার ব্লগের লিংক সেন্ড করেন। তারপর দেখে জানাচ্ছি। কারণ এগুলো না দেখে বুঝা যায় না।
ধন্যবাদ...