হোস্টিং কি? কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন?
একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করার জন্য ওয়েব হোস্টিং প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটি
ওয়েবসাইট খোলতে চান তাহলে অবশ্যই হোস্টিং সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জ্ঞান রাখতে হবে।
কারণ ওয়েব হোস্টিং ছাড়া একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করা সম্ভব নয়। সো, একটি
ওয়েবসাইট তৈরির গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা আজকের পোস্টে ওয়েব হোস্টিং নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করব।
এই আর্টিকেল থেকে আমরা ওয়েব হোস্টিং এর বেসিক বিষয় থেকে শুরু করে হোস্টিংয়ের
খুটিনাটি বিষয় বিশদভাবে বর্ণনা করব। যার ফলে আপনি জানতে পারবেন যে, ওয়েব হোস্টিং
কি, কিভাবে হোস্টিং কাজ করে, হোস্টিং এর বৈশিষ্ট কি, কোন ধরনের হোস্টিং কেনা উচিত
এবং কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন? সুতরাং এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বেশ হেল্পফুল
হবে।
যারা ব্লগিং জগতে নতুন তাদের হোস্টিং সম্পর্কে খুব বেশি একটা অভীজ্ঞতা থাকে না।
যার কারনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বিধায় অধিকাংশ সময় ভূল হোস্টিং ক্রয় করে।
অথচ একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট শুরু করার পূর্বে ভালো হোস্টিং বাছাই করে নেওয়া
অত্যান্ত জরুরী। কারণ একটি ব্লগ মেনটেইন থেকে শুরু করে ব্লগ দীর্ঘদিন রান করানোর
ক্ষেত্রে হোস্টিং অত্যান্ত গুরুত্ব একটি বিষয়।
সে জন্য আমি বলব আপনি যদি ব্লগিংয়ে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ব্লগিং
ক্যারিয়ারের সফলতা পাওয়ার জন্য আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত। কারণ এই
পোস্ট পড়ার পর আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে উপযুক্ত হোস্টিং নিজে নিজে বাছাই করতে
পারবেন।
এগুলো পড়তে পারেন—
এখন আমরা হোস্টিং কি তা জেনে নিবো। তবে হোস্টিং সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে
ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ইন্টারনেট কি এবং ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে
সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা না থাকলে আপনি হোস্টিং বিষয়টি বুঝতে পারবেন না। কারণ
হোস্টিং এবং ইন্টারনেট একে অন্যের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। সুতরাং আগে ইন্টারনেট
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট বিষয়ে এখানে আমরা বেশি কিছু বলব না। কারণ ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে
ইন্টারনেট কাজ করে সে বিষয়ে আমরা ইতোপূর্বে আমাদের ব্লগের একটি বিস্তারিত পোস্ট
শেয়ার করেছি। আমি পোস্টটির লিংক দিয়ে দিচ্ছি। আপনি সেই পোস্ট থেকে ইন্টারনেট
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
ইন্টারনেট বিশ্বের বৃহত্তম আন্তঃ সংযুক্ত নেটওয়ার্ক। আন্তঃ সংযুক্ত নেটওয়ার্ক
মানে একে অপরের সাথে সংযুক্ত। আজকের পুরো বিশ্ব, মোবাইল থেকে শুরু করে প্রায় সকল
কম্পিউটার এই বড় নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। আপনার আমার প্রতিটি মোবাইল পুরো
বিশ্ব নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে।
মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন অন করলে আমরা ইন্টারনেটে থাকা সকল তথ্য দেখতে পারি।
সেই তথ্যগুলো কোথা থেকে আসে আপনি হয়তো সেটা কখনো চিন্তা করেননি। ইন্টারনেটের
মাধ্যমে যে সকল তথ্য আমরা দেখতে পাই সেগুলো কোন না কোন কম্পিউটারের সেভ করা থাকে।
আর যখন আমরা ডেটা কানেকশন অন করি তখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঐ সমস্ত কম্পিউটারের
সাথে আমাদের মোবাইলের এক ধরনের কানেকশন বা সংযোগ তৈরি হয়। তখন আমরা সার্ভার
কম্পিউটারে সেভ করা ফাইল আমরা দেখতে পাই। মূলত ঐ সমস্ত কম্পিউটারের ফাইল যে
কম্পিউটারের যে জায়তে রাখা হয় সেটিকে ওয়েব সার্ভার বা ওয়েব হোস্টিং বলা যেতে
পারে।
হোস্টিং কি?
আপনি যখন কোন একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করবেন তখন ওয়েবসাইট বা ব্লগের
ফাইলগুলোকে ইন্টারনেটে রাখতে হবে, যাতে মানুষ আপনার ব্লগ দেখতে ও পড়তে পারে। কারণ
আমরা ইতোপূর্বে জেনেছি যে, ইন্টারনেটে যখন কোন ফাইল রাখা হয় তখন নেটওয়ার্ক
সংযোগের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে সেই ফাইল দেখা যায়।
এখন আপনার ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয় ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি, অডিও এবং ভিডিও যেখানে
রাখবেন সেই জায়গাই হচ্ছে ওয়েব হোস্টিং। আরো সহজভাবে বলা যায় যে, ওয়েব হোস্টিং
হচ্ছে বিশাল আকারে কম্পিউটার, যে কম্পিটারে অনেক বড় সাইজের হার্ডড্রাইভ থাকে। আর
আমরা সেই কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভে যখন কোন ডকুমেন্ট রাখি সেই ডকুমেন্ট আন্তঃ
সংযোগের মাধ্যমে সবাই দেখতে পাই।
এই ধরনের বিশাল কম্পিউটার ২৪ ঘন্টা অন করা থাকে। যেটা আমাদের পার্সোন্যাল
কম্পিউটারের মত যখন তখন অন অফ করা হয় না। আর যে সমস্ত কোম্পানি এ ধরনের বিশাল
কম্পিউটার সংরক্ষণ করে তাদেরকে বলে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি। তারা অনেক টাকার খরছ
করে ঐ সমস্ত কম্পিউটার দিন রাত ২৪ ঘন্টা অন রাখে বিধায় তাদের কাছ থেকে টাকার
বিনিময়ে আমরা ওয়েব হোস্টিং কিনে নেই।
সহজ ভাষায় বলা যায় যে,
একটি ওয়েবসাইটের সকল ফাইল ইন্টারনেটের যে স্টোরেজে রাখা হয় সেই স্পেস বা
স্টোরেজকে হোস্টিং বলা হয়।
প্রত্যেকটি ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির সার্ভারগুলো বিশ্বের সকল নেটওয়ার্কের সাথে
সংযুক্ত থাকে। যার কারনে ঐ হোস্টিং বা সার্ভারে রাখা যে কোন তথ্য ইন্টারনেট
কানেকশন এর মাধ্যমে দেখা যায় বা এক্সেস করা সম্ভব হয়।
ওয়েব হোস্টিং কিভাবে কাজ করে?
এখন অনেক ধরনের ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইটের
মালিকদের সেই সমস্ত হোস্টিং সার্ভারের ওয়েবসাইট রাখার অনুমতি দেয়। যখন একটি
ওয়েবসাইট কোন সার্ভারের হোস্ট করা হয় তখন সেই সার্ভারের সাথে একটি ইউনিক ডোমেইন
নাম সংযুক্ত করার মাধ্যমে যে কোন সময় সেই ওয়েবসাইটের ফাইল দেখা যায়।
সাধারণত একটি ব্লগের এড্রেস যে কোন ব্রাউজারে টাইপ করে সার্চ করলে তখন সেই
ব্রাউজার সার্ভারের রাখা ফাইলগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করে। যার ফলে সেই সার্ভারে
হোস্ট করা ওয়েবসাইটের ফাইল যে কোন স্থান হতে সহজে দেখা যায়।
উদাহরণ হিসেবে আমার ব্লগটি বিবেচনা করতে পারেন। আমার ব্লগের এড্রেস হলো
BloggerBangladesh.com. কেউ যখন কোন মোবাইল বা কম্পিউটার ব্রাউজার থেকে আমার
ব্লগের এড্রেস লিখে সার্চ করবে তখন সেই ব্রাউজার আমার ব্লগের ফাইলগুলো যেই
সার্ভারে রাখা আছে সেই সার্ভারের সাথে আপনার মোবাইলের একটি কানেকশন তৈরি করবে।
যার ফলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল থেকে সহজে আমার ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবেন। এভাবেই
মূলত ওয়েব হোস্টিং কাজ করে।
ওয়েব হোস্টিং কেথায় কিনবেন?
বর্তমানে অসংখ্য অসংখ্য ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে যারা নিয়মিত হোস্টিং বিক্রি
করছে। বিশেকরে এখন আমাদের দেশের অনেক ভালো ভালো হোস্টিং প্রোভাইডার সহ বিভিন্ন
ধরনের রিসেলার হোস্টিং কোম্পানি আছে। আপনি চাইলে তাদের নিকট থেকে কিনতে পারেন।
আপনার ব্লগে যদি বাংলা ভাষায় লেখালেখি করেন তাহলে আপনার জন্য বাংলাদেশি হোস্টিং
কেনা বেটার হবে। কারণ হোস্টিং কোম্পানির সার্ভার আপনার ভিজিটরদের যত কাছে থাকবে
আপনার ব্লগ তত দ্রুত লোড নিবে। অন্যদিকে আপনি যদি ইংরেজিতে ব্লগিং করেন তাহলে যে
দেশের ভিজিটর আপনার বেশি হয় সেই দেশের হোস্টিং নিলে আপনার জন্য ভালো হবে। তবে
যেকোন দেশের হোস্টিং কিনলেও তেমন কোন সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশের মানুষ হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে পে-মেন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ
দেখা যায় যে, ভালোমানের বিদেশি কোম্পানির নিকট থেকে হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে
মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড বা পেপাল একাউন্টের প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ
লোকের কাছে এ ধরনের কোন কার্ড না থাকায় বিদেশি কোম্পানির নিকট থেকে হোস্টিং কিনতে
পারে না।
তবে আপনি যদি বাংলাদেশি কোম্পানির নিকট থেকে হোস্টিং কিনতে চান তাহলে বিকাশ ও নগদ
একাউন্টের মাধ্যমে পে-মেন্ট করে খুব সহজে হোস্টিং কিনতে পারবেন। আপনি যদি একান্তই
বিদেশি কোম্পানির নিকট থেকে হোস্টিং কিনতে চান এবং আপনার কোন পেমেন্ট সিস্টেম না
থাকে তাহলে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনার হোস্টিং কেনার
ক্ষেত্রে সর্বাত্মক হেল্প করব।
বর্তমানে কম দামে হোস্টিং বিক্রি করছে এমন অনেক কোম্পানি আছে। তাদের মধ্যে নিচের
হোস্টিং কোম্পানিগুলো বেশ জনপ্রিয়—
- BlueHost
- Namecheap
- Hostgator
- Godaddy
- Hostinger
- Host Might (বাংলাদেশ)
এখানে উপরের ৬ টি হোস্টিং কোম্পানির মধ্যে প্রথম ৫ টি হচ্ছে বিদেশি কোম্পানি।
এখানে BlueHost হচ্ছে সবচাইতে ভালো মানের হোস্টিং প্রোভাইডার। তবে তাদের
হোস্টিং প্যাকেজ এর মূল্য অনেক বেশি হয়। আর উপরের ৬নং Host Might হচ্ছে আমাদের
দেশের হোস্টিং কোম্পানি। আমি নিজে তাদের কাছ থেকে হোস্টিং কিনে দুইটি
ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ পরিচালনা করছি।
কোন কোম্পানির হোস্টিং কিনবেন?
উপরে উল্লেখিত কোম্পানি ছাড়াও দেশি বেদেশি অসংখ্য হোস্টিং কোম্পানি আছে। একজন
সাধারণ ব্যক্তি যে কোন কোম্পানির হোস্টিং প্যাকেজ দেখে আপাত দৃষ্ঠিতে ভালো মনে
হবে। সে জন্য অভীজ্ঞতা ছাড়া সহজে কেউ সঠিক হোস্টিং বাছাই করতে পারবে না।
প্রত্যেকটি হোস্টিং কোম্পানির আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। তাছাড়া ব্যক্তি বিশেষে
হোস্টিং এর চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। কাজেই আপনি কোন ধরনের ব্লগিং করবেন সেটার উপর
ভিত্তি করে আপনাকে সেরা হোস্টিং বাছাই করতে হবে। হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে নিচের
বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
1. Disk Space
এখানে Disk Space বলতে হোস্টিং এর পরিমান বুঝানো হচ্ছে। কম্পিউটারের হার্ড
ড্রাইভের যেমন ৫০০ জিবি এবং ১০০০ জিবি স্টোরেজ থাকে ঠিক তেমনি হোস্টিংয়েরও
স্টোরেজ থাকে। আপনি যত বেশি ডিস্ক স্পেস কিনবেন আপনাকে তত বেশি টাকা খরছ করতে
হবে। আপনার জন্য কতটুকো Disk Space প্রয়োজন হবে সেটা আপনার কাজের উপর ডিপেন্ড
করবে। নরমালি একটি নতুন পার্সন্যাল ব্লগের জন্য ১ জিবি স্টোরেজ হোস্টিং কিনলেই
যথেষ্ট।
2. Bandwidth
একটি ওয়েবসাইট প্রতি সেকেন্ডে কি পরিমান তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে সেটাকে
Bandwidth দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস করে তখন
আপনার কাঙ্খিত সার্ভারটি কিছু ডেটা ব্যবহার করবে। এ ক্ষেত্রে আপনার হোস্টিংয়ের
Bandwidth কম হলে আপনার ব্লগ ডাউন হবে এবং অনেক স্লো গতির হবে। কাজেই হোস্টিং
কেনার সময় Bandwidth ভালো কি না তা দেখে কিনতে হবে।
3. Uptime
একটি হোস্টিং সার্ভার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কতক্ষণ সময় নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটিভ থাকে
সেটাকে Uptime দ্বারা বুঝানো হয়। হোস্টিং সার্ভার এর আপটাইম ভালো না হলে আপনার
ওয়েবসাইট ডাউন হবে। যার ফলে আপনার ব্লগের ট্রাফিক হারাবেন। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ
হোস্টিং কোম্পানি ৯৯.৯৯% Uptime এর নিশ্চয়তা দেয়। কাজেই হোস্টিং কেনার আগে আপটাইম
যাচাই করে নিবেন।
4. Customer Service
আপনি যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনুন না কেন আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেই
কোম্পানি ঠিকমত কাস্টমার সাপোর্ট দেয় কি না? কারণ ব্লগিং করার সময় আপনি হোস্টিং
নিয়ে ছোটখাটো সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই মুহুর্তে আপনি সাপোর্ট পাবেন কি না সেই
বিষয়টি বিবেচনা করে তবেই হোস্টিং কেনা উচিত। তা না হলে হোস্টিং কিনে বিভন্ন ধরনের
প্রবলেম ফেস করতে হতে পারে।
হোস্টিং কেনার সিদ্ধান্তঃ একটি
ভালোমানের হোস্টিং ক্রয় করার জন্য কোন কোন দিকগুলো বিবেচনা করতে হয় তার সবটাই
উপরে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কাজেই কোন কোম্পানি আপনাকে উপরোক্ত ফেসিলিটি দিতে পারছে
কি না তা সার্বিক বিবেচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত হোস্টিং নির্বাচন করতে হবে।
ওয়েব হোস্টিংয়ের ধরণ
এখন বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং পাওয়া যায়। তবে নিচের চার ধরনের হোস্টিং অধিকাংশ
ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কাজেই এখন আমরা নিম্নোক্ত চার ধরনের হোস্টিং এর সুবিধা
অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো। জনপ্রিয় চার ধরনের ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে—
- Shared Web Hosting
- VPS (Virtual Private Server)
- Dedicated Hosting
- Cloud Web Hosting
1. Shared Web Hosting
শেয়ার মান হচ্ছে ভাগাভাগি করা। অর্থাৎ যে হোস্টিং একাধিক লোক ভাগ করে ব্যবহার করে
সেই হোস্টিংকে শেয়ারড হোস্টিং বলে। এই ধরনের একটি হোস্টিং সার্ভার একাধিক লোক
ক্রয় করে থাকে। যার কারনে শেয়ার হোস্টিং অন্যান্য হোস্টিংয়ের তুলনায় কিছুটা
কমদামের হয়।
বিষয়টি বুঝার জন্য আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন, আপনি যখন কলেজ ভাসিটিতে পড়তেন
তখন বসবাসের জন্য ছোট ছোট রুম ভাড়া করতেন। পরবর্তীতে আপনি সেই বাসার জায়গা
অনুসারে আপনার রুমে আরো কিছু লোকের সাথে রুম শেয়ার করতেন। যার ফলে বাসা ভাড়া সবাই
মিলে সমান হারে দেওয়ার কারনে ভাড়া অনেক কম হতো।
ঠিক সেই ভাবে শেয়ার হোস্টিংয়ের একটি সার্ভারের স্টোরেজ একাধিক ব্যক্তির কাছে
বিক্রি করা হয়। যার ফলে শেয়ার হোস্টিংয়ের দাম কমে যায়। কিন্তু ভাগ করার ফলে একই
সার্ভারে যখন একাধিক লোক তাদের ওয়েবসাইট রাখবে তখন যেই ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক
থাকবে সেই ওয়েবসাইটের প্রভাব আপনার ওয়েবসাইটের উপর পড়বে। যার ফলে আপনার
ওয়েবসাইটের স্পিড কমে যাবে। মোট কথা হচ্ছে একটা রুম ভাগাভাগি করে একাধিক লোক
ব্যবহার করলে যা হয়।
Shared Hosting এর সুবিধা
- এই ধরনের হোস্টিং ব্যবহার ও সেটআপ খুব সহজ।
- এটি নতুন ওয়েবসাইটের জন্য ভালো।
- এর দাম খুব কম, তাই সবাই কিনতে পারে।
- এটির Control Panel সহজভাবে তৈরি করা হয়।
Shared Hosting এর অসুবিধা
- এটাতে খুব লিমিটেড অ্যাক্সেস পাওয়া যায়।
- অন্যদের সাথে সার্ভার ভাগ হওয়ার কারনে ওয়েবসাইট ডাউন হতে পারে।
- এটির সিকিউরিটি ব্যবস্থা তেমন ভালো না।
- অধিকাংশ কোম্পানি কোন ধরনের সাপোর্ট দেয় না।
2. VPS Hosting
VPS হোস্টিং শেয়ারড হোস্টিংয়ের উন্নত ভার্সন। সাধারণত শেয়ার হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে
একটি সার্ভারকে ভাগ করে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করা হয় এবং ভাগ করা প্রত্যেকটি
সার্ভার তাদের প্রয়োজনীয় ডেটা অন্য সার্ভার থেকে নিতে পারে। কিন্তু VPS সার্ভারের
ক্ষেত্রে একটি সার্ভার একাধিক লোকের কাছে বিক্রি করা হলেও ভাগকৃত একটি সার্ভার
অন্য সার্ভারের কোন শক্তি ব্যবহার করতে পারে না। অর্থাৎ ভাগ হওয়া প্রত্যেকটি
সার্ভার তাদের নিজেস্ব পাওয়ার থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ৫ জন লোক মিলে একটি বাসা ভাড়া নিলেন যেখানে ৫ টি রুম
আছে। কিন্তু কেউ অন্যের রুম ব্যবহার করতে পারবে না বা ব্যবহার করার অনুমতি নাই। ৫
জন লোক প্রত্যেকে তাদের নিজের রুমে অবস্থান করে এবং সকল কাজে যার যার রুম ব্যবহার
করবে। তারা প্রত্যেকে একই বাসাতে আছে কিন্তু অন্য রুমে যাওয়ার কোন ক্ষমতা নেই।
VPS হোস্টিংয়ে ভিজ্যুয়ালাইজেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে একটি
শক্তিশালী সার্ভার এবং সুরক্ষিত সার্ভারটি কার্যত বিভিন্ন অংশে বিভক্ত থাকে।
এখানে আপনাকে অন্য কোনো ওয়েবসাইটের সাথে হোস্টিং ভাগাভাগি করতে হবে না।
VPS হোস্টিং শেয়ার হোস্টিংয়ের চাইতে কিছুটা ব্যয়বহুল। তবে শেয়ার হোস্টিংয়ের
চাইতে VPS হোস্টিংয়ের গুনগত মান অনেক ভালো। আপনি যদি কম খরছে ডেডিকেটেড সার্ভারের
মতো পারফরম্যান্স চান তবে VPS হোস্টিং আপনার জন্য সেরা হবে।
VPS হোস্টিংয়ের সুবিধা
- এই ধরনের হোস্টিং ভালো পারফরমেন্স প্রদান করে।
- ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ের মত পুরো নিয়ন্ত্রন পাওয়া যায়।
- ব্যান্ডউথ ও স্পিড ভালো থাকে।
- ডেডিকেটেড সার্ভারের মত বেশি দাম না হওয়ার সবাই VPS হোস্টিং কিনতে পারে।
- এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা অনেক উন্নত।
- সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললে চলে।
- যে কোন সময় কাস্টমার সাপোর্ট পাওয়া যায়।
VPS হোস্টিংয়ের অসুবিধা
- এটি ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রন করা কিছুটা কঠিন।
- ডেডিকেটেড সার্ভারের চাইতে কম রিসোর্চ দেওয়া হয়।
3. Dedicated Hosting
Dedicated হোস্টিংয়ে কারো কোন ভাগ থাকে না। এ ধরনের হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে একজন
ব্যক্তির জন্য একটি নির্ধারিত সার্ভার দেওয়া হয়। এই সার্ভার কোন অবস্থাতে অন্য
কেউ ব্যবহার করতে পারে না। এটি হচ্ছে Share Hosting এর সম্পূর্ণ বিপরীত।
যাদের ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক থাকে তারা সাধারণত এ ধরনের Dedicated
Hosting ব্যবহার করে। কারণ যে ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক সেই ওয়েবসাইটের জন্য
উন্নতমানের ওয়েব হোস্টিং প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বড় বড় ই-কমার্স সাইটগুলো এ ধরনেরে
Dedicated Hosting ব্যবহার করে।
Dedicated Hosting এর সুবিধা
- এই ধরনের সার্ভার কেউ ভাগ করতে পারে না।
- সব ধরনের হোস্টিংয়ের তুলনায় এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা উন্নত।
- এর সার্ভার অনেক শক্তিশালি হয়।
- সার্ভার ডাউন কখনো হবে না।
- ওয়েবসাইটে যত বেশি ট্রাফিক থাকুক না কেন ওয়েবসাইট স্লো হবে না।
Dedicated Hosting এর অসুবিধা
- এটি অনেক ব্যয়বহুল হোস্টিং।
- নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রযুক্তিগত অনেক জ্ঞান থাকতে হবে।
-
এই ধরনের সার্ভার মেনটেইন করার জন্য টাকা খরছ করে এক্সপার্ট নিয়োগ করতে হয়।
4. Cloud Web Hosting
Cloud Web Hosting বর্তমান সময়ের অনেক জনপ্রিয় একটি হোস্টিং। ক্লাউড হোস্টিং হলো
একাধিক কম্পিউটার সার্ভারের সম্বনয়ে গঠিত একটি হোস্টিং সার্ভার। অর্থাৎ এই
হোস্টিং-এ অনেকগুলো সার্ভার এক সাথে কানেক্টেট থাকে।
আর এই হোস্টিংয়ে ওয়েবসাইটের যাবতীয় ফাইল বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন
সার্ভারে রাখা হয়। যার ফলে ক্লাউড হোস্টিংয়ে একটি সাইট ডাউন হওয়ার সম্ভবনা
একেবারে নেই বললেই চলে। তাছাড়া এই হোস্টিং বেশি সিকিউর হয়ে থাকে। তাই দিন দিন
ক্লাউড হোস্টিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এখন অধিকাংশ ব্লগাররা তাদের ওয়েবসাইটের জন্য ক্লাউড হোস্টিং বেছে নেয়। কারণ
অন্যন্য হোস্টিং এর তুলনায় এটির দামও অনেক কম। নতুন, এক্সপার্ট সাবার জন্যই
ক্লাউড হোস্টিং সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। তাছাড়া এটি যে কারো জন্যই সেরা একটি
হোস্টিং মাধ্যম হতে পারে।
Cloud Hosting এর সুবিধা
- এখানে সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
- ব্লগে বেশি ট্রাফিক হলেও ব্লগ স্লো হয় না।
- উন্নতমানের সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকে।
- বিভিন্ন দামের প্যাকেজ পাওয়া যায়।
Cloud Hosting এর অসুবিধা
- এখানে রুট অ্যাক্সেসের সুবিধা দেওয়া হয়নি।
- অন্যান্য নরমাল হোস্টিংয়ের চাইতে কিছুটা ব্যয়বহুল।
Linux vs Windows Web Hosting
হোস্টিং কোনার ক্ষেত্রে দুই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে
লিনাক্স এবং অন্যটি হলো উইন্ডোজ। আপনি কি জানেন এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
আপনি এই দুটির মধ্যে যে কোন ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন। তবে উইন্ডোজ
অপারেটিং সিস্টেমের হোস্টিং কিছুটা ব্যয়বহুল হয়।
লিনাক্স একটি অপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম হওয়ার কারণে উইন্ডোজের তুলনায় লিনাক্স
অপারেটিং সিস্টেমের হোস্টিং কিছু কম দামি হয়। কারণ লিনাক্স অপারেরিটং হোস্টিংয়ের
ক্ষেত্রে কোম্পানির কোন অপারিটিং সিস্টেম খরছ থাকে না। যে কারনে এটা কিছু সস্তা
হয়।
অন্যদিকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কোম্পানি উইন্ডোজকে অপারেটিং সিস্টেমের
খরছ বহন করতে হয়। যার জন্য এটি লিনাক্স এর তুলনায় ব্যয়বহুল হয়। উভয় সার্ভার ভালো
তবে উইন্ডোজকে লিনাক্সের চাইতে বেশি সুরক্ষিত মনে করা হয়। সাধারণত লিনাক্স
সার্ভার সস্তা হওয়ার কারনে উইন্ডোজের চাইতে লিনাক্স হোস্টিং বেশি ব্যবহৃত হয়।
হোস্টিং এর দাম
এক একটি হোস্টিং কোম্পানি এক এক ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকে বিধায় কোম্পানি অনুসারে
হোস্টিংয়ের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়। সে জন্য হোস্টিং এর সুনির্দি কোন দাম নির্ধারণ
করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া বিভিন্ন সময় হোস্টিং কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে
থাকে। নিচের আমরা হোস্টিং এর দাম সম্পর্কে একটা অনুমান দেওয়ার চেষ্টা করব।
- Shared Hosting – প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা
- VPS Hosting – প্রতি মাসে ২০০০ থেকে ১০০০০ টাকা
- Dedicated Hosting – প্রতি মাসে ৭০০০ থেকে ২০০০০ টাকা
- Cloud Hosting – প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা
আপনি যদি ব্লগিংয়ে একদম নতুন হয়ে থাকেন এবং আপনার ব্লগে ট্রাফিক কম হলে Shared
Hosting কেনার জন্য আমরা আপনাকে পরামর্শ দিবো। অন্যদিকে আপনার মোটামুটি ট্রাফিক
থাকলে এবং নিয়মিত ব্লগে কাজ করলে Cloud Hosting কিনার জন্য বলবো।
শেষ কথা
আমার বিশ্বাস ওয়েব হোস্টিং কি এবং কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন সংক্রান্ত এই লেখাটি
আপনার পছন্দ হয়েছে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে হোস্টিং সম্পর্কে একটি কমপ্লিট গাইড
দেওয়ার সর্বাত্ম চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
ইতোপূর্বে হোস্টিং বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছন।
ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কিত এই লেখাটি আপনার পছন্দ হয়ে থাকলে আপনি পোস্টটি ফেসবুকে
শেয়ার করতে পারেন। তাহলে সহজে আপনার বন্ধ বান্ধব এই পোস্টটি পড়ে ওয়েব হোস্টিং
সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সাথে হোস্টিং সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট
করে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
হুম হোস্ট মাইট দেশী প্রভাইডার হিসেবে অনেক ভালো। তাদের থেকে আমারও একটি ডোমেইন নেওয়া আছে। আপনার ব্লগ সাইটে মেগা লিংকে ক্লিক করলে বিভিন্ন ধরনের টুল/ট্যাবের লিংক আসে। বলা যেতে পারে সাব মেনু। আমার ব্লগে এই পদ্ধতিটা যোগ করতে ইচ্ছুক। এই বিষয়ে জানালে বা টিউটোরিয়াল করলে উপকৃত হই।
এটা কমেন্টের মাধ্যমে জানানো সম্ভব নয়। গুগলে সার্চ করেন, এ ধরনের অনেক সমাধান পেয়ে যাবেন।
অনেক সুন্দরভাবে বুঝিয়ে লিখেছেন।
আমার দুটো প্রশ্ন ছিলো, তবে ব্লগস্পট সম্পর্কে ১।Emporio theme এ footer
যোগ করার bootstrap link head../head এ যোগ করলে search icon এবং মোবাইল নেভিগেশন এর tripple dot কাজ করে না কেন? ২। আমার সিএসএস ও এইচটিএমএল সম্পর্কে ভাসাভাসা idea আছে(কারন কেবল ইন্টার পাস করেছি) ।কিন্ত মোবাইল রেসপন্সিভ ফুটার কিভাবে ডিজাইন করব শুধু সিএসএস ও এইচটিএমএল ব্যবহার করে, একটু বললে ভালো হয়- grid-template-columns ব্যবহার করলে মোবাইল রেসপন্সিভ হয় না। চাইলে দেখতে পারেন। প্রোজেক্ট-https://neharscookingstudio.blogspot.com/
Fuad(Actually I have logged in with my mother's profile)
আপনি যেটি ব্যবহার করছেন সেটা হচ্ছে ব্লগার কাস্টম থিম। কাস্টম থিম এক একজন ডেভেলপার ভিন্ন ভিন্নভাবে তৈরি করে। সুতরাং এভাবে সমাধান দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি এ বিষয়ে আপনার থিমের ডেভেলপারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সে আপনাকে সহজে সমাধান দিতে পারবে।
মূলত আমি পিসি হতে আপনার ব্লগ সাইট বেশী ভিজিট করি। একটি বিষয়ঃ পিসি থেকে ভিজিট করলে আপনার ব্লগের এডসেন্সের এড দেখা যায় না কিন্তু মোবাইল ডিভাইস হতে ভিজিট করলে দেখা যায়। এর কারনটা কি?
আপনার কম্পিউটার ব্রাউজারের cache পরিষ্কার করুন, তাহলে অবশ্যই বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। কারণ যারা একটি ব্লগে বার বার ভিজিট করে এডসেন্স তাদের ব্রাউজারে সবসময় বিজ্ঞাপন শো করে না।
আমার ব্লগারে ক্যাটাগরী/লেবেল নিয়ে সমস্যাতে পড়েছি যথারুপঃ আমার ব্লগে Tech News নামে একটি লেবেল তৈরি করেছি এবং এই লেবেলের অধীনে ৫ টি পোস্ট পাবলিশ করেছি। অতপর উক্ত লেবেলে ক্লিক করলে সবগুলো পোস্ট শো না করে নিচের দিকে কোন একটি পোস্টের লিংক শো করছে। তাছাড়াও আমার হোম পেজে পোস্ট অপশন ৮ টা নির্বাচন থাকা স্বত্তেও ব্লগের হোমপেজে সবগুলো পোস্ট শো করছেনা। সমাধান দিলে উপকৃত হবো। বুঝার সুবিধার্ধে একটি ইমেজ লিংক প্রদান করলামঃ https://ibb.co/NmgX6cq
আপনি থিম পরিবর্ন করেন। কারণ এই থিমগুলো পুরনো হয়েগেছে