প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি
বিদেশে কর্মসংস্থান বা প্রবাস জীবন থেকে ফিরে দেশে কিছু করার স্বপ্ন দেখেন অনেক বাংলাদেশী। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেক সময় প্রয়োজন হয় আর্থিক সহায়তার। আর এখানেই এগিয়ে আসে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
বিশেষভাবে প্রবাসী কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে এই ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন বা ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিন্তু অনেকেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না বা প্রক্রিয়াটিকে জটিল মনে করেন।
এক সমীক্ষায় জানা যায় গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজ বা চাকরি করার জন্য ১ কোটি ২৫ লক্ষ নাগরিক গিয়েছেন। প্রবাসে যাওয়া এই হারের সংখ্যা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা দেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান রাখছে শতকরা ১২% এর বেশি।
তারপরও এই প্রবাসীরা যখন সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার প্রয়োজন হয়। আর তার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক সেবা প্রদান করে থাকে। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর নিয়ম সম্পর্কে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি?
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো—
- বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান।
- প্রবাস ফেরত কর্মীদের দেশে পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানে সহায়তা করা।
- প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে ঋণ সহায়তা দেওয়া।
কারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য?
সাধারণত নিম্নোক্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য বিবেচিত হন। সংক্ষেপে দেখুন—
- বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মী: যারা বৈধভাবে বিদেশে চাকরির অফার পেয়েছেন বা যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন।
- প্রবাস ফেরত কর্মী: যারা বিদেশ থেকে ফিরে দেশে কোনো ব্যবসা বা আয়বর্ধক প্রকল্প শুরু করতে চান।
- প্রবাসী কর্মীর পরিবার: বিদেশে অবস্থানরত কর্মীর পরিবারের কোনো যোগ্য সদস্য, যিনি দেশে কোনো ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোগ নিতে আগ্রহী।
- বিশেষ স্কিমের আওতাভুক্ত জনগোষ্ঠী: সরকার বা ব্যাংকের ঘোষিত বিশেষ কোনো স্কিমের জন্য নির্ধারিত ব্যক্তিগণ।
আপনারা যদি উপকৃত শর্তগুলো মানতে পারেন এবং যে ব্যক্তি নেবে তার এই যোগ্যতাগুলো থাকে তাহলে অবশ্যই ৩ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন বিষয়টি কনফার্ম করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদ:
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের লোন বা ঋণ স্কিম পরিচালনা করে থাকে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
- অভিবাসন ঋণ (Migration Loan): বিদেশে যাওয়ার খরচ (যেমন ভিসা প্রসেসিং, বিমান ভাড়া, প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ইত্যাদি) মেটানোর জন্য এই লোন দেওয়া হয়।
- পুনর্বাসন ঋণ (Rehabilitation Loan): বিদেশ ফেরত কর্মীদের দেশে ব্যবসা, কৃষি, মৎস্য চাষ বা অন্য কোনো লাভজনক প্রকল্প শুরু করার জন্য এই ঋণ প্রদান করা হয়।
- বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ: যে সকল প্রবাসী কর্মী তাদের পুরো পরিবার নিয়ে বিদেশে বসবাস করছেন এবং দেশে ফিরে স্থায়ীভাবে কিছু করতে চান, তাদের জন্য এই বিশেষ ঋণ সুবিধা রয়েছে।
- বিশেষ স্কিম: সময়ে সময়ে সরকার বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিশেষ প্রয়োজন বা গোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমেয়াদী বা বিশেষায়িত ঋণ প্রকল্প চালু করতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজবোধ্য। নিচে ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো—
- ধাপ ১: শাখা নির্বাচন ও যোগাযোগ: আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন অথবা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তথ্য অনুসন্ধান করুন। লোনের ধরণ ও আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাথমিক তথ্য জেনে নিন।
- ধাপ ২: আবেদন ফরম সংগ্রহ: ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট লোনের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। অনেক সময় ওয়েবসাইট থেকেও ফরম ডাউনলোড করা যেতে পারে।
- ধাপ ৩: ফরম পূরণ: আবেদন ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য (ব্যক্তিগত তথ্য, কর্মসংস্থান/ব্যবসার তথ্য, ঋণের পরিমাণ, উদ্দেশ্য ইত্যাদি) সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।
- ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তকরণ: আবেদন ফরমের সাথে চাওয়া অনুযায়ী সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন (নিচে তালিকা দেখুন)।
- ধাপ ৫: আবেদন জমা দান: পূরণকৃত ফরম এবং সংযুক্ত কাগজপত্র ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় জমা দিন। জমা দেওয়ার পর অবশ্যই জমার রশিদ সংগ্রহ করুন।
- ধাপ ৬: আবেদন যাচাই-বাছাই: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন এবং সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবে। প্রয়োজনে তারা আপনার দেওয়া তথ্য সরেজমিনে তদন্ত করতে পারে।
- ধাপ ৭: জামিনদার (Guarantor) সংক্রান্ত প্রক্রিয়া: লোনের ধরণ ও পরিমাণ অনুযায়ী যোগ্য জামিনদারের প্রয়োজন হতে পারে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জামিনদারের যোগ্যতা ও কাগজপত্রও যাচাই করবে।
- ধাপ ৮: ঋণ অনুমোদন: সকল তথ্য সঠিক থাকলে এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলে আপনার ঋণের আবেদন অনুমোদন করা হবে।
- ধাপ ৯: ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর: ঋণ অনুমোদনের পর ব্যাংকের সাথে আপনাকে একটি আনুষ্ঠানিক ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
- ধাপ ১০: ঋণ বিতরণ: চুক্তি স্বাক্ষরের পর অনুমোদিত ঋণের অর্থ আপনার ব্যাংক একাউন্টে বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
লোনের ধরণ অনুযায়ী কাগজপত্রের তালিকা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলোর প্রয়োজন হয়—
- পূরণকৃত আবেদন ফরম।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধনের কপি।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- নাগরিকত্ব সনদপত্র / ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদপত্র।
- বিদেশে গমনেচ্ছুদের জন্য:
- পাসপোর্টের কপি।
- ভিসার কপি (যদি পাওয়া গিয়ে থাকে)।
- চাকরির চুক্তিপত্র বা অফার লেটারের কপি।
- বিএমইটি'র স্মার্ট কার্ড (যদি থাকে)।
- প্রশিক্ষণ সনদ (প্রয়োজন অনুযায়ী)।
- প্রবাস ফেরতদের জন্য:
- পাসপোর্টের আগমনী সিল সম্বলিত পাতার কপি।
- ব্যবসা বা প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণী (প্রজেক্ট প্রোফাইল)।
- জামিনদারের কাগজপত্র:
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি।
- আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র (যেমন: জমির দলিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্যালারি সার্টিফিকেট ইত্যাদি)।
- ব্যাংকের চাওয়া অনুযায়ী অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র।
লোনের শর্তাবলী ও সুদের হার
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ নেয়ার পর ব্যাংক হতে চার্জ এবং সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আর সেই সকল ব্যাংক এবং সময়সীমা হচ্ছে—
- সুদের হার: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের সুদের হার সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়। বর্তমানে (২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুদের হার সরল সুদে ৯% হয়ে থাকে। তবে, বিশেষ স্কিম বা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হতে পারে। তাই আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই বর্তমান সুদের হার জেনে নেওয়া উচিত।
- পরিশোধের মেয়াদ: লোনের পরিমাণ ও প্রকারভেদে পরিশোধের মেয়াদ ভিন্ন ভিন্ন হয়। সাধারণত অভিবাসন ঋণের মেয়াদ কম থাকে এবং পুনর্বাসন ঋণের মেয়াদ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে (যেমন ২ থেকে ৫ বছর)। নির্দিষ্ট গ্রেস পিরিয়ডও থাকতে পারে।
- অন্যান্য চার্জ: আবেদন ফি, প্রসেসিং ফি বা অন্যান্য চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন দিয়ে থাকে। আর এই লোনকে পূর্ণবাসন বলা হয়। আপনি যদি বিভিন্ন কৃষি প্রকল্পের জন্য ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনারা এ ধরনের ঋণ নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
লোন নেয়ার যোগ্যতা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন নেয়ার জন্য আপনার যে সকল যোগ্যতা থাকতে হবে সেই সকল যোগ্যতার মধ্যে অন্যতম একটি যোগ্যতা হচ্ছে ঋণগ্রহণকারী কে অবশ্যই জামানত কৃত সম্পত্তির মালিকানা দলিল এবং অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে।
যে ব্যক্তি এই এই ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই বিদেশ প্রত্যাগত হতে হবে এবং প্রত্যাগত হওয়ার পর বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে যা ৫ বছরের মধ্যেই আবেদন করা যাবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- যে ব্যক্তি আবেদন করবে সে ব্যক্তির অবশ্যই সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের উভয় পাশের ফটোকপি নিতে হবে।
- আবেদনকারীর ঠিকানা অবস্থান করে সেই ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একটি স্বত্বাধিকারী ডকুমেন্ট নিতে হবে।
- বিদেশ থেকে প্রত্যাগত গমনের যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে সে সকল কাগজপত্র নিতে হবে।
- ব্যাংক লোনের প্রয়োজনীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য আপনাকে অন্যান্য সকল ডিটেলস হাইড করতে হবে।
- প্রকল্পের স্থান হিসেবে যে জায়গাটি নির্বাচন করবেন সেই জায়গার নিজের এবং তার কাগজপত্র অথবা ভাড়া তাহলে তার চুক্তিপত্রের একটি ফটোকপি রাখতে হবে।
- এধরনের হাউজ লোন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রকল্পের জন্য যে ব্যক্তি জামিনদার হবে সেই ব্যক্তির সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেয়ার জন্য আপনাদের অবশ্যই একটি ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর ফরম কোথা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
বর্তমান যেহেতু সব প্রযুক্তিনির্ভর সেহেতু সকল তথ্য আপনারা প্রযুক্তির মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। ঠিক তেমনি আপনারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য ফরম সংগ্রহ করার জন্য বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
আমরা আপনাদের সুবিধার্থে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম এর লিংক প্রদান করছি। আপনারা আমাদের দেয়া লিঙ্কে প্রবেশ করে খুব সহজেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন এবং পরবর্তী ধাপ গুলো অনুসরন করতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধা
পূর্বে প্রবাসীরা যদি কোনো আর্থিক সমস্যায় পড়তেন তাহলে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য কোন ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার এর অধীনস্থ হয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। আর প্রবাসীরা এই ধরনের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার ফলে যে সকল সুবিধা পায় সেগুলো হচ্ছে—
- যদি কোন প্রবাসী প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় কোনো আর্থিক সমস্যায় পড়েন তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তার আর্থিক অবস্থার অবনতি উন্নয়ন করতে পারেন।
- যদি কোন ব্যক্তি বাংলাদেশ থাকাকালীন অবস্থায় আর্থিক সংকটে জন্য প্রবাসে যেতে পারেন না তারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রবাসে যেতে পারেন।
- প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় যদি কোন প্রবাসী সেখানে পূর্ণবাসন করতে চান এবং বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করে অর্থায়নের উপায় খুঁজে বের করতে চান তাহলে তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে বিভিন্ন মেয়াদে লোন দেয়া হয়। এবং সেই লোনের অর্থ দিয়ে তারা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখাসমূহ
আপনারা যারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সেবা নিতে চান কিন্তু ব্যাংকের ঠিকানা জানেন না তাদের জন্য আমরা নিম্মে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখায় এবং এর শাখা সমূহ এর সকল তথ্য নিম্নে তুলে ধরছি একটি টেবিল এর মাধ্যমে।
📍 ঢাকা
ঠিকানা: ৭১-৭২, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকা ১০০০
মোবাইল: ০২-৮৩২১৮৭৮ | ০১৭০০৭০২৭০০
📍 ফরিদপুর
ঠিকানা: দিলু প্লাজা, মহাবিদ্যালয়, রঘুনন্দনপুর, ফরিদপুর
মোবাইল: ০৬৩১-৬৫২৫৫ | ০১৭০০৭০২৭০৩
📍 মানিকগঞ্জ
ঠিকানা: বিসমিল্লাহ টাওয়ার, শহীদ রফিক সড়ক, ওয়ার্ড নং- ০৬, মানিকগঞ্জ সদর
মোবাইল: ০২-৭৭১০৭৬৭ | ০১৭০০৭০২৭০৬
📍 মাদারীপুর
ঠিকানা: লস্কর ভবন, হোল্ডিং নং- ৩১৬, প্রধান সড়ক, মাদারীপুর
মোবাইল: ০১৭০০৭০২৭০৯
📍 মির্জাপুর
ঠিকানা: চায়না টাওয়ার, মির্জাপুর বাইপাস, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল
মোবাইল: ০১৭০০৭০২৭১২
📍 গাজীপুর
ঠিকানা: মাধববাড়ী মোড়, দক্ষিণ ছায়াবিথী, জয়দেবপুর, গাজীপুর
মোবাইল: ০২-৪৯২৬৩৮৮৬ | ০১৭০০৭০২৭১৫
📍 কাকরাইল
ঠিকানা: ৮৯/২, বিএমইটি ভবন (৩য় তলা), কাকরাইল, ঢাকা
মোবাইল: ০২-৮৩০০৩১০ | ০১৭০০৭০২৭০১
📍 টাঙ্গাইল
ঠিকানা: টিটিসি কমপ্লেক্স, নগর জলফৈ, টাঙ্গাইল
মোবাইল: ০৯২-১৬২৭৩৫ | ০১৭০০৭০২৭০২
📍 মুন্সিগঞ্জ
ঠিকানা: ১৪/১, পূর্ব দেওভোগ, মুন্সীগঞ্জ সদর
মোবাইল: ০২-৭৬২০৭৮৯ | ০১৭০০৭০২৭০৪
📍 নারায়ণগঞ্জ
ঠিকানা: ৬, এডভোকেট রোড, এমপি অফিসের দক্ষিণ পাশে, আদর্শ চাষাড়া, চানমারি, নারায়ণগঞ্জ
মোবাইল: ০১৭০০৭০২৭৪৮
📍 গোপালগঞ্জ
ঠিকানা: বাড়ি নং- ৯৭, কলেজ রোড, সদর, গোপালগঞ্জ
মোবাইল: ০২-৬৬৮১৭৮৭ | ০১৭০০৭০২৭০৭
📍 কিশোরগঞ্জ
ঠিকানা: শাহাবুদ্দিন বিল্ডিং, হোল্ডিং নং- ৩৮৫, বড়বাজার মাছ মহল রোড, কিশোরগঞ্জ
মোবাইল: ০৯-৪১৬২৩১৩ | ০১৭০০৭০২৭০৮
📍 নরসিংদী
ঠিকানা: টিটিসি কমপ্লেক্স, শাষপুর, আইয়ুবপুর, শিবপুর, নরসিংদী
মোবাইল: ০১৭০০৭০২৭১০
📍 শরীয়তপুর
ঠিকানা: বিসমিল্লাহ মার্কেট (৩য় তলা), নড়িয়া, শরীয়তপুর
মোবাইল: ০৬০১-৫৯১৩৮ | ০১৭০০৭০২৭১১
📍 রাজবাড়ী
ঠিকানা: মালেক ভবন, হোল্ডিং নং- ৬২, বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড, সজ্জনকান্দা রোড, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী
মোবাইল: ০৬৪১-৬৫৬০২ | ০১৭০০৭০২৭১৩
📍 সিংগাইর
ঠিকানা: আব্দুল ওয়াহেদ টাওয়ার, ৪৭৫ শহীদ রফিক সরণি, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ
মোবাইল: ০২-৭৭১৭১৫৯ | ০১৭০০৭০২৭১৪
📍 দোহার
ঠিকানা: পদ্মা ডিগ্রী কলেজ, মকসুদ দোহার, ঢাকা
মোবাইল: ০১৭০০৭০২৭১৬
শেষ কথা
আশা করি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে এই বিস্তারিত আলোচনা আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। আমরা দেখলাম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শুধু বিদেশে যাওয়া বা প্রবাস ফেরত কর্মীদের জন্যই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের আত্মনির্ভরশীল করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সঠিক তথ্য জানা থাকলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখলে এই ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। লোনের প্রকারভেদ, যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে পুরো প্রক্রিয়াটি আর জটিল মনে হবে না।
যদি আপনার আরও কোনো প্রশ্ন থাকে বা নির্দিষ্ট কোনো লোন স্কিম সম্পর্কে জানতে চান, তবে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন অথবা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সঠিক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনিও আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।