সফটওয়্যার কি?
সফটওয়্যার কি, সে বিষয়ে আমাদের সবার কম বেশি ধারনা আছে। কারন আমরা যারা কম্পিউটার
কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহার করি তারা সবাই কম বেশি হলেও সফটওয়ার শব্দটির সাথে
পরিচিত। একটি কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের পুরো কার্যক্রম সফ্টওয়্যারের উপর ভিত্তি
করে চলে। আমার মনেহয় একটি ছোট্ট শিশুও সফ্টওয়্যার শব্দটির সাথে পরিচিতি!!
বর্তমানে কম্পিউটার ও মোবাইলে এত ভালোমানের সফটওয়ার তৈরি হয়েছে, যার ফলে মানুষ
এখন সব ক্ষেত্রে সফটওয়ার নির্ভর হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে জঠিল ও
কঠিন কাজে কম্পিউটার ও মোবাইল সফটওয়ারের ব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষ এখন
সফটওয়ার ছাড়া অন্য কোনভাবে কাজ করতেই চায় না। মূলত একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে
নির্ভূল তথ্য পাওয়া যায় বলে মানুষ দিন দিন সফটওয়ার নির্ভর হচ্ছে।
একটি কম্পিউটার সফটওয়ার একজন সাধারণ মানুষের চাইতে অনেক দ্রুত ও নির্ভূলভাবে কাজ
করতে পারে। যেখানে একজন মানুষ একটি কাজ করতে তিন ঘন্টা নিতো সেই কাজটি সফটওয়ার
মাত্র তিন মিনিটে করে দিতে পারে। তাছাড়া একটি কাজ করার পর কম্পিউটার সফটওয়ারের
মাধ্যমে এডিট করে বার বার কাজ করা যায় যেটা অন্য কোন উপায়ে সম্ভব নয়। মোট কথা
হচ্ছে সফটওয়্যার মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে বিধায় মানুষ সফটওয়ার নির্ভর
হচ্ছে।
একটি কম্পিউটার বা মোবাইল বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি
করা হয় যা একজন মানুষ দেখতে পারে এবং স্পর্শ করতেও পারে। কিন্তু একটি সফটওয়ার
বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে তৈরি করা হয় যেটা দেখাও যায় না
আবার হাতে ধরাও যায় না বা স্পর্শ করা সম্ভব হয় না। একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার
দ্বারা পরিচালনা করা প্রোগ্রাম ও কমান্ড গুলোকে সফটওয়ার বলা যেতে পারে।
আপনি এই মুহুর্তে আমাদের যে লেখাটি পড়ছেন সেটা আপনি কোন একটি কম্পিউটার বা মোবাইল
সফটওয়ারের মাধ্যমে পড়ছেন। আপনার ব্যবহৃত সফটওয়্যারটি হচ্ছে ব্রাউজার সফটওয়ার।
এই ব্রাউজার সফটওয়ার ছাড়া আপনি কোনভাবে আমাদের ব্লগের পোস্টটি পড়তে পারতেন না।
কাজেই কম্পিউটার পরিচালনার জন্য অবশ্যই সফটওয়ারের প্রয়োজন আছে।
মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন হাত, পা, নাক, কান ও চোখ নিয়ে গঠিত হয়। সেই
সাথে মানুষের ভীতর অনুভূতি, হাসি, কান্না, বেদনা ও ভালোবাসা থাকে। ঠিক তেমনি একটি
কম্পিউটার দুটি জিনিস নিয়ে গঠিত হয়। একটি হচ্ছে হার্ডওয়্যার ও অন্যটি হচ্ছে
সফটওয়ার। হার্ডওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের হাত, পা, নাক, কান এবং সফটওয়ার হচ্ছে
কম্পিউটারের অনুভূতি, হাসি, কান্না, বেদনা ও ভালোবাসা।
এগুলো পড়তে পারেন—
আজকের সময়ের যে সমস্ত ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট সহ
আরো ছোট বড় ডিজিটাল ডিভাইস পরিচালিত হচ্ছে তার সবগুলোতে সফটওয়ার প্রোগ্রাম
রয়েছে। সো, আসুন আমরা জেনে নেই সফটওয়ার কি, সফটওয়্যার কত প্রকার, সফটওয়ার
কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে সফওয়্যার তৈরি করতে হয়?
সফটওয়্যার কি?
সফটওয়্যার হচ্ছে অনেকগুলো প্রোগ্রাম ও নির্দেশনা (Functions) এর সমষ্টি যা একত্রিত
হয়ে কম্পিউটারের নির্দিষ্ট কোন টাস্ক সম্পাদনের নির্দেশ দেয়। একটি সফটওয়ার
মানুষকে কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষমতা দেয়। সফটওয়্যার ছাড়া একটি কম্পিউটারকে
হার্ডওয়্যারের বক্স ছাড়া আর কিছু বলা যাবে না। আর আমরা সফটওয়ার ছাড়া কম্পিউটারকে
কমান্ড করতেও পারব না।
একজন মানুষ তার নিজের ইন্দ্রিয় শক্তির মাধ্যমে কখনো সফটওয়ার দেখতে পায় না। সেই
সাথে সফটওয়ারকে স্পর্শও করা সম্ভব হয় না। কারণ একটি সফটওয়ারের কোন ফিজিকেল
পার্ট থাকে না। সফটওয়ার হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল অবজেক্ট যেটা শুধুমাত্র বুঝা যায় ও
অনুভব করা যায়।
আপনার কম্পিউটারে যদি সফটওয়ার ইনস্টল করা না থাকে তাহলে সেই কম্পিউটারকে একটি
মৃত বস্তু হিসেবে গণ্য করতে পারেন। কারণ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কখনো সফটওয়ারের
সাহায্য ছাড়া পরিচালিত হতে পারে না। কম্পিউটার তার নিজেস্ব শক্তি দেখানোর জন্য
সফটওয়্যারের সাহায্য নিতেই হবে।
আপনি সাধারণ সেন্সে চিন্তা করে দেখুন আর মনে করুন যে, আপনার কম্পিউটারে সকল ধরনের
সফটওয়ার ইনস্টল করা আছে। কিন্তু শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্রাউজার ইনস্টল করা নেই,
তাহলে আপনার কম্পিউটারের কি অবস্থা হবে? এ অবস্থায় আপনি কোনভাবে কম্পিউটারে
ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন না। সুতরাং আপনি বুঝতে পারছেন কম্পিউটার পরিচালনার
জন্য প্রত্যেকটি সফটওয়ার কতটুকো গুরুত্বপূর্ণ?
এগুলো ছাড়াও MS Office, Photoshop, Adobe Reader সহ আরো যত ধরনের সফটওয়ার রয়েছে
যা ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। সফটওয়ার আপনার কম্পিউটারের
জীবনকে প্রশ্বাস দেয় এবং কাজ করার সক্ষমতা যোগায়। সফটওয়ার ছাড়া আপনি কম্পিউটার
থেকে আপনার পছন্দের কাজটি করতে পারবেন না।
সফটওয়্যারের সংজ্ঞা
সফটওয়ারের সংজ্ঞা এ ভাবে বলা যায় যে, অনেকগুলো প্রোগ্রাম ও নির্দেশনা
(Functions) এর সমষ্টি যখন একত্রিত হয়ে কম্পিউটারের নির্দিষ্ট কোন টাস্ক
সম্পাদনের নির্দেশ দেয় তখন তাকে সফটওয়্যার বলা হয়। সফটওয়ার হচ্ছে প্রোগ্রাম
যেটা দেখা যায় না এবং ধরা যায় না। শুধুমাত্র এর তার ফলাফলগুলো দেখা যায় এবং বুঝা
যায়।
সফটওয়ার কত প্রকার ও কি কি?
আমরা কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করি বিধায় মাত্র এক ধরনের
সফটওয়ার দিয়ে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের সকল কাজ করা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন ধরনের
কাজ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়ারের প্রয়োজন হয়। সে জন্য কাজের ভিন্নতা অনুসারে
আলাদা আলাদা সফটওয়ার তৈরি করা হয়।
সাধারণত তিন ধরনের সফটওয়ার রয়েছে। যার জন্য সফটওয়ার ৩ প্রকার বলা হয়। যেমন—
- System Software
- Application Software
- Malicious Software
1. System Software
কম্পিউটারের হার্ডওয়ারকে সচল ও কর্মক্রম করার জন্য এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ার
মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপনের জন্য কম্পিউটারের C Drive এ সিস্টেম সফটওয়ার
ইনস্টল করা হয়। সিস্টেম সফটওয়ার আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন—
1.1. Operating System
অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে কম্পিউটারের বেসিক প্রোগ্রাম। যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে
ইনস্টল করার মাধ্যমে একটি প্রাণহীন কম্পিউটারকে প্রানের সঞ্চার করে। সাধারণত
কম্পিউটারের অন্যন্য যত সফটওয়্যার আছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য Operating
System প্রয়োজন হয়। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া অন্যান্য সফটওয়ার পারিচালিত হতে পারে
না।
কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। আমরা এখানে বহুল
ব্যবহৃত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম উল্লেখ করছি—
- Windows Operating System
- Windows Vista
- Windows XP
- Windows 7
- Windows 8
- Windows 10
- Windows 11
- Mac Operating System
- Linux Operating System
- UBUNTU Operating System
- Android Operating System
আপনি উপরে উল্লেখিত সবগুলো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে পরিচিত নাও হতে পারেন। তবে
Windows ও Android অপারেটিং সিস্টেমের কথা আপনি নিশ্চয় শুনেছেন এবং ব্যবহারও
করেছেন। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ কম্পিউটারের Windows অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল
করা থাকে। তাছাড়া Android ফোন আমাদের সবার হাতে হাতে এখন আছে।
তবে আপনি হয়ত Mac অপারেটিং সিস্টেমের সাথেও পরিচিত হতে পারেন। কারণ যারা অ্যাপেল
ল্যাপটপ ব্যবহার করে তাদের পিসিতে Mac অপারেটিং সিস্টেম দেওয়া থাকে। তাছাড়া Linux
হচ্ছে একটি অপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এটা যে কেউ চাইলে বিনা মূল্যে ব্যবহার
করতে পারে। তাছাড়া অন্যকোন অপারেটিং সিস্টেম তেমন একটা ব্যবহার হয় না।
1.2. Utility Programs
Utility হচ্ছে এক ধরনের সার্ভিস প্রোগ্রাম। এটা সাধারণত একটি কম্পিউটার ডিভাইসকে
ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের সফটওয়্যার সরাসরি কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের
সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না। এই ধরনের সফটওয়্যার কম্পিউটারে মিসিং থাকলে
কম্পিউটার পরিচালনা করতে সমস্যা হয়।
1.3. Device Drivers
একটি Driver হচ্ছে এক ধরনের স্পেশাল প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে কম্পিউটারের ইনপুট ও
আউটপুট ডিভাইসের সাথে কানেকশন তৈরি করে। যার ফলে কম্পিউটার প্রোগ্রাম এবং
হার্ডওয়ারের সাথে কমিউনিকেশন সৃষ্টি হয়। যেমন- Graphic Drivers, Audio Drivers,
Motherboard Drivers ইত্যাদি হচ্ছে Device Drivers.
2. Application Software
একটি Application Software কে User Software বলা যেতে পারে। কারণ অ্যাপ্লিকেশন
সফটওয়ারের সাথ সরাসরি একজন ইউজার সম্পৃক্ত থাকেন। এই ধরনের সফটওয়ারকে "Apps"
বলা হয়। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়ারের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে পূর্ণাঙ্গ
স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়ার ইনস্টল করা যায়
বিধায় আমরা ভিন্ন কাজে ভিন্ন সফটওয়ার ব্যবহার করে আমাদের সকল কাজ সহজে করে নিতে
পারি।
Application Software এর আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন—
2.1. Basic Application
প্রত্যেকটি কম্পিউটারের মধ্যে কিছু Basic Application সফটওয়ার ইনস্টল করা থাকে।
এ সফটওয়ার গুলো ব্যবহার করে আমাদের কম্পিউটার সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজকর্ম করে
থাকি। যে কোন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে কাজ করার জন্য Basic Application
সফটওয়ারের কাজ সম্পর্কে অভীজ্ঞতা থাকতে হবে। তা না হলে সহজে কম্পিউটার পরিচালনা
করা সম্ভব হয় না। নিচে কয়েকটি বেসিক অ্যাপ্লিকেশনের নাম দেওয়া হলো—
- Word Processing Programs
- Multimedia Programs
- DTP Programs
- Spreadsheet Programs
- Presentation Programs
- Graphics Application
- Web Design Application
2.2. Specialized Application
Specialized Application গুলোকে বিশেষ কোন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের
সফটওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়। সাধারণত এই ধরনের সফটওয়ার
ইন্টারনেটে কিনতে পাওয়া যায় না। এগুলো একজন সফটওয়ার ডেভেলপারের মাধ্যমে তৈরি করে
নিতে হয়। নিচের কয়েকটি Specialized Application এর নাম দেওয়া হলো। যেমন—
- Accounting Software
- Billing Software
- Report Card Generator
- Reservation System
- Payroll Management System
3. Malicious Software
Malicious Software কে কম্পিউটারের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বলা হয়। কম্পিউটার যেমন
এক দিকে মানুষের জীবন মানকে সহজ করছে ঠিক অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের
কারনে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক প্রোগামার আছে যারা অন্যের কম্পিউটারের
তথ্য চুরি করার জন্য বা ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটারের খারাপ প্রোগ্রামের
মাধ্যমে এক ধরনের Malicious Software তৈরি করে। এগুলো ইন্টারনেরট মাধ্যমে এবং
বিভিন্ন ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় আমাদের কম্পিউটারে প্রবেশ করে। যেমন—
- Spyware
- Computer Viruses
- Trojan Horses
- Worms
-
Adware
এ ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রামের হাত থেকে কম্পিউটারকে রক্ষা করার জন্য কম্পিউটার
এক্সপার্টরা বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের Antivirus তৈরি করেছে। আপনি যদি নিয়মিত
কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনার পিসিতে একটি ভালোমানের Internet
Security অথবা Antivirus ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনার কম্পিউটার ক্ষতি হওয়া থেকে
রক্ষা পাবে।
কিভাবে সফটওয়ার তৈরি করবেন?
কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করা কিছুটা কঠিন কাজ। কারণ এই কাজটি করার জন্য আপনার
অবশ্যই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্য
থাকতে হবে। তবেই আপনি পেশাদার সফটওয়্যার প্রোগ্রামার হতে পারবেন।
সফটওয়্যার তৈরি করতে কয়েক ডজন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করা হয়েছে। যার সাহায্যে
আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনে সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন। সফটওয়ার তৈরি করার জন্য
প্রথমে আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে হবে। কারণ
প্রোগামিং এর ভাষা না জানলে আপনি সফটওয়ার তৈরি করতে পারবেন না।
তবে আপনি চাইলেও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সবগুলো ভাষা শিখতে পারবেন না। কারণ আজ
পর্যন্ত কেউই কম্পিউটারের সকল ধরনের প্রোগ্রাম শিখতে পারেনি। এক একজন ব্যক্তি
একটি অথবা কয়েকটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখেন। বিশেষকরে আপনি প্রাথমিক অবস্থায়
Java, C, C++ শিখে নিতে পারলে আপনি যে কোন নরমাল সফটওয়ার তৈরি করতে পারবেন।
কে সফটওয়ার তৈরি করে?
সাধারণত সফটওয়ার ডেভেরপার বা প্রেগামাররা সফটওয়ার তৈরি করেন। বিশেকরে বড় বড়
সফটওয়ার গুলো সফটওয়ার ডেভেলপার কোম্পানি সম্মেলিতভাবে তৈরি করে থাকে। কারণ একটি
বড় সফটওয়ার কোন একক ব্যক্তির পক্ষে তৈরি করা কোনভাবে সম্ভব হবে না। আমি আগেই
বলেছে, একজন ব্যক্তির পক্ষে কম্পিউটারের সকল প্রেগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখা সম্ভব
নয়। সে জন্য বড় সফটওয়ার কোম্পানি বিভিন্ন ক্যাটাগরির সফটওয়ার ডেভেলপার হায়ার
করে সম্মেলিতভাবে সফটওয়ার তৈরি করে।
প্রোগ্রামার কে?
যারা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানে এবং সফটওয়ার তৈরি করে তাদেররকে প্রোগ্রামার
বলা হয়। একটি সফ্টওয়্যার সংস্থা অনেক প্রোগ্রামার নিয়োগ করে। একজন প্রোগ্রামার
একটি সফ্টওয়্যারের একটি ছোট অংশে কাজ করে এবং তারা চুক্তিভিত্তিক ৬ মাস বা ১ বছর
বা তারও বেশি সময়ের জন্য কাজ করে। একজন প্রোগামার সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করে
মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার কোনগুলো?
কম্পিউটারের অসংখ্য অসংখ্য সফটওয়ার রয়েছে। সবগুলো সফটওয়ার আপনি কখনো ব্যবহার
করে শেষ করতে পারবেন না এবং সকল সফটওয়ার আপনার প্রয়োজনও হবে না। একজন সাধারণ
কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়ার লাগবে যেগুলো
সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে এবং আপনার কম্পিউটারের ইনস্টল থাকতে হবে। নিচে
প্রয়োজনীয় কিছু সফটওয়্যারের নাম দেওয়া হলো—
সফওয়ারের ধরণ | সফটওয়ারের নাম |
---|---|
Antivirus | Kaspersky, AVG, McAfee, Norton |
Audio / Music | iTunes, WinAmp |
Database | Access MySQL SQL |
Outlook, Gmail | |
Internet Browser | Firefox, Google Chrome, Microsoft Edge |
Movie Player | VLC, Windows Media Player, KMP |
Photo / Graphics | Adobe Photoshop, CorelDRAW |
Presentation | PowerPoint |
Word Processor | MS Word |
সফটওয়ার সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন
-
প্রশ্নঃ সফওয়্যার এর কাজ কি?
উত্তরঃ সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। কম্পিউটারকে কর্মকম করে কম্পিউটারের যাবতীয় ফ্যাংশন পরিচালনা করাই হচ্ছে কম্পিউটারের কাজ। কারণ সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার হার্ডওয়ার নিজে নিজে পরিচালিত হতে পারবে না। সুতরাং সফটওয়্যারকে কম্পিউটারের প্রাণ বলা যেতে পারে। -
প্রশ্নঃ সফটওয়্যার বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ অনেকগুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি একত্রিত হয়ে কম্পিউটারের টাস্ক সম্পাদন করাকে সফওয়্যার বুঝায়। সফটওয়ার হচ্ছে প্রোগ্রাম যেটা দেখা যায় না এবং ধরা যায় না। -
প্রশ্নঃ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কি?
উত্তরঃ হার্ডওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ যেটা দেখা যায় এব স্পর্শ করা যায়। অন্যদিকে সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম বা ফ্যাংশন যেটা দেখা যায় না এবং স্পর্শও করা যায় না। শুধুমাত্র কাজের ফলাফল দেখা যায়। -
প্রশ্নঃ ইউটিলিটি সফটওয়্যার কি?
উত্তরঃ একটি কম্পিউটার ডিভাইসকে ম্যানেজ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেগুলো ইউটিলিটি সফটওয়্যার বলে। যেমন- যে কোন ধরনের এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার। -
প্রশ্নঃ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি?
উত্তরঃ যে সমস্ত সফটওয়্যার কম্পিউটারের দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় সেগুলোই হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ইনস্টল করা থাকে না। এগুলো ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে ম্যানুয়ালি ইনস্টল করতে হয়। -
প্রশ্নঃ সফটওয়্যার কত প্রকার?
উত্তরঃ সাধারণত সফওয়্যার ৩ প্রকার। যথা— ১। সিস্টেম সফটওয়্যার, ২। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, ৩। ম্যালেসিয়াস সফটওয়্যার।
-
প্রশ্নঃ সিস্টেম সফটওয়্যার কি?
উত্তরঃ কম্পিউটারের হার্ডওয়ারকে সচল ও কর্মক্রম করার জন্য এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ার মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপনের জন্য কম্পিউটারে যে সফটওয়ার ইনস্টল করা তাকে সিস্টেম সফওয়্যার বলে। -
প্রশ্নঃ সিস্টেম সফটওয়্যার কত প্রকার?
উত্তরঃ সাধারণত সিস্টেম সফটওয়্যার তিন প্রকার। যথা— Operating System, Utility Program, Device Drivers. -
প্রশ্নঃ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার দুই প্রকার। যথা— Basic Application Software এবং Specialized Application Software.
-
প্রশ্নঃ সফটওয়্যার এর উদাহরণ।
উত্তরঃ MS Office Word, Photoshop, Adobe Reader, Google Chrome, Mozilla Firefox ইত্যাদি।
আপনি কি শিখলেন?
এই পোস্টে আমরা আপনাকে বলেছি সফ্টওয়্যার কি? বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার সফটওয়্যার
এবং তাদের নাম ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কোথায়
সফটওয়্যার পাবেন এবং কিভাবে সফটওয়্যার তৈরি করতে হয় সেই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারনা
দেওয়া হয়েছে।
আমরা আশাকরি এই আর্টিকেলটি আপনার প্রয়োজন ছিল এবং আর্টিকেলটি আপনার পছন্দ হয়েছে।
আপনি যদি সফ্টওয়্যার সম্পর্কে কিছু না বুঝতে পারেন তবে মন্তব্য করে আমাদের
জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমরা আপনার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
অনেক সুন্দর উপস্থাপন! অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
Thank you...
স্যার আমি একটা ক্যালকুলেটর তৈরি করেছে সিএসএস আর জাবাস্ক্রিপ্ট দিয়ে। দুইটা সাইট হুবহু আমারটা কপি করেছে যা ওদের পেইজ সোর্স থেকে দেখে নিশ্চিত হয়েছি। এখন আমি চাইলে কী রিপোর্ট করতে পারবো গুগলের কাছে? কোডিংয়ের ক্ষেত্রে গুগল কোন একশন নেয়?
Mediun ui ব্লগার টেমপ্লেটটি SEO তে কেমন হবে?
যদি বাংলায় লিখে ট্রান্সলেট করে পোষ্ট করি তবে কী কোনো সমস্যা হবে।
প্লিজ জানাবেন।
ভালো। সরাসরি ইংরেজি লিখতে না পারলে ইংরেজিতে ব্লগিং না করাই ভালো।
ভাইয়া একটি সমস্যাতে পড়েছি তাহলো গুগল ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে কাজ করতে গিয়ে কোন ছবি আপলোড করলে কিংবা উক্ত ছবির লিংক সাচ করতে গেলে মূলত https://1.bp.blogspot.com/-W2R-Ob7- s1600/turing-machine.jpg এই রকম জাতীয় লিংক পাওয়া যায়। কিন্তু আমার ব্লগারে আপলোডকৃত প্রতিটি পোস্টের ছবি চেক করে দেখছি যে, সঠিক লিংক না এসে নিম্নোক্ত লিংক আসছে https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiHIEtSIdooITqU7KmGdKAq
বিষয়টা ঠিক সমাধান করতে পারছিনা। অবশ্য ছবির উপরে মাউস রাখলে শো করছে google drive image
Vai apni je sticky ads use korchen seta niye ekta post korle khubo valo hoto.. Thanks
সরি এটা আমরা শেয়ার করত পারব না। কারণ এটা আমাদের ব্লগে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করেছি।
Ok
ভাইয়া আপনাদের ব্লগে কিভাবে উইন্ডোজ দিতে হয়, পার্টিশন ব্রেক করতে হয়,পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেমের টুকটাক সমস্যা নিয়ে কোনো পোস্ট আছে। এই বিষয় নিয়ে আমার একটু জানাশোনা দরকার।
আসলে উইন্ডোজ ট্রিকস টিপস নিয়ে আমাদের ব্লগে তেমন কোন আর্টিকেল নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পোস্ট করা চেষ্টা করা হবে। ধব্যবাদ...
চমৎকার উপস্থাপনা
আমার একটা পড়ালেখা বিষয়ক ব্লগস্পট সাইট আছে।৩ মাস হলো এডসেন্স এপ্রোভ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো সবসময় সিপিসি আর সিটিআর শূন্য দেখায়।কেন এই রকম দেখায়??আমার পেইজ স্পিড খুবই কম।এর বৃদ্ধি কীভাবে করতে পারি? এডসেন্স এপ্রোভ অবস্থায় থিম চেঞ্জ করলে কোনো সমস্যা হবে কিনা? সমস্যা না হলে কিভাবে চেঞ্জ করবো?? একটা বেস্ট ফ্রি থিম সাজেস্ট করবেন প্লিজ
থিম চেঞ্জ করলে কোন সমস্যা হবে না। তবে সবকিছু ঠিকঠাক মত আবার সেট করে নিবেন।
আপনার থিমটার নাম কি?
MagOne premium blogger theme