ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করুন!
ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করার কথা শুনে আপনি নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন। কারণ আমরা
অধিকাংশ লোক জানি যে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য অনেক বেশি হয় বিধায় এই ধরনের
ডিজিটাল মুদ্রা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কিনতে হয় কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং
করতে হয়।
হ্যাঁ, আপনি ঠিক শুনেছেন। প্রধানত এই দুই ধরনের উপায় সহ আরো কিছু উপায় আছে
যেগুলোর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করতে হয়। কিন্তু এখানে আমরা টাকার
বিনিময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করার উপায় শেয়ার করব না। PI নামক এক ধরনের
ক্রিপ্টোকারেন্সি আপনার মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল থেকে ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করার কথা শুনে আপনারা নিশ্চয় আরো বেশি
হতবাক হচ্ছেন। এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা
জানেন যে, আমি ইতোপূর্বে এই ব্লগে লোভনীয় কোন তথ্য, অফার, ইনকাম কিংবা ভূল
ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে কোন আর্টিকেল লেখিনি। কাজেই এখানেও কোন ভূল তথ্য প্রদান করব
না, সেই আস্তা রাখতে পারেন।
গত পোস্টে আমি বিটকয়েন নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করেছি। আপনার যদি বিটকয়েন
সম্পর্কে ধারনা না থাকে তাহলে পোস্ট পড়ে নিতে পারেন। কারণ
বিটকয়েন
সম্পর্কে জানার পর ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। সো,
আমার অনুরোধ লিংকে ক্লিক করে পোস্ট পড়ে নিবেন।
এগুলো পড়তে পারেন—
এখানে আমরা PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করার মাধ্যমে ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি
ইনকাম করার উপায় দেখাবো। সেই সাথে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি কি, কিভাবে PI
ক্রিপ্টোকারেন্সি কাজ করে এবং এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এর বাজার মূল্য কত ইত্যাদি
তথ্য তুলে ধরব। সুতরাং আর কথা না বাড়িয়ে মূল কাজ শুরু করি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডিজিটাল মুদ্রা অর্থাৎ এর একটি ভার্চুয়াল ফর্ম আছে, যা
আপনি স্পর্শ করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মোবাইলের
মাধ্যমে এই মুদ্রাটি দেখতে পাবেন এবং এই মুদ্রাটি আপনার ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষণ
করে রাখতে পারবেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন দেশের সরকার বা ব্যাংক দ্বারা জারি করা হয় না, একটি সাইবার
এক্সপার্ট দ্বারা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এবং
ক্রিপ্টোগ্রাফি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো এক ধরনের এনক্রিপশন
সিকিউরিটি সিস্টেম, যা এই ডিজিটাল মুদ্রাকে নিরাপত্তা প্রদান করে এবং কারো পক্ষে
এটির সাথে ছদ্মবেশ বা প্রতারনা বা জালিয়াতি করা সম্ভব হয় না।
তবে অন্যান্য টাকা ও কারেন্সি ব্যবহার করে যেভাবে কোন কিছু ক্রয় করা সম্ভব হয় ঠিক
তেমনি উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে যে কোন কিছু ক্রয়
করা যায়। ধারনা করা হয় যে, ভবিষ্যতে কাগজের টাকার পরিবর্তে মানুষ ডিজিটাল
কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার বেশি করবে বিধায় ক্রিপ্টোকারেন্সির ডিমান্ড
মার্কেটে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।
বিটকয়েন কি?
ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম শুনলেই আমরা সাবাই প্রথমে বিটকয়েনের কথা চিন্তা করি। কারণ
বর্তমানে যত ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে তাদের মধ্যে বিটকয়েন হচ্ছে সবচাইতে দামি
ক্রিপ্টোকারেন্সি। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বলতেই শুধুমাত্র বিটকয়েন নয়। কারণ
বিটকয়েন এর পাশাপাশি বর্তমানে প্রায় দুই হাজারের বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের
রয়েছে।
বিটকয়েনের মত অসংখ্য অসংখ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে এসেছে কিন্তু সবগুলো
মার্কেটে তাদের অবস্থান তৈরি করতে পারেনি বিধায় বিলুপ্ত হয়েগেছে। শুধুমাত্র
বিটকয়েন সহ হাতেগনা কয়েকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে। আর
যারা ঠিকে থাকতে পেরেছে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করেছে তারা খুব অল্প দিনে
মিলিয়নার ও বিলিয়ার হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ এ বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি
পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন রয়েছে। আপনি আমার ব্লগের ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত পোস্টটি
পড়লে এ সংক্রান্তে আরো নিবিড় তথ্য জানতে পারবেন।
এখন আমরা PI নামক একটি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলোচনা করব। কারণ এই কারেন্সি
লঞ্চ হওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কাজেই আলোচনার সূর
যখন উঠেছে তখন আমাদের দেশেও উচিত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করার চেষ্টা করা। আর
এখানে আমি সেই উপায় দেখাবো, কিভাবে আপনি
ফ্রিতে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করবেন?
PI ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ক্যালিফোর্নিয়ায় অধ্যয়নরত তিনজন পিএইচডি স্নাতক ছাত্র
মার্চ ২০১৯ সালে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি (ডিজিটাল) তৈরি করেছিলেন। এটি এখন পর্যন্ত
একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা মোবাইল দিয়ে মাইনিং করা যায়। অর্থাৎ অতীতে মোবাইল
দিয়ে কোন ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করা সম্ভব হয়নি।
যদিও ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং প্রক্রিয়াটি বেশ জঠিল এবং ব্যয়বহুল ও মাইনিং
করার জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয় কিন্তু এই জঠিল প্রক্রিয়াটি PI নেওয়ার্কে
সবচাইতে সহজ করা হয়েছে। কাজেই আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল থেকে কোন ধরনের
টাকা খরছ না করেও PI ক্রিপ্টোকারেন্সি ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন।
PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করার পূর্বে আপনাকে PI এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হতে
কিংবা গুগল প্লে-স্টোর হতে PI এর মোবাইল এপটি ডাউনলো করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
তারপর আপনার মোবাইল নাম্বার কিংবা ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে একটি PI একাউন্ট তৈরি
করে নিতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পুরো প্রসেসটি আমি নিচে দেখাবো—
কিভাবে PI একাউন্ট তৈরি করবেন?
PI ক্রিপ্টোকারেন্সি একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে PI এপ্লিকেশন
ইনস্টল করে নিতে হবে। সাধারণত দুটি উপায় PI এ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। একটি হচ্ছে PI
এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হতে এবং অন্যটি হচ্ছে গুগল প্লে-স্টোর থেকে। অফিসিয়াল
ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করার জন্য
এই লিংকে ক্লিক
করতে হবে। আর প্লে-স্টোর থেকে ইনস্টল করার জন্য গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে PI Network লিখে
সার্চ করতে হবে।
আপনার মোবাইলে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি এ্যাপ ইনস্টল করার পর মোবাইলের নেট একটিভ করে
PI এপটি রান করলে নিচের চিত্রটি শো হবে। তারপর একাউন্ট করার জন্য নিচের ধাপগুলো
ক্রমান্বয়ে অনুসরণ করতে থাকুন।
উপরের চিত্রে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যদি আপনার ফেসবুক একাউন্ট
ব্যবহার করে PI একাউন্ট করতে চান তাহলে উপরের চিত্রের Continue with Facebook এর
ক্লিক করুন। অন্যথায় দ্বিতীয় অংশের Continue with phone number এ ক্লিক করুন। আমি
ব্যক্তিগতভাবে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট করার জন্য সাজেস্ট করব।
এখানে উপরের চিত্রের তীর চিহ্নিত ১নং অংশের ড্রপডাউন আইকনে ক্লিক করে প্রথমে
বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি অন্য কোন দেশে অবস্থান করেন
তাহলে সেই দেশের নাম সিলেক্ট করে দিতে হবে।
তারপর ২নং অংশে আপনার মোবাইল নাম্বার টাইপ করে চিত্রে দেখানো ৩নং অংশের Go অপশনে
ক্লিক করুন। Go অপশনে ক্লিক করার পর সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি এখন নিচের চিত্রের অংশ
দেখতে পারবেন।
এই অংশে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করে দিতে হবে। এই পাসওয়ার্ডটি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কারনে আপনি যদি লগআউট হন তাহলে এই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে
আপনাকে লগইন করতে হবে। পাসওয়ার্ড সেট করার ক্ষেত্রে একটি বড় হাতের অক্ষর এবং
মিনিমাম একটি সংখ্যা ব্যবহার করতে হবে। ১নং ও ২নং অংশে পাসওয়ার্ড টাইপ করার পর
৩নং অংশের Submit এ ক্লিক করুন।
কাজেই উপরের চিত্রের ১নং ও ২নং অংশে আপনার First Name এবং Last Name সেট করুন।
তারপর ৩নং অংশে একটি ইউনিক ইউজার নেম দিতে হবে। এই নাম ব্যবহার করে মূলত আপনি
আপনার একাউন্ট থেকে কারেন্স ট্রান্সফার সহ যাবতীয় কাজ করবেন। সবশেষে ৪নং অংশের
Submit এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে একটি Invitation Code প্রয়োজন হবে। উপরের চিত্রের দেখুন এখানে PI নিজেই
বলছে এই Invitation Code টি বাধ্যতা মূলকভাবে দিতে হবে। তা না হলে আপনার
একাউন্ট পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে পারবেন না। এটাকে এক ধরনের রেফার আইডি বলা যায়।
এখানে Invitation Code হিসেবে আপনি আমার কোড
harunpolice ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার কাছে যদি অন্য কারো কোড থাকে তাহলে আমার
রেফার কোড ব্যবহার না করলেও হবে। মোট কথা হচ্ছে আপনার একাউন্ট একটিভ করার জন্য
কারো না কারোর রেফার কোড ব্যবহার করতেই হবে।
কারণ PI নিজেই বলছে তারা মূলত রেফারারদে একটিভিটির উপর ভিত্তি করে
ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রদান করে থাকে। কাজেই এখানে বলার সুযোগ নেই যে, আমি
আপনাদেরকে একাউন্ট করিয়ে নিজে ফায়দা নিচ্ছি। কারণ একাউন্ট করতে হলে আপনাকে
অবশ্যই আমার না হয় অন্য কারোর রেফার আইডি ব্যবহার করতে হবে।
তাহলে আপনি যখন উপরের চিত্রের ১নং অংশে
harunpolice কোডটি বসিয়ে ২নং অংশের
সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনি নিচের অপশন দেখতে পাবেন। এ ক্ষেত্রে রেফার
কোডটি ব্যবহার না করলে আপনি পরের ধাপে যেতে পারবেন না।
সবশেষে উপরের চিত্রের বেগুনী কালারের GET STARTED বাটনে ক্লিক করলে আপনার একটি
PI ক্রিপ্টোকারেন্সি একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
কিভাবে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করবেন?
উপরের সবগুলো অংশ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং
করা শুরু করতে হবে। কারণ মাইনিং করার মাধ্যমে মূলত আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি
ইনকাম বৃদ্ধি করে নিতে হবে। PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করার জন্য নিচের স্টেপ
অনুসরণ করুন।
এখান থেকে মূলত PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করতে হবে। PI ক্রিপ্টোকারেন্সি
মাইনিং করার জন্য উপরের চিত্রের বেগুনী রংয়ের গোলাকার বৃত্তের উপরের টাচ করতে
হবে। তাহলেই আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং প্রসেস শুরু হবে।
⚠️গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ একটা বিষয় আপনাকে মনে
রাখতে হবে যে, উপরের চিত্রের বাটনে একবার ক্লিক করার পর ক্রিপ্টোকারেন্সি
মাইনিং প্রসেস ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত চলতে থাকবে। তারপর ২৪ ঘন্টার পর আপনাকে পুনরায়
একই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তা না হলে আপনার মাইনিং প্রসেস বন্ধ হয়ে যাবে। মোট
কথা হচ্ছে আপনি যদি প্রতিদিন মিনিমাম একবার করে মাইনিং বাটনে ক্লিক না করেন
তাহলে PI থেকে আপনার কোন ইনকাম হবে না।
PI ক্রিপ্টোকারেন্সি বর্তমান মূল্য কত?
আসলে PI ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনো পর্যন্ত লঞ্চ হয়নি। কাজেই এখন এর বাজার মূল্য
নির্ধারণ করা যাবে না। তবে অধিকাংশ লোক মনে করছে PI চালূ হওয়ার সাথে একটি পাই
এর মূল্য হবে মিনিমাম ১ ডলার থেকে ২.৫০ ডলার। কাজেই আপনি এখনো PI এর বাজার
মূল্য নিয়ে চিন্তা না করে মাইনিং করার প্রতি মনোযোগি হন।
তাছাড়া এখানে যেহেতু ইনভেস্টমেন্ট করার কোন ঝুকি নেই সেহেতু আপনাকে এটা নিয়ে
বেশি চিন্তাও করতে হবে না। তবে আমার মনেহচ্ছে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি
PI এর মিনিমাম মূল্য ৫-১০ ডলার হবে। সুতরাং আপনি যদি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার
PI ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করতে পারেন তাহলে আপনি ২০৩০ সালে 10000 × 5 = 50000
ডলার এর মালিক হবেন। যা বাংলা টাকায় প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা হয়।
সুতরাং PI এর বর্তমান বাজার মূল্যের কথা চিন্তা না করে আপনি মাইনিং করতে থাকেন।
কারণ ২০০৯ সালে বিটকয়েন যখন বাজারে আসে তখন বিটকয়েন ফ্রিতে নিতেও কেউ রাজি ছিল
না। অথচ মাত্র ১২ বছর ব্যবধানে বর্তমানে একটি বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ৪৫ লক্ষ
টাকা। সে জন্য আমি আপনাদের বার বার বলছি এখনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।
শেষ কথা
এই পোস্টটি পড়ে আপনি PI ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন।
তাছাড়া পূর্বে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে জনপ্রিয় হয়েছে সেই বিষয়টিও জানতে
পেরেছেন। কাজেই সবকিছু জানার পর আপনি যদি মনে করেন যে, PI ক্রিপ্টোকারেন্সি
ভবিষ্যতে ডিমান্ড বাড়তে পারে তাহলে আপনি এখনি মাইনিং শুরু করে দিতে পারেন।
তাছাড়া আমি আপনার কাছে প্রশ্ন রাখবো যে, কেন আপনি PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং
করবেন না? যেহেতু এর পিছনে টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়ছে না এবং খুব বেশি
সময়ও ব্যয় করার প্রয়োজন হচ্ছে না সেহেতু PI ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং না করার
পিছনে কোন কারণ দেখছি না।
আপনার মোবাইলে একটি একাউন্ট খোলে রাখেন এবং প্রতিদিন একবার ভিজিট করতে থাকেন।
কোন দিন যদি PI ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বৃদ্ধি পায় তখন আপনার নিকট জমাকৃত
কারেন্সি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
খুবই ভালো লাগলো, এই রকম পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ। মূলত বিটকয়েনের সাথে আমার পরিচয়টা প্রায় ০৪ বছর আগে। ফ্রিবিটকো সাইটে কাজ করে থাকি। করোনাকালীন সময়ে যখন ১ বিটকয়েন = ৩৩,০০০ ডলার ছিলো। তখন এখানে ১০,০০০/- মত ডিপোজিত করেছিলাম। এখনো উত্তোলন করিনি। আপনার এই পোস্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো জানালে উপকৃত হই-
১। PI ক্রিপ্টোকারেন্সি পিসি/ল্যাপটপে বসে কাজ করা যাবে কি? মূলত আমি পিসি ব্যবহার করি বিধায় এন্ড্রয়েড সেট নাই। এন্ড্রয়েট সেটে কাজ করলে কি নেট কানেকশন সর্বদা চালু রেখে কাজ করতে হবে?
২। কম্পিউটার/পিসিতে বসে কাজ করে যাবে এই রকম কোন মাইনিং সাইট আছে কিনা? থাকলে পরবর্তীতে এই বিষয়ে পোস্ট পাবার প্রত্যাশা করছি।
পিসিতে কাজ করা যাবে না, শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে করা যায়।
মোবাইল দিয়ে করার ক্ষেত্রে 24 ঘন্টা নেট কানেকশন অন করা লাগবে না। শুধুমাত্র প্রতিদিন একবার পাই বাটনে ক্লিক করতে হবে।
expertbd. xyz সাইটটি আপনি ও Banglatech. info এ দুজনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি করেছিলাম। আমার কাজ প্রশংসনীয় কিনা জানাবেন!ধন্যবাদ।
চেষ্টা করলে সফল হতে পারবেন।
ভাইয়া আপনার ব্লগ গুলো কিছুদিন থেকে পড়ছি খুব ভাল লুগছে...আপ্নার কথা গুলো খুব গোছান ও সাবলিল তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না...। PI network এ আমি অ্যাকাউন্ট করেছি কিন্তু ফোন নাম্বার varificatio হয় না...
আপাতত ফেসবুক ভেরিফাই করেন, পরবর্তীতে মোবাইল ভেরিফাই করতে পারবেন
অসাধারন লাগল
চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ রশিদ ভাই
ভাই আমার সাইট টা একটু দেখবেন। এডসেন্স আছে কিন্তু সমস্যা হল দেখা যায় ১২/১৪/১০ টা এমন ক্লিক পরে কিন্তু আর্ন হয় ০.০৪ বা ০.০৫ এমন আর সিপিসি দেখায় ০.০০ তো এটা কি কোন সমস্যা। বা এডসেন্স এর সমস্যা হবে?
https://www.panchmishali.com
আমি আপনার সাইট দেখেছি। আপনি বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখে থাকেন। সাধারণত এ ধরনের আর্টিকেলের সিপিসি খুবই কম হয়।
আমার কথা হচ্ছে ক্লিক অনুযায়ী আর্ন হয়না অনেক সময় সিপিসি ০.০০ থাকে এই জন্য কি এডসেন্স এর কোন সমস্যা হবে? দেখা গেছে ক্লিক পরছে ১৪ টা আর্ন ০.০৮ এর জন্য কি ইনভ্যালিড ক্লিক হতে পারে?
Techbd720.xyz সাইটটি আপনাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণায় তৈরি করেছি।